পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রণবণ এই সেই ব্যথা-তীর্থ ¢ግግ খাটুনি গেছে, বাড়ীটাও আজ একটু হাল্কা হয়েছে, আজকের দুপুরট। তাই ওয়ে কাটাবার মতলব করেছি। তিমিরবরণ বলিল—সে মন্দ কথা না । আমার পাসেণ্টেজ শর্ট প'ড়ে যাবার ভয় না থাকলে আমিও শুয়ে কাটাতাম আজকের দুপুর । স্বব্রত বলিল—নে, রাধ, বাপু ! পাসেপ্টেজের ভাবনায় তা’বলে স্বস্থিরে থাকতে পারব না ! খুব হয়েছে ! এখন চল আমার সঙ্গে, থাওয়া-দাওয়া চানটান আমাদের ওখানেই হবে'খন। রাখ, তোর কলেজ জাঙ্গ—৪ ত আছেই। সুব্রত যে তাহাকে সহজে ছাড়িয়া দিবে না তাহা তিমিরবরণ বুঝিল, কাজেই নিৰ্ব্বিবাদে সে স্বত্রতর প্রস্তাবেই রাজী হইল । সুত্ৰত ভীষণ থেয়ালী--কখন যে তাহার মাথায় কি পেয়াল চাপিয় বসে তাহার ঠিক নাই। পথে নামিয়াই সে বলিল--একটু ঘুরে যেতে হবে । বোস-সাহেবের বাড়ীর কাছে আমার একটু দরকার আছে । তিমিরবরণ হাসিয়া ফেলিয়া বলিল-বুঝেছি । সে এমন কিছু দরকার নয় যে না গেলেই ময় । তার তাছাড়া বে:স-সাহেবের মেয়ে এতক্ষণে কলেজে চলে গেছে বোধ হয় । সুব্রত তিমিরকে একটু ঠেলিয়া দিয়া বলিল—যা, ও-ছাড় আর যেন কোন দরকার মাতুষের থাকতে নেই । আর সে কলেজে যাক ছাই না-যা ঃ তাতে আমার কি ! তিমিরবরণ বলিল—-ন, তোর যে কিছু তা কি আমি বলছি । আচ্ছা চল, ঘুরেই যাওয়া যাক । বোস-সাহেবের মেয়েটির ব্যবহার কিন্তু চমৎকার । মীনার বিয়ের দিনে একলাই ত ও মেঘুেদের তাল সামলেছে বলতে গেলে । সুব্রত কেমন যেন একটু বিব্রত হইয়া বলিল- নে, প্রশংসায় আর শতমূথ হ'তে হবে না । অমন লোক-দেপানো কাজ সবাহ কল্পতে পারে । — না, সবাই পারে না । আব, সবাই পারলে—অতুরূপের বেনিঙ ত সেদিন এসেছিল--সেও তার নমুনা দেখিয়ে যেতে পারত । সে ত কই একটা মুখের কথা বলে পৰ্য্যস্ব কাউকে খুশী করতে পারলে না।—বলিয়। তিমিরবরণ মুখ টিপিয়া একটু হাসিল । স্বত্রত অমনি ফিরিয়া দাড়াইয়া বলিল—ক{জ নেই ওদিক দিয়ে ঘুরে গিয়ে । চল, পোঞ্জ বা টাই যাই । তিমিরবরণ জোরে হাসিয়া ফেলিয়ু বলিল—নে, স্তাকামে ঢের হয়েছে ! তোর ইচ্ছেটা বুঝতে যেন লোকের আজ 5 বাকী আছে । একটু তাড়াতাড়িই চল, পথে বোস-সাহেবের গাড়ীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটলেও ঘটতে পারে বা । স্বত্রত অভিমানন্তরে বলিল-ন, কিছুতেই যাব না । সেদিন প্রীতি আমাকে ভয়ানক অপমান করেছে। ও যদি আর কারও মেয়ে হ’ত তা হ'লে-- তিমিরবরণ একটু বিস্মিত হইয়া বলিল—সেকি ! প্রীতি কাউকে অপমান করতে পারে ব'লে ত আমার ধারণ নেই। আরও বিশেষ ক’রে তোকে ও অপমান করবে কি ! স্বত্রত গম্ভীর কণ্ঠে বলিল—ত ও পারে । কিন্তু বোসসাহেবের মেয়ের মত কাজ সেট। ওর হয় নি । রাস্তায় হেঁটে আমার সঙ্গে বেড়াচ্ছিল, হঠাৎ নজরে পড়ল বাবুল রায়ের বেবী-অষ্টিন, অম্নি হাত তুলে গাড়ী থামালে । ভাবলাম, কি যেন কথা আছে, তা শেষ ক’রেই হয়ত দেবে বাবুল রায়কে বিদায় । কিন্তু তা নয়--চট্‌ ক’রে গিয়ে উঠে বসল ওর গাড়ীতে । উঠেই আমাকেও তুলতে চাইল সে গাড়ীতে, কিন্তু আমি রাজী না হওয়ায় দিব্যি সে বাবুল রায়ের সঙ্গেই গেল চলে । এর চেয়ে আবার মানুষকে অপমান করা যায় কেমন ক’রে শুনি ? শেষের কথাটায় সুব্রতর অভিমান যে কত গভীর তাহ তিমিরবরণ বুঝিল । কাজেই চটু করিয়া কিছু বলিতেওঁ সে সাহস পাইতেছিল না । পাছে স্বত্রতকে তাহ আঘাত করে । স্বত্রত তিমিরবরণকে নীরব দেখিয়া বলিল—ন, ওদি ঘুরে যাবার আমার কোনও প্রয়োজন নেই। সো বাড়ীতেই চ”—থেয়ে-দেয়ে বহুদিন পরে আজ আবার কবি পড়া যাবে’খন ! তিমিরবরণ আর কোনও কথা না বলিয়া স্বত্রতর সঙ্গে চলিতে লাগিল । গলির মুখেই একেবারে বিজুলীর সঙ্গে তাহদের দে ভালই হইল । বিজলী কলেজে চুলিয়ছে, তাহাকে বলিয় দিলেই হইবে । আর এসব সুচতুরও বটে। কিন্তু তাহার কিছু বলার বলিল—রোল টোয়েটির খবর শুনেসিস ? —কে, বিশ্বজিতের কথা বলছিস্ ত ? সেই ভাল ছে কথা ত ? অারে, সেই যে আমাদের বহরমপুর কলে স্কলার ? কই না, কেন, হয়েছে কি ? বিজয়ী মহা বিস্ময়ের সঙ্গে বলিল- কিছুই সার। ক'লকাত শহরট জেনে গেল, অ’র কিছুই জানিস না 7 বিশ্বজিং যে হাই সাই —এ্যা, সুইসাইড ? সত্যি ? বিজুলী বিষম কণ্ঠে বলিল--হু । কিনা পোটাসিয়াম্ সায়ানাইড খেয়ে – তিমিরবরণ এক রকম অংক'ইয় উঠিয়; বলি– স্বাম বিশ্বজিৎ ! বলিস্ কি বিজয়ী ? ‘প্রক্সী'র কথ ব; পরে বিঃ পূর্কেই বি হত ভাগ