পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষণচ সিমলায় বিদ্যালয়ের কতকগুলি বালক-বালিককে দুধ দেওয়া উপলক্ষ্যে তিনি যে বক্তৃত করেন, তাঙ্গর শেষের দিকে বলেন :– “What indeed is the nee of spending public funds on objects such as education, welfare schemes and the like, if the people have not the health and vigour of mind and body to take full advantage of them and to enjoy them 7” তাৎপৰ্য্য। সরকারী টাক শিক্ষ, শিশুমঙ্গল প্রভৃতিতে ব্যয় করিয়া বাস্তবিক লাভ কি. যদি লোকদের ঐ সকলের পূর হযোগ গ্রহণ ও উপভোগের নিমিত্ব আবঙ্গাক স্বাস্ত্য এবং মনের ও দেহের তেজ ন পাকে ? এই কথাগুলির মধ্যে সত্য আছে। কিন্তু এগুলির দ্বারা ভ্ৰাস্ত ধারণার উদ্ভব এবং অনিষ্ট হইতে পারে। এগুলি পড়িয়া ভারতবর্যের প্রকৃত অবস্থা সম্বন্ধে অজ্ঞ লোকদের এই ধারণ জন্মিতে পারে, যে, ভারতবর্ষে শিক্ষার ও শিশুমঙ্গলাদির জন্য সরকার বাহাদুর খুব ব্যয় করেন, কিন্তু সমস্তই প্রায় অপব্যয়ের সামিল হয় এই জন্য, যে, লোকদের স্বাস্থ্য ও দেহমনের ফুৰ্ত্তি না-থাকায় তাহারা পরমদয়ালু ও ন্যায়ুবান সরকারের শিক্ষা ও শিশুকল্যাণাদি ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করিতে পারে না । কিন্তু সত্য কথা এহ, যে, সমগ্ৰ ভারতে শিক্ষার জন্য সরকার যাহা ব্যয় করেন, ইংলণ্ডের একমাত্র লণ্ডন জেলা কৌন্সিল তাহার সমান বা তার চেয়ে বেশী শিক্ষার জন্য ব্যয় করেন । আমরা যে সুস্থ, স্বপুষ্ট এবং দৈহিক ও মানসিক ফুৰ্ত্তি বিশিষ্ট জাতি নহি, তাহার একটা প্রধান কারণ, আমরা পরাধীন, অশিক্ষিত ও নিরক্ষর জাতি। প্রকারাস্তরে অল্প আগে এই কথাই বলিয়াছি । লর্ড লিনলিথগো কিছু দুধ ভিক্ষ দেওয়ার প্রশংসা করিয়া সেই উপলক্ষ্যে যে শিক্ষার প্রতি পরোক্ষ ভাবে তাচ্ছিল্য দেখাইয়াছেন, তাহ নিলাহ । মনের তেজ, মনের ফুৰ্ত্তি—সম্পূর্ণরূপে না হইলেও আংশিক ভাবে—মনোবৃত্তিসমূহের সম্যক পরিচালনার উপর নির্ভর করে। অশিক্ষিত মানুষ তাহার মনোবৃত্তিসমূহের সম্যক পরিচালনা করিতে পারে না । অতএব, এক দিকে যেমন ইহা সত্য যে, মনের তেজ না থাকিলে মাতুয শিক্ষার সুযোগের মুব্যবহার করিতে পারে না, অন্য দিকে তদ্রুপ ইহাও সত্য যে, শিক্ষা ব্যতিরেকে মনের তেজ যথেষ্ট বাড়ে না । বিবিধ প্রসঙ্গ-রবীন্দ্রনাথ ও ‘মোহাম্মদী' 3位● লর্ড লিনলিথগো জানেন, যে, নূতন ভারতশাসন আইন ভারতীয় মহাজাতিকে মাতুষ হইবার চেষ্টায় সাহায্য করিতে গবনর-জেনার্যালকে অসমর্থ, ও তাহাদিগকে অমানুষ রাখিতে সমর্থ করিয়াছে। এবং এই আইন যে-আকারে পাস হইয়াছে তাঙ্গকে সে আকার দেওয়াতেও পরোক্ষ ভাবে তাহার বেশ হাত ছিল । সুতরাং তিনি, যে, নানা রকম ছোটখাট বিষয়ে মনোযোগী হইয়াছেন—যথা সেক্রেটরী ও কেরানীদের সহিত সাক্ষাৎ পরিচিত হইতে ও তাহীদের কাজ দেখিতে আরম্ভ করিয়াছেন—তাহার যথাযোগ্য প্রশংসা আমরা করিতে পারি ; তজ্জন্য র্তাহার বিরুদ্ধে আমাদের কোন অভিযোগ নাই । কিন্তু এই সকলের ফলে আমরা যেন এক মুহূৰ্ত্তের জন্য ভুলিয়া না থাকি, যে, আমাদিগকে আমাদের প্রধান অধিকার, স্বশাসন অধিকার, হইতে বঞ্চিত রাখা হইয়াছে। আশা করি, আমাদিগকে ভুলাইয়া রাখিবার অভিপ্রায় তাহার মত বুদ্ধিমান লোকের নাই—কেননা, তাঙ্গ সিদ্ধ ওয়া অসম্ভব । রবীন্দ্রনাথ ও ‘মোহাম্মদী’ মাসিক ‘মোহাম্মদীতে ( প্রধানত হিন্দু সাহিত্যিকদের চেষ্টায়ু পুষ্ট ) বাংলা সাহিত্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালান হইতেছে । রবীন্দ্রনাথের লেখাও রেহাই পায় নাই । তিনি ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য় তাহার কোন কোন লেখার উপর আক্রমণের উত্তর দিয়া ঐ মাসিককে সম্মানিত করিয়াছেন । এইরুপ সম্মান পুনর্বার প্রদর্শন করিতে তিনি বাধ্য ন হইলে iশ্বস্ত হইব । তিনি লিথিয়াছেন— জৈাষ্ট সংখ।ীর “মোহাম্মদী" পমুখানি আমার হাতে এল । ব’ল প্রবেশিক পাঠ্যপুস্তক যে অপাঠ্য লেখক খুটিয়ে খুটিয়ে তার বিস্তর প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন । আমার রচনাও তার দৃষ্টান্ত জুগিয়ছে। নমুনাস্বরূপে সেই অংশটুকু নিয়েই আমি আলোচন করব । অতঃপর তিনি বলিতেছেন— সাহিত্যের অ{সরে নেমে অবধি তামার বিরুদ্ধে অনেক অ*াভূত BBBK BBB BBB BBB S BBBBS BBB BB BBS এইট প্রত্যাশা করি নি। সমস্তটা উদ্ধত করতে হোলে , পাঠকদের কাছে ক্ষম। চাই । তদনম্বর পঙ্কোদ্ধার-কায্য চলিয়াছে। যথা— “পুজারিণী—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পৌত্তলিকতার একেবারে চূড়ান্ত ।