পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3*B প্রবাসী ^ SNご8Nこ আজ এ সমস্তর উপরেই ছড়িয়ে পড়েছে শান্তিনিকেতন ১• জুন, ১৯৩৬ সেই দূর কালের মায়ারশ্মি । ইতিহাসে বিলুপ্ত তুচ্ছ এক মধ্যাহ্নের আলস্যে আবিষ্ট রৌদ্রে এরা অপরূপের রসে রইল ঘিরে অকাল ঘুমের একখানি ছবি।

=3డాష్

ঋগ্বেদে ইন্দ্র ঐগিরীন্দ্রশেখর বসু বেদ –ঋগ্বেদে যে-সকল আরাধ্য দেবতার উল্লেখ আছে তন্মধ্যে ইন্দ্র অন্যতম । ইন্দ্ৰ যজ্ঞপুরুষরূপে পূজা পাইতেন । বিভিন্ন ঋষি বিভিন্ন ছনে যুগে যুগে তাহার স্তব রচনা করিয়াছেন। ঋগ্বেদের কতকগুলি ইন্দ্রস্তুতি বহু পুরাতন, কতক বা অপেক্ষাকৃত অর্বাচন । ঋগ্বেদে ইন্দ্রত সর্বপ্রধান দেব । বিভিন্ন কালের ইন্দ্রস্তুতি অনু্যালু উদ্দেশে স্তবসমূহ স্বত্তাকারে ধুত হইয়। ঋগ্বেদে স্থান পাইয়াছে । এই জন্যই ঋগ্বেদকে সংহিতা বলা হয় । ঋগ্বেদসংহিতার সুক্ত-সংগ্রহ বহুকাল যাবৎ চলিয়াছিল। ঋগ্বেদ ক্রমে বর্তমান আকার ধারণ করিয়াছে । পুরাণে কথিত আছে, প্রথমে সমস্ত বেদ-স্বত্তই সংহিতাকারে একত্র গ্রথিত ছিল যজ্ঞ বা যজমকার্য্যের উদ্দেশ্বে স্তবগুলি রচিত হওয়ায় সংহিতার নাম ছিল যজুর্বেদ । তখন যজুৰ্বেদত একমাত্র বেদ ছিল । ঋত্বিকগণকে বেদোক্ত সুক্তগুলি মুখস্থ রাখিতে হইত। নূতন নূতন স্তব রচিত হওয়ার ফলে যজুর্বেদসংহিতার কলেবর বৃদ্ধি পাইতে লাগিল । তখন সমগ্ৰ যজুর্বেদ মুখস্থ রাখা কঠিন বোধ হওয়ায় তাহা তিন অংশে বিভক্ত হইল এবং দেবতার এবং ঋক্, সাম ও যজু এই তিন নামে পরিচিত ; বেদকলেবর ক্রমশ আরও বৰ্দ্ধিত হওয়ায় পুনরায় :করিয়া বেদ-বিভাগের প্রয়োজন অতৃভূত হয়। কৃষ্ণছৈপ.ে বেদব্যাসরূপে সমগ্ৰ বেদসংহিতাকে করেন । هي وايي :مت করিয়! চারি e* এক বেদং চতুস্পাদং চতুর্গ পুনরীশ্বর । যথ বিভেদ ভগবান বাসি সৰ্বনি શ્રકૃદ્ધિક , સામૂ : --1 এই চারি ভাগের নাম ঋক্, যজু, সাম ও অ’ । কৃষ্ণদ্বৈপায়নের পরবতী কাল হইতে ‘চতুৰ্বেদ’ শব্ব প্র8’ল - হঠয়াছে । তৎপূর্বে বেদ ত্রয়ী নামে অভিহিত ছিল । সচরা: কৃষ্ণদ্বৈপায়ন কতৃক চতুৰ্বেদ সুনির্দিষ্ট হওয়ার পর আগ কোন নুতন স্বজ ঋগ্বেদে স্থান পায় নাই । কৃষ্ণদ্বৈপায়নে: পরবর্তী কাল হইতে ক্ৰমে ক্রমে যজ্ঞাতুষ্ঠান অপ্রচলিত হইয়ু আসিয়াছে। যজ্ঞের লোকপ্রিয়তার লাঘব rে? যাইলেও এখন পর্যন্ত শ্রেীত যজ্ঞকম সম্পূর্ণ লুপ্ত হয় নাই । কয়েক বৎসর পূর্বেও অনাবৃষ্টি হওয়ায় আমি দ্বারভাঙ্গায় এবং পুরীতে ইন্দ্ৰযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হইতে দেখিয়াছি।