শ্রাবণ বুদ্ধিগ্ৰাহ মহে । আগুবাক্য বা ঐতিহ্যের প্রভাবে অলৌকিক ধর্মবিশ্বাস উৎপন্ন হয় । ধমের অলৌকিক অংশের ইংরেজী প্রতিশব্দ religion । বেদ religion বলিয়া বিবেচিত হঠলে সংরক্ষিত ইষ্টবে এ-কথা বিচিত্র নহে। অনেকে মনে করেন বুঝি এই কারণেই বেদস্তত্ত্ব রক্ষা পাইয়াছে। Barnett : Antiquities of /udit, p. 1 ; Fraser : Literary IIistory of India, 3rd edition, 1915, p. 2; Macdonell ; History of Sanskrit Literature, 1000, p. 1. ইত্যাদি বহু পুস্তকে এই প্রকার মতের আভাস পাওয়া যায়। আমি এই প্রবন্ধে দেখায়াছি যে আদিতে বৈদিক ভূক্তগুলিতে অতিপ্রাক্লত religious কিছু ছিল না । শূর বীরগণের উদ্দেশ্রেষ্ঠ এই সকল স্বত্ত রচিত হইয়াছিল । তবে কেন ঋকৃদন্ত সংরক্ষিত হক্টল ? ধমের সহিত বীরগাথার সম্পর্ক কি ? অপৌরুষেয় বেদ ও ধম।--হিন্দুধমের উদেস্য একাধারে সমাজরক্ষা ও আত্মোন্নতি । আত্মোন্নতির চরম উৎকর্ষ ব্ৰহ্মজ্ঞানলাভ ! ধমের এই দুই উদ্দেশ্য সম্বন্ধে অতি প্রাচীন কাল হইতে হিন্দু সচেতন ছিলেন । প্রাচীন হিন্দু ঋযি জানিতেন প্রাকৃতিক সহজাত প্রবৃত্তিগুলিকে অস্বীকার করিয়া ধে ধৰ্মশাস্ত্র প্রণীত হয় তাহ স্থায়ী হইতে পারে না । প্রবৃত্তিসমূহ সৎপথে চালিত হইলে সমাজের উন্নতি হয়। অসংযত কম-ইচ্ছ। সমাজ ধ্বংস করে, অপরপক্ষে বিবাহরূপ সামাজিক অসুষ্ঠানে কামপ্রবৃত্তি স্থান পাইলে তদ্বার সমাজ প্রক্ষা হয় । অসংযত নিষ্ঠুরতা সমাজ-পরিপন্থী কিন্তু ধমযুদ্ধে সমাজরক্ষাও হয় এবং মঙ্গুষ্যের স্বভাবজ নিষ্ঠুর প্রবৃত্তিও চরিতার্থ হয় । ধৰ্মশাস্ত্রকারের সং অসং সকল প্রকার প্রবৃত্তির সহিত পরিচিত থকঃ আবশ্বক ঋষি-রচিত বেদস্থক্তে সকল প্রকার আদিম মনোভাব স্থান পাইয়াছিল। ঋষি শত্রনিযাতন কামনা করিয়াছেন, হিরণ্য পশু অশ্ব তৃত্য চাহিয়াছেন, ভেকের গানে মোহিত হহয়! স্তোত্র লিখিয়াছেন, মারণ উচাটন মন্ত্র উচ্চারণ করিয়াছেন, দূতক্রীড়ার কুফল বর্ণনা করিয়াছেন, কুৎসিত কামজ ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছেন, দুখ অদৃশু সকল প্রকার দেবতার আবাহন করিয়াছেন, ব্ৰহ্মজ্ঞানের বাণীর গভীর ঝঙ্কার শুনাইয়াছেন । মোট কথা, স্বাভাবিক প্রবৃত্তিসমূহের বশে চালিত সরলমন ঋষির মনে ঘথন যে ভাব উঠিয়াছে তিনি তাহাই অকপটে স্বত্তাকারে প্রকাশ করিয়াছেন । বুদ্ধি, নীতি, ধমত্তান, লজ্জ কিছুই তাহার ভাবপ্রকাশে বাধাস্বরূপ হয় নাই । পুরুষের শ্বাসপ্রশ্বাস যেমন স্বতঃস্ফুত হয় মানবের চিরন্তন কামনাসমূহ তদ্রুপ ঋষির মনে প্রতিফলিত হইয়াছে ও তিনি তাহা বিনা বিচারে ব্যক্ত করিয়াছেন । এই জন্যই ঋষি মন্ত্রদ্রষ্ট, মন্ত্র ঋগ্বেদে ইচন্দ্র 3dog শ্ৰষ্ঠ নহেন । এষ্ট জন্যই বেদ অপৌরুষেয়, অর্থাৎ বেদ কোনও ব্যক্তির সুচিন্তিত, বুদ্ধিপ্রস্থত লিখন নহে । পুরাণপ্রবেশ’ গ্রন্থ হইতে কিঞ্চিৎ উদ্ধৃত করিতেছি,— মানবের চিরন্তন