পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8いS8 তাহারা বলিবে, যে, কোন-না কোন আকারে বাটোয়ারাটা ভারতবর্যের স্বাধীনতার অবস্থাতেও বিদ্যমান থাকিলে তবে তাহার দেশের স্বাধীনতা চায় । আর পণ্ডিতজী যে বলিতেছেন, দেশ স্বাধীন হইলে বাটোয়াবটি আপনা-আপনিই যাইবে – কি প্রকারে আপনাআপনি বাইবে তাহা আমরা বুঝিতে ন-পারিলেও, এই তর্কের উত্তরে বলি, দেশ স্বাধীন ইষ্টলে আরও অনেক অবাঞ্ছনীয় জিনিষ আপনা-আপনি যাইতে পারে ; যেমন বিনবিচারে মানুষের স্বাধীনতা লোপ, বিনাবিচারে সংবাদপত্রের ও ছাপাখানার অস্তিত্ব লোপ ইত্যাদি । তাহা হইলে এই সব দমনমূলক ব্যবস্থা রহিত করিবার নিমিত্ত কংগ্রেসওয়াল ও অন্ত স্বজাতিকদিগের একটি সমিতি গড়িবার চেষ্টা তিনি কেন করিতেছেন ? স্বাধীনতা যখন আসিবে, তখন সব ঠিক হইয়। যাইবে, আমরা সবাই এই স্বপ্ন দেখিলেই ত চলে । পণ্ডিতজী আরও বলিয়াছেন. বঁটোয়ারটার বিরোধিতা স্বারা উহার উচ্ছেদ সাধন কর যাইবে না, উভয় পক্ষের মধ্যে বুঝাপড়া ও রফার দ্বার করা যাইবে । কংগ্রেস এই উপায় অবলম্বন করিয়াছেন কি ? করিয়া থাকিলে কবে করিয়াছেন ও কি ফল হইয়াছে ? বাটোয়ারভক্ত এক জন মুসলমানকেও কংগ্রেস বঁাটোয়ার বিরোধী করিতে পারিয়াছেন কি ? যদি ংগ্রেস উক্ত উপায় অবলম্বন করেন নাই, তাক হইলে কেম করেন নাই ? একট রফার জন্য পণ্ডিত মদনমোহন মলিবীয় স্বেরূপ ধৈৰ্য্যের সহিত অনেক দিন চেষ্টা করিয়াছিলেন, আর কেই তাহী করেন নাই---করিতে পারিতেন কি না সন্দেহ । এই পণ্ডিত মদনমোহন মালবীয়ষ্ট নেতাদের মধ্যে রাটোয়ারাটার সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রসিদ্ধ বিরোধী । রফার পথট পণ্ডিত জবাহরলাল নেহরুর নূতন আবিষ্কার নতে। উহা পরীক্ষিত হঠয়াছে, সিদ্ধিলাভ হয় নাই । নিলামে ব্রিটিশ ডাকটা সৰ্ব্বোচ্চ হওয়ায় মালবীয় মহাশয় বিফলপ্রধত্ব হইয়াছেন । তাবিসানিয়ায় ইটালীর জয়ের কারণ মুসোলিনির দৃপ্ত দাম্ভিকতাপূর্ণ উকি, ইটালী তলোয়ারের দ্বার আবিসনিয় জয় করিয়াছে । ইত সত্য নহে । বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার ম; কবিলে ইটালী জিতিতে পারিত ম । আবিসনিয়ার যোদ্ধার সেকেলে বন্দুক ষ্টীরধতুক ৪ অন্তবিধ অস্ত্রশস্ত্র লইয়াও ইটালীর পক্ষের আধুনিক অস্বশস্থশালী সৈন্তদিগকে অনেক ব্যর হটাহয় দিয় ছিল । ইটালীর দ্বিতীয় প্রধান অস্ত্র ঘুষ । ঘুষ পাচয় অনেক সোমালী ও আবিসনিয় আবিসনিয়ার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করিয়াছিল । ইটালীর জয়লাভের আর একটা কারণ, আবিসনিয়দের মধ্যে গৃহবিবাদ । প্রবাসী / . S*8\こ

