আশষণঢ় আসিতেছেন. যে, যদি ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িক বিবাদ বিসংবাদ ও বিরোধ দূর করিতে হয়, তাহ হইলে তাহার উপায়, মানুষকে ধৰ্ম্ম আঠুসারে বিভক্ত ও দলবদ্ধ না করিয়া, তাহাদের বৃত্তি অনুসারে, তাহাদের উপার্জনের উপায় অনুসারে তাহাদিগকে বিভক্ত ও দলবদ্ধ করা। তাহা হইলে, দৃষ্টান্তস্বরুপ, এখানকার হিন্দু-মুসলমানের বিরোধের পরিবর্তে তখন বিরোধ হইবে শ্রমিক ৪ ধনিকের মধ্যে, কুযক ও জমাদারের মধ্যে, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ও নিরক্ষর নিম্নশ্রেণীর মধ্যে । সম্প্রদায়নিৰ্ব্বিশেষে হিন্দু-মুসলমান শ্রমিক হিন্দু-মুসলমান ধনিকের বিরুদ্ধে, হিন্দু-মুসলমান থাতক হিন্দু-মুসলমান মহাজনের বিরুদ্ধে, হিন্দু-মুসলমান রায়ং হিন্দু-মুসলমান জমাদারের বিরুদ্ধে এদেশে সমভাবে দাড়াইবে কিম: সন্দেহ, যদিও মুসলমান থাতকের যে হিন্দু মহাজনের সম্পত্ত্বি লুণ্ঠন ও তাহার প্রাণবধ করিয়াছে, মুসলমান রায়তের ধে হিন্দু জমীদারের বিরুদ্ধে দাড়াইয়াছে, তাহর দুষ্ঠাস্ত এদেশে আছে বটে ; কিন্তু যদি ধরিয়া লওয়া যায়, যে, হিন্দু-মুসলমান মঙ্গুং এক দিকে ও হিন্দু-মুসলমান ধনিক অন্ত দিকে, হিন্দু-মুসলমান কুমক এক দিকে ও হিন্দু-মুসলমান জমাদার অন্য দিকে, এইরূপ বিবাদ ও শ্রেণীসংগ্রাম হয়, তাহা হইলে যুযুৎসু ও যুদ্ধfলরত দলগুলিতে এক এক পক্ষে ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মের লোক থাকিবে বটে ; কিন্তু হিংসাদ্বেষ বিরোধ, সংগ্রাম, অশাস্থ ত দূর হইবে না, সেগুল চলিতেই থাকিবে । সুতরাং এখন আমাদের সাম্প্রদায়িক সংগ্রামের মরকে বাসের পরিবর্কে তখন আমাদের শ্রেণীগত যুদ্ধের নরকে বাস ঘটিবে । শেষো" নরককে স্বৰ্গ বলিয়া মনে করিবার কোম কারণ আছে কি ? সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ ও সংগ্রামে পৃথিবীর নানা দেশে রক্তপাত হত্য লুণ্ঠন ইত্যাদি হইয়াছে ও হঠয়া থাকে বটে ; কিন্তু শ্রেণীগত সংঘর্ষ ও সংগ্রামে তাহ হয় নাই ৪ হইতেছে মা কি ? সাম্প্রদায়িক বিদ্বেয়ের ফলে কোন দেশে— ধরুন ভারতবর্ষে—হিন্দু বা মুসলমান তাঙ্গদের বিদ্বেষভাজন সম্প্রদায়কে নিমূল ব৷ নির্বাসিত করে নাই ; কিন্তু রাশিয়ায় শ্রেণীগত যুদ্ধে অভিজাত শ্রেণী নিমূল বা নির্বাসিত হইয়াছে, মধ্যবিত্ত্ব বুজে য়: শ্রেণীর অস্তিত্ব খুজিয়া পাওয়া কঠিন । অন্ত কোন কোন দেশেও এইরূপ অবস্থার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। প্রত্যেক ধৰ্ম্মেহ পরধৰ্ম্মসহিষ্ণুতার উপদেশ আছে, এবং তাহা পলিম করিবার লোক আছে । কিন্তু শ্রেণী:যুদ্ধের । ক্লাস-ওয়াবের ) উপদেষ্টার এরূপ সহিষ্ণুত ও শান্তি শিক্ষা দেন কি ? আগুনের দ্বার আগুন নিবান খায় না—এক যুদ্ধের পরিবর্তে অন্য প্রকার যুদ্ধ প্রবর্তিত করা যাওঁতে কিন্তু যুদ্ধ জিনিষটার অস্তিত্ব যুদ্ধের দ্বার। বিলুপ্ত পারে না ; অতএব শ্রেণী:যুদ্ধ সাম্প্রদায়িক যুদ্ধের প্রতিকার মংে ! ج: کیا পাৱে, হস্ততে • & • ** - శి - w تصحي - - श्रृं** * శీ # * বিবিধ প্রসঙ্গ-সম্প্রদায়িক লাটোয়ার ও জবাহরল 参 *、
