পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমপণমস্তু শ্রশৌরীন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য কোন অনাদি অনন্দেরি ছন্দ থেকে চঞ্চলিয়া ঝরলে আদি সৃষ্টিভলে লক্ষকোটি মন ছলিয় । কোন খেয়ালে শুষ্টিখেলার লীলার লাগি বন্দী তুমি, মূৰ্ত্ত হ’লে দেহের গেহে এই ভুবনের গন্ধে চুমি । বিশ্ব জুড়ে রূপখেয়ালী রচলে রূপের কুঞ্জবন, তোমায় ঘিরে স্পষ্ট হ’ল তোমার লীলা গুঞ্জরণ । জন্ম থেকে জন্ম বহি সেই যে সবার যাত্র। মুর, কৰ্ম্মদোলায় নৰ্ম্মমানব তোমায় তুলে রইল শুরু । সখের লীলায় বন্দী হয়ে এই ভুবনের অস্তরে গো, মম্মদলে করছ পেল নৰ্ম্মলীলার কোন ঘরে গে ? বাজছে তব মোহন বেণু করছে সদা তোমার মধু, তোমার নাগাল পায় না তবু তোমায় হারা জীবন-বধূ । প্রাণের মাঝে শক্তি তুমি অষ্টেরি ছদ্মপথে, গুষ্টি-ফুলের পাপড়ি-ঢাকা মগ্ন আছ মৰ্ম্মরথে । স্ত্র হয়ে গাথলে তুমি জন-লীলাপদ্মহার, পদ্ম কবে পড়বে ঝরে খুচবে আড়াল ছদ্মতার । পুপমণির মালায় মোহি তোমায় হ’ম বিস্মরণ, মৰ্ম্ম খুলি মানব কবে দেখবে তোমা চিরন্তন । দেখবে কবে স্বরূপ তব অরূপ তোমা নিৰ্ব্বিকার, মিশবে কবে তোমার সনে মানব-মনের নীলবিথার। তোমার রসের কেন্দ্ৰ হ’তে ঝরলে যে সব ঝর্ণাঞ্জল, সিন্ধু হ’তে ফিরাও তাদের বিন্দুবিরাটু আচঞ্চল। সিন্ধুহিয়ায় নদীর ধারায় হোক না তাদের চিহ্নময়, জানাও তুমি—তাদের ধারা তোমার সাথে ভিন্ন নয় । গঙ্গাধারা সাগর হয়েও তোমার সাথে যুক্ত হোক, লীলায় জীবন বন্দী হয়েও তোমার দিকে মুক্ত রো’ক্‌ ৷ ধরার বুকে ভিন্ন রেখেও—দুঃখে করি বিমুক্ত, আবার প্রভু তোমার সনে মোদের কর শ্রযুক্ত মানবনারীর জীবনলীলায় লুকিয়ে নাচো ছন্দ তুমি, তোমার যাদুর ইন্দ্রজাল এই তোমার লীলারঙ্গভূমি । আজকে তুমি ভেদ করেছ আমার লীলা মৰ্যদ্বার, মৰ্ম্মম্বারে স্বপ্রভাতে হের তোমায় সারাৎসার । হেরস্থ তোমায় ব্যাপ্তচেতন রূপসাগরে কী কল্লোল, তোমার লীলার হিন্দোলাতে আমায় দিলে দোদোলদোল । আমায় যেমন করলে দয়া এমনি দয়ার স্পর্শমণি, সব মানবের জীবন কখন করবে হঠাৎ স্বর্ণখনি ? মাটির মোহ তুলিয়ে সবার এক মিনিটের কত্ত সাজ, দও খুলে দাও জীবনশ্লোকে তোমার গীত দয়াল রাজা। মানব-মনের তুলির লিখন তোমার রঙে হোক রঙীন, সব কবিদের ছন্দে আবার বাজুক তব ছনবীণ ! ধরার লেখা পূর্ণ করি তোমার লেখার গন্ধ দানে, অহংলীলা হরণ কর তোমার লীলানন্দগানে । কৰ্ম্মধরার যন্ত্র ছুটুক তোমার লীলাযন্ত্রে সেজে, এই মনেরি মন্ত্র উঠুক তোমার পূজামস্ত্রে বেজে । আজ থেকে সব কৰ্ম্ম তোমার মৰ্ম্মে মিশে ভাঙক ভুল, মাটির নিখিল তোমার লীলায় ফুঢ়ক হয়ে পদ্মফুল । ভাড়াও তব রসের ঘাটে এই জীবনের পণ্যতরী, কামধরণীর তৃষ্ণ লহ তোমার ভোগে ধন্ত করি। তোমায় ছয়ে মানবনারী করুক বিজয় দুঃখ শোক, জীবন হউক নিত্য আবার চিত্র ইউক ব্রহ্মলোক । তোমার রুপ ধরতে আজি ব্যাকুল কর বিশ্বমন, আমার সাথে মানব তোমায় করুক হৃদয় সমৰ্পণ । চিত্ত লহ--বিস্তু লহ—সৰ্ব্ব লহ–গ H তম:, আত্মা দেহ তোমার পদে সমর্পণমস্তু মম।