తీsశ్చి প্রৰণসী ృN98\తీ অমুকুল মত পাওয়া গেল, কিন্তু প্রকাশক বলিলেন তিনি কোনও আর্থিক পারিতোষিক দিতে অসমর্থ। এদিকে তিব্বতযাত্রার জন্ত আমার কিছু টাকার বিশেষ প্রয়োজন, স্বতরাং আমিও তাহাকে পুস্তক দিতে অসামর্থ্য জানাইলাম। প্রায় সবই নিষ্ফল হইয়া যায় এমন সময় আচাৰ্য্য নরেন্দ্রদেব—তিনি পুস্তকের কোন কোন অংশ দেখিয়া ছিলেন—কাশী বিদ্যাপীঠের তরফে ইহা প্রকাশের কথা বলিলেন । দুই দিন পরে বিদ্যাপীঠের কর্তৃপক্ষ উহ। প্রকাশ করিতে এবং আমাকেও এক শত টাকা দিতে রাজী হইলেন । 豪 肇 彎 আমি এখন অন্যান্য ঝঞ্চাট হইতে মুক্ত, সুতরাং বুদ্ধগয়ায় গেলাম। সেখানে মঙ্গোলীয় ভিক্ষু লোক-সঙ-শেরবের সহিত আলাপ হইল। এই আলাপে পরে আমার কত উপকার হইবে তাহ তখন মনেও ভাবি নাই। আমি ভোটিয়া (তিব্বতী) ভাষার দুই-একথানি পুস্তক পড়িয়ছিলাম, সুতরাং দুই-চারিট ভোটিয়া কথা বলিতে পারিতাম। ইনি তাহাতে বড়ই সন্তুষ্ট হইয়া পরম আগ্রহের সহিত আমাকে চা খাওয়াইলেন, সঙ্গে সঙ্গে লাসায় ডেপুঙ, মঠে নিজের প্রবাসের কথা বলিতে লাগিলেন । তাহার মহাবোধিতে এক লক্ষ দণ্ডবং প্রণামের সংকল্প ছিল, সুতরাং এখানে আরও মাস দুই থাকিতে হইবে। লিচ্ছবিদিগের প্রাচীন বৈশালী দেখিবার ইচ্ছা ছিল । প্রাচীন মিথিলার এই পরাক্র্যস্ত জাতির “পঞ্চয়তা” রাজধানী বৈশালী এখন মজঃফরপুর জেলার বসটি গ্রামে পরিণত হইয়াছে। মজঃফরপুরে শুনিলাম বসাঢ়ের কাছে বখর পধ্যস্ত বাস্ যায়। আমি পথে প্রথমে বখরায় অশোকস্তম্ভ দেখিতে গেলাম, তখ{য় তথাগত বহুবার বাস করিয়াছিলেন । এই স্তম্ভ সেই মহাবনের কুটাগারশালার স্থান নির্দেশ করে । কত বিখ্যাত স্বত্ত এখানে রচিত হইয়াছে, এইখানেই তথাগতের পরিনিৰ্ব্বাণের শত বর্ষ পরে আনন্দের শিয্য সৰ্ব্বকামীর নেতৃত্বে সমস্ত ভিক্ষু-সংঘ একত্র হইয়া শঙ্কা-সমাধান করিয়া ভগবান বুদ্ধের স্বত্ত গান করিয়াছিলেন। এখন ইহার এমন অবস্থ যে নিশ্চিত ভাবে ইহার স্থান নির্দেশ করাও ছুঃসাধ্য । বধরার পথে বলিয় পৌছিলাম। “বজ্জি”দিগের* রাজধানী বৈশালী এখন “বনিয়া-বসাঢ়" নামে পরিচিত ; “বনিয়া”ই জৈনসূত্রের “বানিম্ন গাম নয়র” অর্থাৎ বৈশালীর ব্যাপারিক মহল্লা । বজ্জিদিগের মহাশক্তিশালী প্রজাতন্ত্রের রাজধানীর এই ব্যাপারিক কেন্দ্র সেকালে বিপুল ঐশ্বধ্যে পূর্ণ ছিল একথা বৌদ্ধ জৈন উভয় সাহিত্যেই স্পষ্ট লেখা আছে । ভগবান মহাবীরের প্রধান গৃহস্থ শিষ্য আনন্দ এইখানেই থাকিতেন এবং ভগবান বুদ্ধের প্রধান একাদশ গৃহস্থ শিষ্যেৎ অন্যতম উগ্র গৃহপতির নিবাসও এইখানেই ছিল । এখন আছে ক্ষুদ্র গ্রাম মাত্র, তবে এখনও প্রাচীনের স্মৃতিচিহম্বর মৃন্ময় মেখলা বাধা ক্ষুদ্র কৃপ যেখানে সেখানে পাওয়া যায় । বনিয়ার এক গৃহস্থ আগ্রহের সহিত অতিথি-সৎকার করিলেন । তার পরে বসাঢ়ে আসিলাম। দাখির পাড়েং মন্দির–মন্দিরে বৌদ্ধ জৈন মূৰ্ত্তিরাজি হিন্দু দেবদেবী নামে পূজা পায়—রেীজ, গড়, গ্রাম সবই ঘুরিয়া দেখিলাম । এইখানেই কোথাও পূৰ্ব্বকালের বজ্জিদিগের সংস্থাগার ( প্রজাতন্ত্ৰভবন—পালেমেণ্ট ) ছিল । সেখানে একeিr ৭৭০৭ জন রাজোপাধিধারী লিচ্ছবি পুরুষসিংহ হইয়া সপ্ত “অপরিহানিধম।” মতে পঞ্জি দেশের প্রবণ প্রজাতন্ত্র পরিচালন করিতেন । সেচ প্রজাতন্ত্রের প্রতা;ে একদা মগধ ও কোশলের হৃদয় কম্পিত হইত। মগধরাজ অজাতশত্রু এই প্রজাতন্ত্র আক্রমণে উদ্যত হইয়া জয়-পরাজয়ের সম্ভাবন সম্বন্ধে বুদ্ধদেবের মত জিজ্ঞাসা করেন। তিনি উৎস দেন, ( ১ ) ধত দিন বজ্জিগণ নিজদের পরিষদে বহুবার বহুল সংখ্যায় একত্র হইয় পরামর্শ করিবেন, ( ২ ) ধত দিন প্রত্যেক কার্য্যে তাহদের এই একতা থাকিবে, ( ৩ ) ধত দিন বিন-নিয়মে তাহারা কোন কাৰ্য্য না করিবেন, এব: নিজেদের স্থিরীকৃত নিয়ম প্রতি অক্ষরে পালন করিবেন (৪) যুত দিন তাহারা বয়োজ্যেষ্ঠ প্রধানগণের সমাদর এবং তাহাদের উচিত বাক্য শ্রবণ করিবেন, ( e ) যত দিন তাহারা আপনাদের কুলস্ত্রী ও কুলকুমারীদিগের উপর অত্যাচার না করিবেন, (৬) ধত দিন তাহারা নিজেদে? চৈত্য-মন্দিরের সম্মান রক্ষা করিবেন, ( ৭ ) যত দিন তাহারা বিদ্বান অহ্যগণের শ্রদ্ধা ও শুশ্ৰুষা করিকে, uడ• 家 বুলি বা বঞ্চি, গিন্ধৰ্বদিগের অন্ত নাম | - --------
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।