পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষণাত পিঠণপিঠি 8ష్బిసి "কথা শোন লক্ষ্মী মাণিক আমার --অমন ক’রে যেতে নেই ।” লক্ষ্মী মাণিক তত ক্ষণে ওঘরে গিয়া ঠাকুরমার গলা জড়াইয়া ধরিয়া কঁাদিয়া পড়িল । মুখুজে-গিয়ী তাহাকে বুকে অাকড়াইয়া কহিলেন, “কি হয়েছে দাদু ! বাবা বকেছে ?--আ: বল না, কি হ’ল ।” বাস্থর মুখে কথা নাই। ঠাকুরমার কোলে ফুলিয়া ফুলিয়া কাদিতে লাগিল । প্রস্থতি এখন অতুণ্ড ছাড়িয়া ঘরে আসিয়াছে । মা'র সঙ্গে বাস্তর ভাব আব, একটু একটু করিয়া ফিরিয়া কিন্তু শিশু ছোট ভাত কাছে থাকিলে বায় মা’র সংশ্রব এড়ঠিয়া চলে । মাকে একলা পাইলেক্ট খোকন তাহার ঝোল জুড়িয়। আসিতেছে । বসে। কখনও জননীর ব%লগ্ন হয় বলে, “আজ তোমার কাgে .াব ম৷ ” “কেন, ঠাকুরমা কি তে কে ঘুমের মধ্যে চিম্টি কাটে ?” “মাক ডাকে ।" “বলে দেব --মা ! ' “না-ন, আর বলব ন’,’ হাঁসিতে হাসিতে বাস্থ মা’র মুখ চাপ দেয় কচি কচি হাত দুটি দিয়া ; মলিনা যদি কখনও মাতুস্তষ্কোর লোভ দেখায় আমনই বাম সপ্রতিভ হইয়া বলিয় ওঠে, “আমার বুঝি পেতে আছে আর ! ও যে ভাই থাবে " জননী হাসিয়া ওঠে, "এই যে খোকন আমার বড় হয়ে উঠেছে গো ।--আর আমার চিন্ত কি ! এবার চাকরি করতে ধেরবে,---কি বল ?" খোকন ঘাড় নাড়িয়া সায় দেয়। মলিন স্বধায়, “বাস্ক, তুমি রোজগার করে আমায় খাওয়াবে ত?” "আর কা'কে কা'কে খাওয়াবে ?” “বাবাকে ।” “ঠাকুরমাকে ?” “ঠাকৃমাকেও।” “ভাইটিকে f" “ঈঃ ” বলিয়া বাস্থ ঘোর অসম্মতি জানায়। মা হাসিয়া বলে, “ওরে পাজি! এই তোর বুদ্ধি হয়েছে, এ্যা! পেটে তোর এত হিংসে।” বাস্থ লজ্জায় মায়ের কোলটিতে মুখ গোজে, আর মাথা তুলিতে চায় না। মলিন হাসিয়া বলে, “যা,-আমার কাছ থেকে ধ। হিংসুটে কোথাকার!” শুধু কি এই! বাস্থ তার দুধের বাটি ও ঝিনুক লুকাইয় রাপিয়াছে। দু-দিন বাদে ছোট খোক। আর একটু বড় হইয়া উঠিলেই, বড় থোকার ঝিনুক-বাটিতেই কাজ চলিবে, বাস্থ স্বকৰ্ণে ঠাকুরমকে সেদিন এ-কথা বলিতে শুনিয়াছে । চৌকির তলায় কাঠের সিন্ধুকটার পিছনে বাস্থ পরিত্যক্ত ছেড পা-পোষটা দিয়া ঢাকিয় তাহার বাটি ও ঝিনুক লুকাইয়া রাখিয়াছে । মাঝে মাঝে গুপ্তধন বাহির করিয়া সেলুলয়েডের থোকা-পুতুলকে দুধ-খাওয়াইয়। আবার তাহ যথাস্থানে রাখিয় দেয়। তবু ছোট ভাইকে তাহার সম্পত্তিতে ভাগ দিবে না সে । ম! সেদিন তাহাকে পরীক্ষা করিবার জন্ত প্রশ্ন কবিল, “তোমার ছোট পুতুলটা ভাইকে একবার দেবে ?” : বাম নিরুত্তর । মা তাহাকে ঠেলিয়া দিল, “আমার কাছে তোকে আসতে দেব ন! — যা । বেহায়ার বেইদ ” জননীর সঙ্গে বার-কয়েক হাতাহাতি করিয়া আকৃতকাৰ্য্য হইয়া বাস্থ ঠাকুরমার এজলাসে গিয়৷ কাদিয়া পড়িল । সেখানে একতরফা ডিক্রি সে সব সময়ই পাইয়া থাকে । মুখুজে-গিয়ী ডাকিয় কহিলেন, “বেীমা, ওকে শুধু শুধু কাদাচ্ছ কেন ?” “একটিবার ভাইকে ছোট পুতুলট দিতে বলেছি, ত৷ কাণ্ড দেখ না। ভাইয়ের কি তের সত্যি সত্যি পুতুলথেলার বয়স হয়েছে ন কি রে,—হিংস্কটের হুদ !” "তাই তো দাছ, ভাইকে পুতুল দাও নি কেন ?" ঠাকুরমা প্রশ্ন করিল। "আমার পুতুল আমি কেন দেব?” “তাহলে কাল যে গোকুল-পিঠে করব, তা তোমায় খেতে দেব না ।" “দেবেই ত ।”