হিংসাদি প্রবৃত্তিকে অগ্রাহ্য করির যে ধর্মশাস্ত্র BBBSBBB BBS BB BBBB BB BB BDD BBB KBB B S BB বেদবর্হিভূত তাহ অগ্রাঙ্গ ৷ পক্ষপাতশূন্ত ঋষিগণ কতৃক উপলব্ধ হইয়' মানবের স্বাঞ্চ বিক কামনাসমুহ বেদরুপে প্রকাশিত হইয়াছে বলিয় বেদ প্রমাণ হিন্দুশাস্ত্রকারগণের মতে শ্বশ্বগুণীয়। বিজ্ঞানী যেরূপ পধ্যবেক্ষণলব্ধ ধটনকে অগ্রাহ করিয়া বিজ্ঞানশাস্থ গড়িতে পারেন না, সেইরূপ ধম রক্ষক ও দর্শনকার অসুভবসিদ্ধ প্রবল মানবীয় BBBBBBB DSD DBB BBB BB BB BBB BBB B S মামুখের মনে চিরন্তন হিংস প্রবৃত্তি আছে, এই প্রবৃত্তি চরিতার্থ করিবার BB BBBB BBB B gBBB BBB SBBBB BSS BBB BB BB হিন্দুশাস্থে ধম ও স্বগ প্রদ। পশুবলিও এই কারণে শাস্ত্রসম্মত । মানুষ পশুমাংস পাইবেই । কম্বাইয়ের পশুবলি ও কালীঘাটে পশুবলি পশুর পক্ষে উভয়ই সমান । হিন্দুশাস্থে মৃগয়ালব্ধ ও বলিমাংস ভিন্ন অপর প্রকারে প্রাপ্ত মাংস খৃথামাংস নামে পরিচিত। মুগল্প যুদ্ধ প্রভৃতি কাযে মামুষের শ্বদম্য হিংসা প্রবৃত্ত্বিও চরিত্যৰ্থ হয় অথচ তাহ সমাজের পক্ষেও আবখ্যক । কোন ব্যক্তির মন কোমল প্রকৃতির হইলে অহি-সই তাহা : পক্ষে পরম ধম । সমাজসম্মত ভাবে নিজের প্রকৃতি অনুযাধী বৃত্তি নির্বাচন কবিয় জীবনযাত্র। নিৰ্বাহ করাই স্বধম | পুরাণাদি শাশ্ববর্ণিত স্বধমের ইহাই অর্থ। হিন্দুশাস্ত্রমতে কুরুকর্ম BBB D KBBBBBB BBB BBBDD BBB BBB BBS BBBBS হিন্দু সমাজের মধ্যেই বিরুদ্ধধর্ম, শক্তি ও বৈষ্ণবের স্বান আছে । পুরাণপ্রবেশ । পৃ. ২৭৬-২৭৭ ঋগ্বেদের যম ও ধর্মী সংক্রান্ত স্থক্তে । ঋ১০ম।১০। আছে যমী নিজভ্রাতা যমকে কামজ প্রেম নিবেদন করিতেছেন। ভ্রাত ভগিনীর মধ্যেও সময়-সময় যে কামভাব দেখা দিতে পারে হিন্দুশাস্ত্রকারের নিকট উক্ত স্বত্ত তাহার প্রমাণ । এরূপ ঘটনা যাহাতে সমাজে নী ঘটে তজ্জন্য মসুসংহিতায় উপদেশ আছে মাত, ভগিনী ও দুহিতার সহিত নিজনে একাসনে বসিবে না, কারণ ইন্দ্ৰিয়গ্রাম বলবান বলিয়া বিদ্বান ব্যক্তিকেও কর্ষণ করে । হিন্দুঋষি বেদ প্রমণানুযায়ী ধর্মশাস্ত্র প্রণয়ন করিয়াছেন । তিনি জানিতেন সকল প্রকার শ্রদ্ধাভক্তি, বিস্ময়, রসামুভূতি প্রভৃতির উৎস একই । এই উৎস মানব-মনে । পিতা মাতার প্রতি ভক্তি, দেবতায় ভক্তি, ব্রহ্মে ভক্তি বিভিন্ন পদার্থ নহে। মূলতঃ ভক্তি একই কিন্তু ইহার প্রকাশ পৃথক পৃথক । বিস্ময়, রসাতৃভূতি প্রভৃতি অন্য ভাব সম্বন্ধেও এই কথা সত্য । যে ভক্তিশ্রদ্ধা নরপতি ইন্দ্রে অপিত হইয়াছে উপযুক্ত ভাবে পরিচালিত হইলে তাহাই আন্তরীক্ষ দেব ইন্দ্রে, অদৃশু দেব ইন্দ্রে এবং পরিশেষে পরম দেব ইন্দ্রে অপিত হইবে। এই জন্যই নরপতি ইন্দ্রের উদেশে রচিত স্তোত্র বেদে স্থান পাইয়াছে । এই ভাব ক্রমে পুষ্ট হওয়ায় বিভিন্ন প্রকারের ইন্দ্রস্তোত্র রচিত হইয়:ছিল। যাগযজ্ঞের
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।