পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ෆෆ রাগের আগুন নিবিয়া যায়। তবে একটা উদাস-উদাস অবহেলার ভাব, কথায় কথায়ু অভিমান করিয়া কঁাদ-কাদ হওয়া এ সমস্তের ওষুধ হিসাবে দরকার হয় একখানা শাড়ী। দামী নয়, সাধারণ একখানা শাড়ী, ডুরে হইলেই ভাল । এক বছর মোটে দোকান করিয়াছে শতু, এর মধ্যে এমনিভাবে এবং এই ধরণের অন্য ভাবে সরল সাতখানা শাড়ী আদায় করিয়াছে। সাধারণ কম দামী শাড়ী-ভুরে হঠলেই ভাল । তবু, বছরের শেষাশেষি, চৈত্র মাসের কয়েক তারিখে, অকারণে শম্ভু তাকে আর একখানা ডুরে শাড়ী কিনিয়া দিল । বলিল অবশ্ব ষে ভালবাসিয়া দিয়াছে, একটু বাড়াবাড়ি রকমের ব্যগ্রতার সঙ্গে বাড়াবাড়ি রকম স্পষ্ট করিয়াই বলিল, কিন্তু বিনা দোষে সাত বার জরিমানা আদায়কারিণী বেীকে এরকম কেউ কি দেয় ? যাই হোক, শাড়ী পাইয় এত খুশী হইল সরলা যে আর এক দণ্ডও স্বামীর বাড়ীতে থাকিতে পারিল না, বেড়ার ওপাশে শ্বশুরবাড়তে গিয়া হাজির হইল। শঙ্কুর বাড়ীটা আসলে আস্ত একটা বাড়ী নয়, বাড়ীর এক টুকরা অংশ মাত্র,—তিন ভাগের এক ভাগ । দোকানঘর ও শয়নঘরে ভাগ করা বড় ঘরখানা, উত্তরের ভিটায় আর একখানা খুব ছোট ঘর, তার পাশে রাল্লার একট চালা আর শয়নঘরের কোণ হইতে রান্নার চালাটার কোণ পধ্যস্ত মোট শক্ত ডবল চাচের বেড়া দিয়া ভাগ-করা তিনকোণ এক টুকরা উঠান । শস্তুর তিন ভাই কিনা তাঙ্গ বছরখানেক আগে এই রকম ভাবে পৈতৃক বাড়ীটা ভাগ করা হুইয়াছে, বেড়ার এ-পাশে শস্তুর এক ভাগ এবং ওপাশে অন্য দু-ভায়ের বাকী দু-ভাগ । এ-পাশে শতৃ আর সরলা থাকে, ওপাশে একত্র থাকে শঙ্কুর দাদা দীননাথ ও ছোট ভাঙ্গ বৈদ্যনাথ, তাদের বে। আর ছেলেমেয়ে, শঙ্কুর বিধবা মা ও মাসী, এবং শঙ্কুর দু'টি বোন। এভাবে শুধু বৌটিকে লইয়া বাড়ীর উঠানে বেড়া দিয়া ভিন্ন হওয়ার জঙ্গ শস্তুকে ভয়ানক স্বার্থপর মনে হইলেও আসল কারণট; কিন্তু তা নয়। এক বছর আগে শঙ্কু ছিল বেকার, সরলার দোকানদার বাবা বিষ্ণুচরণ তখন অবিকল এই রকম ভাবে ভিন্ন হওয়ার সর্ভে জামাইকে প্রবণসী &Nご8\○ দোকান করার টাকা দেয়। মৃতরাং বলিতে হয়, স্বামীকে ভেড়া বানাইয়া নয়, বর্তমান স্বথ ও স্বাধীনতাটুকু সরলা তার। বাপের টাকায় কিনিয়াছে । কি স্বথ সরলার, কি স্বাধীনতা ! বেড়ার ওপাশে. যাদের কাছে সে ছিল একটা বেকার লোকের বেী, বেড়;ং এ-পাশে এখন তাদের শোনাইয়া শোনাইয়া ঝমর ঝমর মূল বাজাইয়া হাটিবার কি গৰ্ব্ব, কি গৌরব ! দোকানটা ভালঃ চলিতেছে শঙ্কুর, ওদের টানাটানির সংসারের তুলনায় তার কি সচ্ছলতা ! একটু মুখ ভার করিলে তার ডুৱে শাড় আসে, না করিলেও আসে । সরলার পরণে নূতন ডুরে শাড়ীখানা দেখিয় বেড়ার ওপাশের অনেকে অনেক রকম মন্তব্য করিল । তার সব চেয়ে কড়া হইল ছেড়া ময়লা কাপড়-পরা বড়-জা ক’ল’ ? মন্তব্য। শীর্ণ মুখে ঈৰ্ষা বিকাণ করিয়া বলিল, নাচনেঙসেজে গুরুজনদের সামনে আসতে তোর লজ্জ কবে না মেছ বেী ? ঘা যা নাচ দেখিয়ে ভোল গে য: স্বামীকে । ছোট-জ ক্ষেস্তির মাথায় একটু ছিট আছে কিন্তু স: নাই । সে গিল থিল করিয়! হাসিয়া বলিল, ঝম-ঝম ধঃ মল্প বাজে সারাদিন, মেজদি নিশ্চয় দিনরাত্তির নাচে দিi" পান থাবে মেজদি ? হঠাৎ ভাস্বরের আবির্ভাব ঘটায় লম্ব ঘোমটা টানিঃ সরল একটু মাথা নাড়িল । দীননাথ গষ্ঠীর গলায় বলিল, মেজবে কেন এসেছে পুটি ? বিবাহের তিন মাসের মধ্যে স্বামী কর্তৃক পরিত্যক ক:ঠির মত সরু পুটি বলিল, এমনি । —এমনি আসবার দরকার !—বলিয় দীননাথ সবিয় গেল । সরলা ঘোমটা খুলিল এবং বৈদ্যনাথ আসি, পড়ায় ক্ষেস্তি টানিল ঘোমটা ; বৈদ্যনাথ একটু রবি মাষ্ট্রয় ; দোকাণে বসিয়া থন্দেরের সঙ্গে রসিকতা করে, বৈদ্যনাথ সময়-অসময় ম’অমান্তম বাছে না । সম্ভবত: রাত্রে তার রসিকতায় চাপি, চাপিয়া হাসিতে হয় বলিয়া ক্ষেস্তির মাথায় যপন-আপ" কারণে অকারণে খিলখিল করিয়া হাসিয়ু ওঠার ছিট পে দিয়াছে । সে আসিয়াই বলিল, মেজো বৌঠান যে সেঞ্জে গুটে । কি সৌভাগ্য! কি সৌভাগ্য ! কার মুখ দেখে উঠেছিলাম, ', শম্ভু কেবল বা%-রা: