পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

CIS్స8 প্রবাসী ১৩৪৩ রোহিণীর হাতে ধরি দয়ানন্দ তবে । চওঁী কহে সৰ্ব্বঘটে শ্রীকৃষ্ণ অামার । আপনার জাতি কুল কেন না হারাবে ॥ ঙেই আমি করি সবে শত নমস্কার । তর্কচষ্ণু কহে কৃষ্ণ দেবকীনন্দন। ভজহু গোবিন্দ-পদ মনে করি গুরু । সবার পূজিত তিনি দেব নারায়ণ ॥ পাইবে অভয়পদ কামকল্পতরু ॥ ক্ষত্র-বালা মৎস্যগন্ধ হাতে ধরি তাঁর । এবার সকলে মিলি কর গাত্ৰোখান । ক্ষত্রিয় বহিবা কেন কলঙ্কের ভার ॥ ১৪% ] ভোজনের কাল প্রায় হল আগুয়ান ॥ হাসিয়া কহিলা চণ্ডী গুন সৰ্ব্বজন। হাসিয়া কহেন সবে ব্রাহ্মণভোজন । কহি তবে রোহিণীর জন্মবিবরণ ॥ কেমনে হইবে প্ৰভু কোথা আয়োজন । ব্ৰহ্মণ্য-পুরের রাজা ভবানী-কোর্যাত । চণ্ডী কঙ্গে প্রস্তুত হয়েছে সব জানি । তার অঙ্গে যেদিন হইল অস্ত্রাঘাত ॥ যখন লঞেছে ভার রাই রাসমণি ॥ ছিল সেথা সনাতন সেই প্রাণাকুলে। ছুটি গিএগ প্রবেশিল অন্দর মহলে ৷ মহিষী কহেন কঁাদি গুন সনাতন । করহ কন্যার মম জীবন রক্ষণ ॥ কম্বা লঞে সনাতন করে পলায়ন । বহু যত্নে করে তার লালন পালন ॥ শুন সবে হে ব্ৰাহ্মণ কহি দিব্য করি । সেই কন্যা হয় এই রোহিণী সুন্দরী। তার বিআ দিতু আমি দয়ানন্দ সাথে । ব্রাহ্মণের জাতি তবে গেল কোন পথে ॥ মাতা বলতে রামী মোর পিতা বলতে রামী । প্রিয় বলতে রামী আর প্রিয় বলতে আমি ॥ পুত্রকন্যা রামী মোর ভাইবন্ধু সব । রামীই আমার প্রাণ রামী অবয়ব ॥ অস্তরে অস্বিকা মোর বাহিরে সে রামী । কে বুঝিবা তার লীলা বিনা অন্তর্যাম । সাধু সাধু চণ্ডীদাস সবে উচ্চে কয়। বুদ্ধ করে আশীষ যুবক প্রণময় ৷ দৃষ্টিহীন মোরা সবে তুমি চক্ষুষ্মান । অতি ভাগ্যবান মোদের বিজয়-নারাণ ৷ কৃপাদৃষ্টি কর প্রস্তু সকলের প্রতি । বছ অপরাধী মোরা চরণে সম্প্রতি ॥ চষ্টমগ্ন দিয়া কাণে পদে দাও স্থান । এ ঘোর সঙ্কট হতে কর পরিত্রাণ ॥ রজকিনী বলি সবে চমকে থমকে । সমুখে দেখিল হাসে রজক-বালিকে । যেন শত সৌদামিনী এক হঠয়া । চমকে সৰ্ব্বর দাদি থাকিয়! থাকিয় ॥ সঘনে কম্পিত সবে প্রণমে উদেশে । কহিলেন রাইমণি মুদুমন্দ হেসে | কলি-তক ছিন্ত আমি রামী রজকিনী । সবার সিদ্ধাস্থে আজি সুছি ব্রাহ্মণ ॥ সুতাসং থাকে যদি এ -এ মিলন । ঘটে থাকে কালে তায় মিত্রতা-বন্ধন | দ্বিভাবে না থাকে তারা হয় একমত । স হ হয় অসং অথবা সতীশং ॥ চির-সহচরী মোর আছিল। রোহিণী | এক প্রাণ এক মন এক স্বাত্মা জানি ॥ বিচারে দাণ্ডায় যদি ব্রাহ্মণত্ব তার । রঞ্জকত্ব রমণীর কি করে থাকে আর ॥ করপুটে কহে তবে ব্রাহ্মণমগুলী । ছুমার সিদ্ধান্ন খণি থান ম; বাসলী । তাহলে বুঝিব তুমি ব্রাহ্মণীর পার । অবাধে খাইব মোরা সিদ্ধান্ন তুমার । এই কথা শুনি রামী মুত্তিক খুড়িয়া । বাহির করিল অন্ন স্তরধিত হষ্টয়া ॥ কাঞ্চন থালায় তবে অল্প দিল বাড়ি । তার পাশে দিলা পাতি এক স্বর্ণ পিড়ি ৷