পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. Po প্রবাসী N98Nరి “ঈস্—কুটুম্ আমার ! খেতে দেবার আর লোক নেই কি না !” ঠাকুরমার রসিকতায় খোকনও জবাব দিল, “আমি লুকিয়ে খাব।” “আমি আলমারীতে তালা বন্ধ করে রাখব।” “আমি আমার বাবার সঙ্গে বসে খাব।” মুখুজে-গিয়ী হাসিয়া উঠিলেন, “তোর বাব, আর আমার বুঝি কেউ নয় ? আমার ছেলেকে আমি লুকিয়ে খাওয়াব। তুই কে রে মিনসে ?” এবার নাতি ঠাকুরমার পিঠের উপর ঝুঁকিয়ু পড়িয়া তাহার আধপাকা চুলের গোছ টানিতে টানিতে কহিল, “আমায় না দিলে আমি তোমার চুল ছিড়ে দেব।” নিরুপায় ঠাকুরমা তাহাকে কোলে টানিয়া কহিল, "আগে তবে বল, ভাইকে হিংসে করবে না ? তাকে পুতুল দেবে।” “দেব ।” “যাও, নিয়ে এস।” “আজ নয় ঠাকুম, কাল দেব ।” “ঠিক ত?” | "וז8י ○ ছোট থোকার বয়স এখন কয়েক মাস । আজকাল সে উপুড় হইতে শিথিয়াছে । হাত-পা ছুড়িয়া তাহার ছোট ছোট পাশ-বালিশের বেড় সরাষ্টয়া দিতে পারে। কখনও কখনও নিজের অয়েল-ক্লথের বিছানা ছাড়িয়া বড় বিছানায়ুও আসিয়া পড়িতে জানে। বাস্থ ভাইকে আজকাল বাটি ও ঝিনুকে অধিকার দিয়াছে। তাহার থেলনাগুলি ভাইয়ের পাশে রাখিলে আপত্তি জানায় না আর । কিন্তু ভাঙ্গকে রোজগারের ভাগ দিবে কিনা সে-কথা জিজ্ঞাসা করিলে পূৰ্ব্বের মতই ঘাড় নাড়িয়া অসম্মতি জানায়,—তবে একটু মৃদুভাবে, মুচকি হাসির সঙ্গে । ভাই কাছে থাকিলেও বাস্থ এখন মা’র কাছে যায়, মা’র কোলে শোয় । এক পাশে ভাই, আর এক দিকে বাসু । কথনও বা মাথ উচু করিয়া ওপাশে ছোট ভাইয়ের অশ্রাস্ত হাত-পা নাড়া দেখে, হাসে, মা'র চোখে চোখ পড়িতে আবার মাথাটি এলাইয়া দেয় মায়ের কোলে । মলিনার মন খুলীতে ভরিয়া উঠে। স্বদিন আসিয়াছে মনে করিয়া মলিন হয়ত কোন দিন বলে, “খোকন, পদ্মাসন করে ব’স না—হঁ্য, এই ঠিকৃ হয়েছে।" বাস্থ পদ্মাসন করিয়া জননীর দিকে চাহিয়া হাসে । মলিন ধীরে ধীরে শিশুকে তুলিয়া বাস্থর কোলে দিতে যায়। বাস্থ তামনি তড়াক্ করিয়া আসন ভাঙিয়া উঠিয়া দাড়ায় । মলিনা কত সাধে । বামুর সুমতির লক্ষণ দেখা Fil 1 মুখুজে-গিন্ন দেখিয়া বলেন, “পীড়াপীড়ি করে না বেীমা । ওতে উণে ফল হয় । দু-দিন বাদে আপনি ওর হিংসে মরে যাবে। বাছাকে আমার যে এড়েয় পায় নি তাই যথেষ্ট !” কিন্তু মায়ের প্রাণ তাহ বোঝে না। ভাইয়ে-ভাইয়ে মিলন না দেখিলে তাহার মন যে প্রবোধ মানিতে চায় না। ঘরে লোকজন থাকিলে বাস্থ কখনও ছোট ভাইয়ের কাছে যায় না। দূর দূর দিয়া চলে। কিন্তু ঘরে যখন কেহ নাই, বাস্থ এদিক-ওদিক চাহিয়া চৌকির নিকট আগাঠয়া যায়। শিশু শুইয়া থাকিয়া অভ্ৰাস্ত হাত-পা নাড়ে। তাতার প-ছুটি লইয়া বাস্তু দিব্য খেল করে । কখনও বা শিশু ঘুমের মধ্যে হাসে, আবার পরক্ষণেই কাদে । খানিক বাদেই ঠোট-দুটিতে আবার হাসির রেথ ফোটে। দেখিয়া দেখিয় বাস্তুও হাসিয়া কুটিকুটি। আবার জাগ্ৰত শিশু যখন অবোধ্য ভাষায়ু শব্দ রচনা করিতে থাকে, বাস্থও তাহার কথার অন্তকরণে ‘অ-অ-অ’ বলিয়। অর্থহীন জবাব দেয়। কাহারও পায়ের শব্দ পাইলেক্ট বা কিন্তু ভাইয়ের নিকট হইতে দূরে সরিয়া পড়ে। একদিন বাস্থর ইচ্ছা হইল পরীক্ষা করিয়া দেখিবে, ছোট ভাইটির ক্রীড়াচঞ্চল কচি কচি পা-দুটি জোর করিয়া খানিক ক্ষণের জঙ্গ আটকাইয়া রাখিলে সে কেমন করে । বাম তাহার দুই হাতের মুঠিতে ভাইয়ের পা-দুটি বদ্ধ করিতেই সে অমনি আপত্তিস্থচক এক প্রকার ক্ৰন্দন তুলিল। বাস্থ ক্ষণেকের জন্য