  • . _

ঘুষ দ্বারা জয়লাভ প্রসঙ্গে একটি আখ্যান মনে পড়িয় গেল। পুনার বিখ্যাত সংস্কৃতজ্ঞ ও প্রত্নতাত্বিক সত্ব রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকর ( যাহার স্মৃতিরক্ষার্থ প্রতিষ্ঠিত ভাণ্ডারকর রিসার্চ ইন্সটিটিউট হইতে মহাভারতের একটি প্রসিদ্ধ সংস্করণ বাহির হইতেছে ) এবং প্রসিদ্ধ বিদ্বান, ঐতিহাসিক ও ঔষধাৰ্থ ব্যবহৃত ভারতীয় উদ্ভিদসমূহের বৃত্তাস্তপুস্তকের প্রধান প্রণেতা মেজর বামনদাস বস্থর সহিত পুনায় একদিন কথোপকথন উপলক্ষে ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর আমলে মহারাষ্ট্রীয়দের কোন একট, পরাজয় সম্বন্ধে বস্ব মহাশয় বলেন, যে, এই পরাজয়ট কোম্পানী খুষ দিয়া ঘটাইয়। ছিল । তাহাতে বৃদ্ধ ভাণ্ডারকর মহাশয় চটিয়া বলিলেন, “তোমরা ( অর্থাং ভারতীয়ের। ) ত কোম্পানীর পক্ষীয় কোন সেনাপতিকে ঘুম লণ্ডয়াহতে পার মাত ?” তাহার তত বলিবার অভিপ্রায় এই ছিল, যে, ধে-দেশের প্রধান লোকদিগকে শত্রপক্ষের ঘুষ লণ্ডয়ান যায়, তাহার; ত হাবিবেঃ, এবং যে-পক্ষের প্রধান লোকেরা শত্রুপক্ষের ঘুষ লক্কু • তাঙ্গাদের শক্তিমত্তার তাক একট: কারণ ; ফ্রান্সে নারার তাধিকার ফ্রান্সে সম্প্রতি নির্বাচনে জয়ী যে সমাজতন্ত্রবাদী দলের মীমণ্ডল গঠিত হইয়াছে, তাহাতে তিনটি মহিলাকে সওয় হইয়াছে, অথচ ফরাসী মহিলাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচনে ভোট দিবার অধিকার নাই, এবং সে জন্য তাহার! সম্প্র ি• বিক্ষোভ প্রকাশও করিয়াছেন । আমাদের দেশে, একপ্রকার বিন স’ গ্রামেহ, মহিলার ভোটাধিকার পাইয়াছেন । এ বিষয়ে ফ্রান্সের নারীদের দুঃখ উহাদের নহি । তবে, কংগ্রেসে ওয়ার্কি কমিটিতে এক জ. মহিলাকেও লওয়া হয় নাই । তাহার এখন নজীর দেখাহ{ বলিতে পারেন, ফ্রান্সের সমাজতান্ত্রিক নেতার তিন জন মহিলাকে মন্ত্রা করিয়াছেন, কিন্তু ভারতবর্ষের সমাজতাধিক নেতা পণ্ডিত জবাহরলাল এক জন মহিলাকেও কংগ্রেস মী সভার সঙ্গী মনোনয়ন করেন নাই । ভারত-গবন্মেণ্টের রাজনৈতিক বিভাগ ১৯৩৭ সালের ১লা এপ্রিল হইতে ভারত-গবন্মেণে । রাজনৈতিক বিভাগ ইংলণ্ডেশ্বরের খাস বিভাগ বলিয় গণ্য হইবে এবং উই: ভারত-গবন্মেণ্টের হাত ইংরে ভারতবর্ষে ইংলণ্ডেশ্বরের প্রতিনিধিরূপ বড়লাটের হাt : যাইবে । এই পরিবর্তনের অর্থ বুঝ। আবশ্বৰ ! :ে বিভাগটি ভারত-গবন্মণ্টের হাতে থাকে, তাঙ্গর স’ কাজের আলোচনা স-পারিসদ গবনর-জেনার্যাল করেন সেই আলোচন! মস্কশায় গবনর-জেনার্যালের "স",