পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

位8之 না। সে মনে মনে নিজের অভিশপ্ত অদৃষ্টকে ধিক্কার দিয়ে চিস্তা করতে লাগল যে কি উপায়ে নিজের এই দুরদৃষ্টের ছায়াপাত থেকে এদের শান্তিময় জীবনকে সে রক্ষা করতে পারে । আপনার দুগ্রহ নিয়ে এই বাড়ী থেকে সকলের অজ্ঞাতে নিজেকে অপসারিত ক’রে নিয়ে যাবার কথা তার মনে হয় নি যে তা নয় । কিন্তু প্রথমত নিতান্ত অপরিচিত বাইরের জগতের যে অল্প অভিজ্ঞতা সে তার জীবনে লাভ করেছিল তার কথা চিন্তা করতেও তার মন আতঙ্কে অবসন্ন হয়ে পড়ে। দ্বিতীয়ত তার পুত্র, যে তার স্বামীর একমাত্র প্রতীক, তার দুঃখের দিনে একমাত্র সাতুন, তাকে ছেড়ে সে কোন মতে দূরে চলে যেতে পারবে না। তবু তাকে ত একটা উপায় করতেই হবে যাতে তার উপস্থিতিতে এই পরিবারের অদৃষ্ঠাকাশে যে বিপ্লবের দুলক্ষণ ঘনিয়ে উঠছে তার প্রতীকার হতে পারে । অনেক চিস্তার পর একদিন সে মালতীকে বললে, “দিদি, এমনি ক’রে শুয়ে-ব'সে ত সময় আর কাটে না । একট কোন রকম কাজকৰ্ম্ম শেখার বন্দোবস্ত তোমার স্বামীকে বলে যদি ক'রে দাও ত আমার ভারী উপকার হয় ।” মালতী বললে, “কেন ভাই, চাকরি করতে যাবে নাকি ছাতা হাতে ক'রে ?” বলে ছাতা হাতে ক'রে চাকরি করতে যাবার ছবিট। মনে ক’রে সে হেসে উঠল । কমল কিন্তু এত সহজে কথাটাকে হেসে উড়িয়ে দিতে দিল না । সে অনেক অস্ত্রনয়-বিনয় করে তাকে বোঝাতে লাগল। বললে, “সমস্ত দিন নিজেকে নিয়ে নাড়াচাড় করে, নিজের এই পোড় কপালের কথা ভাবতে ভাবতে শেষে পাগল হয়ে যাব । তবু যা হোক একট কাজকৰ্ম্ম শেখার দিকে মন দিলে একটুখানি নিজের কাছ থেকে রেহাই পাব।” অনেক বাকৃবিতণ্ডার পর মালতী মনলালকে বলতে রাজী হ’ল । বললে, “উনি কিন্তু ভাই ভয়ানক রাগ করবেন আমার উপর ” নন্দলালকে বলাতে সে গম্ভীরভাবে একটি “লু” ব’লে চুপ করে রইল। মালতী বললে, “আমি অনেক ক'রে বারণ করেছিলাম, তা ও কিছুতেই শুনতে চায় না। বলে এমন ক’রে ভেবে ভেবে শেষে পাগল হয়ে যাবে । তুমি বরং একটু বুঝিয়ে বল ।” প্রবাসী >Nご8いご নন্দলাল আবার ছোট্ট করে বললে, “আচ্ছা” । কয়েক দিন কেটে গেল । কোন দিকেই কোন সাড়াশব্দ নেই । নন্দলালের মনে মনে একবার একটু অভিমান হ’ল । এমন কোন দুর্ব্যবহার ত সে জ্যোৎস্বার উপর করে নি যার জন্যে তার গৃহ পৰ্য্যন্ত পরিত্যাগ করা দরকার দুনিয়ার অন্য সহস্ৰ লোকের সঙ্গে তার যে চরিত্রের কত প্রভেদ তা সে বুঝতে পারল না ! স্ত্রীলোক কি শুধুই স্বাথ ছাড়া অন্য কিছুই ভাবতে পারে না ? একবার তার মনে এমন তুরাশাপূর্ণ সন্দেহও হ'ল যে জ্যোংস্কার মনে হয়ত তার সম্বন্ধে কোন দুৰ্ব্বলতার সঞ্চার হয়ে থাকবে । কিন্তু কখনও কি তাহ'লে সে-কথার আভাস সে পেত না ? ভাবলে, কি জানি স্ত্রীলোকের চরিত্র দুজ্ঞেয়। দেখা যাক ব্যাপারটা কি ! কয়েক দিন পূরে কমল। আর থাকতে না পেরে মালতীকে হ'তে পারে | জিজ্ঞেস করলে, “বলেছিলে দিদি আমার কথা । মালতী বললে, “ছ, বলেছিলাম।” “কি বললেন ?” “কোন কথা বললে না।” “রাগ করলেন ?” “কি জানি ভাই ওদের কিছু বোঝা যায় ন৷ ” কমল বললে, “না দিদি তোমায় আর একবার বলতে এমনি করে সুপ ক’রে থাকতে আমার শার ভান্স তুমি বলে হবে । লাগে ন; লক্ষ্মী দিদি, এতটুকু আমার হয়ে দাও।” মালতী অঞ্চল; গিয়ে মম লালকে বললে । নন্দলাল হেসে বললে, “ ৪কে তোমার বিদায় করবার ইচ্ছা হয়েছে বুঝি । বললেই হয় স্পষ্ট করে । ন হয়, অজয়কে আর ওকে দেশে মা'র কাছে রেপে আসি কি বল ?” মালতী ভারি রাগ করলে । লাগল, “কথ,পনে; না, আমি কখনও শুকে যেতে বলি নি । গোলমাল করে বলতে আমি বরং মানfই করে%ি । ৪ কিছুতেঙ্গ ড়ে না । তোমার ভারি অন্যায় এ রকম ক'রে বলা । খোকনকে কপথনে আমি নিয়ে যেতে দেব না। ধাও মা তুমি নিঞ্জে গিয়ে জিজ্ঞেস কর দিখি নি, আমি কি বলেছি।" বলতে বলতে খোকনকে নিয়ে যাবার কথা মনে ক’রে সে কেঁদে ফেলে ।