আশষাঢ় নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর ഭഭ് পাশ্বস্তু নদীর তীরে পূর্বপরিচিত মোহস্তবাবার কুঠাতে নিয়া শুনিলাম, তিনি আর ইহলোকে নাই, স্বতরাং একাকীর্চ বৈভারের চারি পাশে সপ্তপণীর তল্লাসে ঘুরিলাম । বৈভারের উপর হইতে নামিবার সময় পিপ্পলীগুহ দেখিলাম । বিন-মসলায়-জোড়া পাথরসাজানো এই গুহায় বুদ্ধের প্রিয় প্রধান শিষ্য মহাকাশ্যপ বহুদিন ছিলেন । আরও নীচে তপোদা--সপ্ত ঋষির তপ্তকুণ্ড দেখিলাম । সেদিনকার মত এই সব পুণ্যস্থান দর্শন স্থগিত করিলাম, গৃধ্ৰুকুট পরদিনের জন্য রহিল । পরদিন স্বামী প্রেমানন্দজী সাথী হইলেম । পাথেয় তাঙ্গরই প্রস্তুত তরকারী ও পরটা এবং পথপ্রদর্শক শ্ৰকৌশুিন্য স্থবিরের তৃত্য। গৃধ্ৰুকুটের দীর্ঘ চারি মাইল পথে, পুরানে। নগরের পরে, জঙ্গলের মধ্যে “সমাগধী"র শুষ্ক ঘাটে পৌছিলাম। এই সমাগধার জলরাশি এক কালে রাজগৃহ ও আশপাশের বহু গ্রামকে তুপ করিত, আঞ্জ এমন বর্ষাতেওঁ তাহা জলশন্ত। লক্ষ লোকের বসতি এই ভূমি এখন বন্যপশুর আবাসস্থল। কিন্তু তথগিতের সেবায়ু যাইবার জন্য, মগধূপ মুজিাস্তিাপক নুপূতি বিম্বিসার নিৰ্ম্মিত রাজপথ এখনও পথলীমের যোগ্য অঃছে । গৃধকট পৌছিলাম । মনুষ্যচিঙ্গ সবই লুপ্তপ্রায় কিন্তু প্রস্তরময় চত্বর এখনও অটুট। যে-চত্বরের উপর পীতবস্ত্রপরিহিত তথাগতের দর্শনে পুত্রের হস্তে বন্দী বিম্বিসারের সদয় আখ ও সস্তোমে পরিপূর্ণ হইত, সে-চত্বরের কাছে সহস্ৰ বৎসর এক দণ্ড কাল মাত্র । আমরা দর্শনের পর পরটর 'সেবা করিলাম। শ্বিপ্রহর কৌশুিনা বাবার পূৰ্ম্মশালায় কাটিল । ঐদিনই ( ১৪ই জাগুয়ারি ) সিলাব গ্রামে পৌছিলাম । যাহার উদ্দেশে গিয়াছিলাম, তাহার ত সাক্ষাং মিলিল না। তবে মৌখরিদিগের গন্ধশালি-উংপন্ন ভাত চিড়া বা পঞ্জি তুচ্ছ করা চলে না। সিলাব গ্রাম, ব্রহ্মজাল-স্বত্তের উপদেশস্থান অম্বলটিকা কিংবা মহাকাগুপের প্রত্ৰঞ্জ্য-স্থান বহুপুত্ৰক
- মধ্যদেশে গুপ্ত-সাম্রাজ্যের পর মোখরি সাম্রাঞ্জোর বিস্তার ঘটে। ২ধ৭৯নের ভগ্নী রাজ্যখ্রর বিবাহ-সম্পর্ক মৌধরি কুলেই হয় । মোখরিধেয় এক শাখ; কিংয়ে রাজত্ব কfরঙ । সিলাব গ্রামে এখনও কয়েকটি 't,भांश्द्र!” श्रृंग्निबtॐ श्रtus !
- - تماع= خته চৈত্য, এই দুইয়ের কোন এক স্থান। এখানে বাবু ভগবানদাস মেীগরির বাড়ীর এলাকার মধ্যে একাদশ বা দ্বাদশ শতাব্দীর এক শিলালেখ দেখিলাম। পরদিন ঐ লিপির নকল লইতে ও খাওয়া-দাওয়া শেষ করিতে দ্বিপ্রহর কাটিয়া গেল । সেইদিনই অপরাহ্লে নালন্দ রওয়ান হইলাম । দুই বৎসর পরে নালন্দার চিতা দর্শনে আসিলাম। এই নালন্দাই আমার স্বপ্লাবাসভূমি । ইহারই কতবিদ্য পণ্ডিতমণ্ডলীর চরণপূত পথে আমায়ু তিব্বতযাত্রা করিতে হইবে । ইচ্ছা ছিল, ভবিষ্যতে এখানে আশ্রম করিবার জন্য কিছু জমি সংগ্ৰহ করি, কিন্তু এত অল্প সময়ের মধ্যে তাঙ্গ সম্ভব হইল না । এবারকার মত ভিতর-বাহির পরিক্রম করিয়া, শু,প হইতে প্রাপ্ত মূৰ্ত্তি, মুদ্র, তৈজসপত্র এবং বিহারের কুঠরী, দ্বার, স্তুপ, কৃপ ইত্যাদি দেখিয়া মনকে সাস্থন দিলাম। ইতিমধ্যে পাটনায় অভিধৰ্ম্মকোষের পার্শেল পৌছিয়া গিয়াছিল । তাহার উপরই পাথেয়-সংগ্রহের ভরসা। স্বতরাং পাটনা হইয়। ১৩ই জানুয়ারি পুনৰ্ব্বার বারাণসী পৌছিলাম। প্রকাশক মহাশয় নিজে দেখিয়া পরে যাচাই করার জন্য পাণ্ডুলিপি অন্য বিদ্বীনের সম্মুখে উপস্থিত করিলেন । তিনি ঐ বিষয়ুক ফরাসী মূলগ্রন্থের সহিত মিলাইয়া দেখিতে লাগিলেন । ইতিমধ্যে সারনাথে গিয়া চীনা ভিক্ষু বোধিধৰ্ম্মের চিঠি পাইলাম। বোধিধৰ্ম্মের সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষং হয় দুই বৎসর পূৰ্ব্বে রাজগৃহের জঙ্গলে, পরে সিংহলের বিদ্যালঙ্কার বিহারে আমরা কয়েক মাস একসঙ্গেই ছিলাম ! অত্যধিক ধীর স্থির ছিলেন বলিয়া অপরিচিত লোকে ইহাকে পাগল বলিতে ছাড়িত না, এবং প্রথম-পরিচয়ে ঐ মলিন শীর্ণ নমিত দেহের ভিতর কতটা সংস্কৃতি আছে তাই অল্পমানও করা যাহত না । বোধিধৰ্ম্ম ধে কেবলমাত্র চীন ভাষায়, বৌদ্ধধৰ্ম্মে সুপণ্ডিত ছিলেন তাহী নহে, তাহার জীবনের প্রত্যেক পদে ঐ মতের অমুসরণ কfরয় চলিবার চেষ্ট ছিল । তিনি আমার পত্রের উত্তরে হার নেপাল-যাত্রার সবিশেষ বিবরণ দিয়ছিলেন এবং আমাদের ভবিষ্যতের aধ, সম্বন্ধেও এই পত্রে অনেক কথা ছিল । আমি জনিতাম ম। যে হাহ তাহার অস্তিম পত্র হইবে । ২.শে জানুয়ারি পাণ্ডুলিপি-সম্পর্কে পণ্ডিত মহোদরে