8UNరి সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা ও জবাহরলাল পণ্ডিত জবাহরলাল নেহরু অনেক বার বলিয়াছেন, তিনি সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার বিপক্ষে, তাহার একট। কারণ উহ। গণতন্ত্রের বিপরীত । তিনি ইহাও বলিয়াছেন, যে, কংগ্রেস ধেরূপ কথাসমষ্টি দ্বারা উহার সম্বন্ধে নিজ মত প্রকাশ করিয়াছেন, তাহার উপর ঐ মত প্রকাশ করিবার ভার পড়িলে তিনি সেরূপ শব্দযোজন দ্বারা তাহ প্রকাশ করিতেন ন—অন্য প্রকারে করিতেন, অথচ তিনি একথাও বলিয়াছেন, যে, ও বিষয়ে তাহার ব্যক্তিগত মত ও কংগ্রেসের মত এক । আমাদের তাহ মনে হয় না । কেন-ন, তিনি পরিষ্কার ভাষায় উহার স্বীয় বিরোধিত। প্রকাশ করিয়াছেন, কিন্তু কংগ্রেস উহাকে ন-গ্ৰহণ মা-বর্জন রূপ নিরপেক্ষতা প্রকাশ করিয়াছেন । পণ্ডিত জলাহরলাল বলিয়াছেন, র্যাহার কঁটোয়ারাটা রহিত করিবার নিমিত্ত তাহার বিরোধিতা করিতেছেন, তাহারা ভারতে ব্রিটিশ প্রভৃত্বের বিদ্যমানত ধরিয়া লইয়া চিন্তা করিতেছেন, কিন্তু তিনি স্বাধীন ভারতের অবস্থ মনে রাথিয় উহার সম্বন্ধে চিস্ত করিতেছেন । ইহা তাহার ভ্ৰম । আমরা যে ভারতবর্ষের স্বাধীনত চাই না, এমন নয় । আমরা যে স্বাধীনতা চাঠ, তাহা তাহার সহিত তর্ক করিবার নিমিত্ত এখন বলিতেছি না, অনেক বৎসর হইতেই লিখিতেছি বলিতেছি, অথচ আমরা সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারাটার সম্পূর্ণ বিরোধী ও তাহার উচ্ছেদ চাই । কেন চাই, তাহ বিস্তারিত ভাবে বহুবার বলিয়াছি । এখন কেবল একট কারণের উল্লেখ করিব । স্বাধীনতা লাভ করিতে হইলে ভারতীয় মহাজাতির ভিন্ন ভিন্ন অংশের মধ্যে একত. আবশ্যক -- একস্ত আবশ্বক কি ন সে তর্কে প্রবৃত্ত হইব না, কেবল ইহাই বলিব, যে, একতা থাকিলে স্বাধীনতালাভ যত কঠিন, একত। না-থাকিলে তাহ লাভ তদপেক্ষ অনেক বেশী কঠিন । সাম্প্রদায়িক বঁটোয়ারাট থাকিতে ঐ একতা জন্মিতে পারে না , এবং ইহা বলিলেও অস্থায় হঠবে না, ধে, ব্রিটেনের মঙ্গীদের অনুমোদিত এই বাটোয়ারার অনুযায়ী আঠন একতা স্থাপনের প্রবল বধ হইবে জানিয়; ব্রিটিশ পালেমেণ্ট ঐ আইন পাস করিয়া&ে j টোপ্পারাট BBBBBB BBB BSBSS BBBS BBBBS BBS BBB BBBB BBBB BBB BBB BBS BBBB BBBS BBB উহর বিরোধী । পণ্ডিত জবাই বল’ল বলিয়া:ছন. ভারতবয স্বাধীন হইলে তথম রাটোয়ারটি আপন:- আপনিই লোপ পাইবে স্বাধীন তইলে ত! বাটোয়ারাট ধে স্বাধীনতালাভের অস্তুরায়, ভারতবর্ষকে স্বাধীন হইতে দিবে না । যে, রাটেয়াবাটার দ্বার তদ্ভিন্ন ইহাও বিবেচ্য, যাহাদের স্বার্থসিদ্ধি হইতেছে,
