পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠপুরমের অনাথবালিকাশ্ৰম । বাগান ও শস্তের ক্ষেত দেখিলেই বুঝা যায় এই অঞ্চলের জমী খুব উর্বরা । পীঠপুরম্ হইতে যখন মোটরে কোকানাদ যাই, তখনও ইহা লক্ষ্য করিয়ছিলাম। পরে অবগত হই, এই স্থানগুলি যে পূৰ্ব্ব-গোদাবরী জেলার অস্তগত, তাহ মান্দ্রাজ প্রেসিডেন্সীর অতি উপলর অন্যতম জেলা । স্বাভাবিক বারিপাত ব্যতীত এখানে রুত্রিম থাল হইতে কৃষিক্ষেত্রে জলসেচলের সব্যবস্থা আছে | উঃাড়া গ্রামটি ছোট, কিন্তু পশ্চিম-বঙ্গের অনেক গ্রামের মত ক্ষয়িষ্ণু ও শ্রীম নহে। অনেকগুলি পাকা বাড়ী চোখে পড়িল । যে-সব অধিবাসী দেখিলাম, তাহাদিগকে অনশনক্লিষ্ট বুভুক্ষিত মনে হইল না, সমুদ্রতীরে অনেকগুলি মাহম দেখিলাম, তাহার। সমুদ্রে মাছ ধরিয়া জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করে । তাহাদের প্রায়নগ্ন, সুগঠিত, প্রশস্তবক্ষ, ভুড়িবিহীন, ঋজু দেহ দেখিবার মত। রাজমহেন্দ্রী যাইবার পর্বে কোকানাদা দেখিয়া যাইবার অতুরোধ ছিল । পীঠপুরমের মহারাজা সাহেবের মোটরে দশ মাইল পথ অতিক্রম করিয়া সেখানে পৌছিলাম । × শ্ৰীযুক্ত বালকৃষ্ণ রাও তথাকার মহারাজার কলেজের ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপক শ্ৰযুক্ত বিনয়ভূষণ রক্ষিতের বা উীতে ছিলাম। র্তাহার পত্নী শমতী স্নেহশোভন দেবীও ঐ কলেজের শিক্ষয়িত্রী । অন্ধবিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভূত কলেজসমূহের মধ্যে ইনিই কলেজবিভাগে একমাত্র শিক্ষয়িত্নী । কোকানদাতে আর এক জন বাঙালী অধ্যাপক আছেন । তাহার মাম শযুক্ত শম্ভুনাথ তিনি রসায়নী বিদ্যার অধ্যাপক । ইনি বার বৎসর কোকানাদাতে আছেন। তঁহার পত্নী শ্ৰীমতী ভাগীরথী দেবীর সহিতও সাক্ষাৎ হইল । তষ্ঠার পিতা স্বগীয় কৃষ্ণদাস মল্লিক স্নবর্ণবণিক সমাজের এক জন সংস্কারক এবং “সুবর্ণবশিক সমাচার” পত্রিকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন। শুনিলাম শ্ৰীমতী ভাগীরথী দেবী এরূপ অনায়াসে তেলুগু বলিতে পারেন, যে, কেহ বলিয়া না-দিলে বুঝা যায় না, যে, তেলুগু তাহার মাতৃভাষা নহে । কোকানাদাতে শত্ৰুকু জ্যোতিমৰ্থ বন্দ্যোপাধ্যায় অরণ্য বিভাগে ডেপুট কনজার্ভেটরের কাজ করেন। তাহার পত্নী শমতী অমিয়া দেবী কলিকাতার শু্যাসধাজারের ডাক্তার