পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“চণ্ডীদাস-চরিত” ( 8 ) বাসলী দেবীর উক্তি । নাকার সাকার সাধন বাছা বুঝতে পার না কি। নাকার-সাধন যেমন ফুলা সাকার-সাধন টেকি ৷ ব্ৰহ্মভাবের ভাবুক হলে উচ্চপদ পাবি। ধ্যানভাবের ভাবুক হলে মাঝে থাকে যাবি ৷ স্তুতি জপের কৰ্ম্ম হলে বলবে অধম সবে। বাহ পূজক হলে তারা অধমাধম কবে । উক্লকরণ করগে আগে জামায় সাক্ষ রাত্বি । সেই গুরু যার বাক্যগুলি বেদে মাখামাথি । আপ্ত ঋষি জানবি তারে শুনবি মুখে যার। আপ্ত বাক্য আগম নিগম বেদ বেদান্ত সার । চাড়াল হলেও নিত্য সত্য তথায় দেখতে পাবি। বুঝবি তখন পরমব্রহ্ম সত্য মিথ্যা সবি । হৃদয়ে তোর উদয় যবে হবে ব্ৰহ্মজ্ঞান । মিথ্যা রূপে দিবেন দেখা নিজেও ভগবান । মায়া-শরণ ব্ৰহ্ম যেমন জলের তরঙ্গ । ব্রহ্মেবি তা স্ফুরণ মাত্র নহে তার অঙ্গ । শুরুর রুপায় চিনবি যখন ওঁ তৎসৎ যিনি । উঠবে জাগে হৃদয়ে তোর কুলকুণ্ডলিনী । শুনবি যখন অলির মত মধুর গুপ্পন । তথন হবে চণ্ডীরে তোর ওস্কার দর্শন । মানুষের এই চরম লক্ষ্য যে যা করুক আগে । যজ্ঞ কি তপস্যা যোগ আদি কৰ্ম্ম যোগে । সবাই আমার চন্দ্রশেখর সবাই আমার হরি । সবাই আমার গণপতি সবাই শাক শুরী । সবাই আমার আমিই সবার আমিই আমার ধৰ্ম্ম । আমিই তিনি তিনিই আমি আমিই কৰ্ত্তাকৰ্ম্ম । শৈব শাক্ত গাণপত্য বিষ্ণুপদাশ্রিত। এমনি ভাবে ভাবতে পারলে সবাই ব্রহ্মবিত ॥ কিন্তু বাছাধন সত্য কর পণ মিথ্যা ফেল পদে ঠেলি । সত্যে সজাগ ব্ৰহ্ম মিথ্যা পথ পেলে আত্মানন্দে যান চলি । কর্মকাণ্ডে দুখ জ্ঞানকাওে স্বথ এ দুটি তুমারি তরে। না ভুঞ্জিলে ছুখ স্বথের মাধুরী বুঝিবে কেমন করে । যেই আপ্ত বাক্যে নিত্য সত্য মিলে নাহি যাহে ভেদাভেদ । সেই আপ্ত বাক্য গুন বাছাধন আগম নিগম বেদ । যে জানে পুরাণ স্মৃতি ইতিহাস সে বুঝে বেদের মৰ্ম্ম । ঠেলি ফেলি সব জাতি বন্ধু দ্বিজেব ভাব লুকাচুরি কৰ্ম্ম। ত্যজি ভাষ্যকার লুকচুরি-খেলা শস্ত্রকার-রূপকতা । মুক্তিশাস্ত্র মত বিচার করিলে আর না কহিবে কথা । রূপকের বনে প্রণব ঝঙ্কার হৃদয়-রঞ্জন তরু । ষড়রস মাঝে প্রসিক নাগর ওঁ তৎসং গুরু ॥ সমর-প্রাঙ্গণে করে ধরি অসি তত্ত্বমসি করে খেলা । কোথা কিছু মাই রূপহীন তায় হৃদয় করিছে আল ৷ মুণ্ডমালী কালী লোলে!-রসন মৌলি বদ্ধ তার ওম । রুদ্র হলে জাগে প্রণব ঝঙ্কার মুখে বোবে বোম্ বোম্‌ ! বেদবেদান্তে ব্ৰহ্ম ব্রহ্মোপনিষদে সাংখ্যে পুরুষ পুরাণ । বৈশেষিকে আর মীমাংসা দর্শনে ধৰ্ম্মমাত্র প্রণিধান । ন্যায় পাতঞ্চলে ঈশ্বর-সাধন সাধুসঙ্গ অভিধানে । দীপিকার মতে ক্রিয়া-সাধ্য গুণ সম্ভব যা নরগণে । অহিংস পুরাণে মুক্তি শাস্ত্রে ন্যায় কৰ্ম্ম ষেবা শুভকরী। ইতিহাসে রামকৃষ্ণ নামগান ভবাঞ্চিতরণে তরী। মূলে গায় গীত বেদ সমুদয় শ্রতি সুললিত তানে । দোবারি করিছে বেদান্ত তাহার উপনিষদের সনে । আর সবে মিলি করিছে সঙ্গত বাধি বাদ্য পরতেক । মাঝে মাঝে রং পুরে তায় কত তালে কিন্তু সব এক । কত বাচস্পতি তর্ক-পঞ্চানন কত সে সুসবিদ্য বাগীশ । হেন শাস্ত্র-সিন্ধু মথি স্বধ-জাশে তুলেছে কেবল বিষ । আত্মজ্ঞান-ইন পাণ্ডিত্যে কেবল বহুতৰ্ক তাহে তুলি। দিলা রসাতল ভাবাৰ্থ সকল টাকার বাজার খুলি ।