পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্রসঙ্গ—প্রাণকৃষ্ণ আচার্ষ্য છહજે }তবে, ব্রিটিশ জাতি যে উচ্চপদস্থ রাজপুরুষেরও { সন্দেহের প্রকাশ্য তদন্ত করিয়! তাহার রিপোর্ট করিয়াছেন, ইহু! তাহাদের স্বদেশের গৌরবের কথা । কন্তু ভারতবর্ষে স্বজাতীয় উচ্চপদস্থ লোকদের দোষ দিতেষ্ঠ অধিকতর ব্যস্ত ও অভ্যস্ত। তাতার দৃষ্টান্ত আছে । উল্লেখ বাহুল্য মায় । হিন্দু নারীদের উত্তরাধিকার হিন্দু নারীদের উত্তরাধিকার-সম্বন্ধীয় হিন্দু আইন ব্রিটিশ আদালতের ব্যাখ্যা অনুসারে যেরূপ দাড়াইয়াছে, তাহাতে উছাদের পূর্বতন অধিকার সঙ্কুচিত হইয়াছে, ইহা রামমোহন স্নায় দেপাঠয়া গিয়াছেন। তিন আহন কবিয় তাহদের জন্তত পূর্ণ অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত। তাঙ্গ ধথেষ্ট ন হইলে নতন কিছু অধিকারও দেওয়া উচিত। এতদণে ডাক্তার দেশমুখ ধে বিল ভারতীয় পাবস্থাপক সভায় পেশ কigয়াছেন, তাত সিলেক্ট কমিটির নিকট যাইবে । এরূপ ব্যপস্থা ভাল । প্রাণকুমঃ ত্যাচর্য্য পাবনা জেলার একটি অতি দরিদ্র ভদ্র পরিবারে প্রাণক{ আচাৰ্য্য মহাশয় সন্ম গ্ৰহণ করেন । গত মাসে ৭৬ বৎসর বয়সে তিনি দেহত্যাগ করিয়াছেন । কিছু দিন হুইতে তিনি অতিরিক্ত রক্তের চাপে অসুস্থ ছিলেন । তাহারই ফলে সন্ন্যাস রোগে ঠাহীর মৃত্যু হইয়াছে । তিনি মৃত্যুর সপ্তাহ দুষ্ট পূৰ্ব্বে শযুক্ত কৃষ্ণকুমার মিত্রকে বলিয়াছিলেন, যে, তাহার সময় আসিয়াছে, আর চৌদ-পনর দিন মাত্র বঁচিলেন, সেই জন্য বিশেষ কিছু কথা বলিবার নিমিত্ত উহাকে ডাকাইয়াছেন । আচাৰ্য্য মহাশয় অতি দরিদ্র অবস্থা হইতে সকল দিকে উচ্চ অবস্থায় উপনীত হইয়াছিলেন। কেহ যদি দরিদ্র অবস্থায় জন্মিয় কেবলমাত্র ধনী হয়, এবং সেই ধনশালিত যদি আকস্মিক ঘটনার বা চৌর্য্য প্রবঞ্চনার ফলে না ঘটে, তাহা হইলে সে রুতিত্বও সামান্য নহে, বরং প্রশংসনীয়। কিন্তু আচাৰ্য্য মহাশয়ের কৃতিত্ব শুধু দারিদ্র্য হইতে সচ্ছল অবস্থায় উপনীত হওয়াতে নয়। তিনি সততা, বৃদ্ধিমত্ত, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের দ্বারা মামুসের মত মামুয হইয়াছিলেন। পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী জ্ঞানী সাধুপুরুষের যে-সকল লক্ষণ নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন–জ্ঞানে গভীরতা, প্রেমে বিশালত, চরিত্রে সংযম, কৰ্ত্তব্যে নিষ্ঠ, ভগবস্তুক্তিসমস্তই তাহার ছিল । ছাত্রাবস্থায় তিনি বুদ্ধিমান ও বিশেষ কৃতী ছাত্র ছিলেন। ছাত্ররূপে উপহার সাধারণ শিক্ষা এম-এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া পধ্যস্ত হইয়াছিল। চিকিৎস-বিদ্যা শিখিয়া তিনি এম-fব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং চিকিৎসকের কায্যে প্রবৃত্ত হন । আমি যখন কলিকাতায় পড়িতে আসি তথমও প্রাণকৃষ্ণুবাবু ছাত্ৰ—যদিও আমার চেয়ে অনেক উচ্চ শ্রেণীর ছাত্র । তিনি গণিতে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন, একটি কলেজের ছাত্রকে তিনি গণিত শিথাইতেল আমার এই রূপ মনে পড়িতেছে । সাধারণ কলেজ ও মেডিক্যাল কলেঞ্জের শিক্ষা সমাণু করিয়া তিনি যখন কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবিষ্ট হন তখনও নানা বিষয়ে অধিকতর জ্ঞানলাভে বিরত হন নাই । হিন্দু নান শাস্ত্র তিনি গভীর অভিনিবেশ সহকারে অধ্যয়ন ও আয়ন্ত করিয়াছিলেন। খ্ৰীষ্টিয়ানদের শাস্ত্রও তিনি অধ্যয়ন করিয়াছিলেন । অন্যান্য ধৰ্ম্ম সম্বন্ধেও তাহার পধ্যাপ্ত জ্ঞান ছিল । দর্শন ও ধৰ্ম্মতত্বে র্তাহার যথেষ্ট অধিকার ছিল । কলিকাতার ও বঙ্গের তিনি অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক ছিলেন । বন্ধুবান্ধবদের চিকিৎস ত প্রীতিবশত তিনি করিতেনই, কলিকাতার ও মফস্বলের বিস্তর গরীব লোকের চিকিৎসা তিনি সাগ্রহে বিনা পারিশ্রমিকে করিতেন। অন্য কাজ উপলক্ষ্যে তিনি মফস্বলে গেলেও গরীবের চিকিৎসা-রূপ