পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ দেখিয়া থাকিলেও তাহার কেমন জানি একটা বিশ্বাস জন্মিয়ছিল যে, ও মুখ সে আর কোথাও অপ্রত্যাশিতভাবে দেখিলেও চিনিয়া লইতে পারিবে । মীনার চোথে কল্যাণীর সমাদর ছিল, তিমিরবরণের কাছে তাই কল্যাণী ছিল অচেনা-আপন । সেই কল্যাণীরই বুঝি আজ কপাল পুড়িল । তিমিরবরণ মুহূর্বের জন্য স্তন্ধ হইয়া সুব্রতদের বাড়ীর বাহিরের দরজার সামনে দাড়াইল । হঠাৎ তাহার কানে আসিল বাউীর ভিতর হইতে রমা দেবীর বিচলিত কণ্ঠের ডাক, সুব্রত ! সুব্রত ! একবার ছুটে য!-- তিমিরবরণ আর সেখানে দাড়াইল না। দিগন্ত বিধুব করিয়া তখন কাল্লার রোল উঠিয়াছে--- রাস্তার মোড়ে অসিয় তিমিরবরণ একটু চমকাইয়া দাড়াইয় গেল । দক্ষিণ দিকের ফুটপাত ধরিয়া একটা লোক চলিয়ছিল ধীরমন্থর গতিতে । তিমিরবরণ সহজেই তাহাকে চিলিতে পারিল, যদিও চিনিবার মত চেহারা তাঙ্গর এখন আর নাই ৷ দল-বাহারীর জমিদার-বাড়ীর ছেলে সে । তিমিরবরণ একটু পা চালাইয়ু ভাঙ্গরষ্ট কাছে অংগাং স্থা গিয়া বলিল-মত্তবাবু যে ! নস্তু শৰু সহসা ফিবিয় দাড়াইল । তার পরে ক্ষণিক বিস্থিত দৃষ্টি তুলিয়। তিমিরবরণের দিকে চাহিয়া থাকিয়৷ বলিল – তুমি সেঙ্গ তিমিরবরণ ত ? পাচ-ছ বছর আগে যেন তোমাকে দল-বাহু!রীতে একবার দেখেছিলাম ব’লে মনে হয় ? তোমাদের বাড়ী ঘর-দের কিছু আর সেখানে এখন নেই বুঝি ? অার থাকবে কি – জমিদারের কবলে গেছে ত--ত ভালই হয়েছে । আর জমিদারেরই বা থাকল কি শুনি – সব গেছে । পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তে গেছে । আর ও কিছু থাকবার জিনিযও নয় । জমিদারীর অবশিষ্ট ঘ! আমার হাতে এসে পড়েছিল তা এই দু-বছরেই ফুকে দিয়ে নিশ্চিস্ত হ’তে পেরেছি। বঁচি গেছে ! তিমিরবরণ একটু বিস্মিত হইয়া বসিল—বলেন কি, অত বড় জমিদারী এরই মধ্যে নিঃশেষ হয়ে গেল ! নস্তবাবু হাসিয়া বলিল --ছ, তা গেল ত দেখলাম চোখের সামনেই -জার নিজের হাত দিয়েই ত গেল ! আর না যাওয়ার কারণও ত কিছু ভেবে পাই না । তিমিরবরণ তাহারই সঙ্গে পথ চলিতে চলিতে জিজ্ঞাসা করিল--এথন কি আপনাদের জমিদারীর কিছুই জার অবশিষ্ট মেক্ট ? নস্তবাবু বলিল-অবশিষ্ট এখন দেন। আর আমি । তিমিরবরণ জিজ্ঞাসা করিল - এখন আপনি আছেন কোথায় ? আর চলছেই বা আপনার কেমন ক'রে ? নস্তুবাবু একটা নিশ্বাস ফেলিয়া বলিতে লাগিল—তা চলছে এক রকম কিছু না ক’রেই। এক কালে পয়সা এই সেই ব্যথা-তীর্থ troš. ছড়িয়েছিলাম তারই স্বদে । অপরের অনুকম্পায়ই দিন কাটছে এখন । আবার কোনদিন হয় ত দেবে তাড়িয়ে —ভিক্ষের ঝুলি হাতে বেরিয়ে পড়ব পথে । জীবনে দেখা হ’ল সবই – এই ঘা লাভ ! তবে দুঃপ আমি করি না তিমির, কারণ ও ক'রে কোন লাভ নেই। তবে মানুষ যখন আমাকে ঘুণ করে তিমির, তখন কি জানি কেন দুঃখ পাই । জানি না, তুমিও এরই মধ্যে আমাকে ঘুণ করতে শুরু করেছ কিনী । তিমিরবরণ কিছুক্ষণ নীরব থাকিয়া শেষে বলিল— আপনাকে ঘৃণা করবার মত কোন কারণ ত আমার ঘটেনি নস্তুবাবু । থামক একটা লোককে ঘৃণা করার কোন মানে হয় না যে ! এক কালের দল-বাহারীর জমিদার আপনি— আপনার জন্তে বড়জোর দুঃখ বোধ করতে পারি, কিন্তু ঘুণ করব কেন ? —ন, অনেকে করে, তাই—বলিয়া নস্তবাবু আসি একটি গলির দিকে বাকিয়া বলিল-আচ্ছ, তাহলে তিমির । আমার এদিকেই যেতে হবে । তিমিরবরণ হাত তুলিয়া নমস্কার জানাইয়া দল-বাহারীর ভূতপূৰ্ব্ব জমিদার নস্কবাবুর কাছে বিদায়ু লইয়া নিজের হোটেলের দিকেই চলিল । তিমিরবরণ নস্তুবাবুর কথা মনে মনে আলোচনা করি:ে করিতেই পথ চলিতেছিল । সহসী রাস্তার একটা দোকানে সামনে বহুলোকের ভিড় হইয়াছে দেখিয়া সেও সেখা দাড়াইয় গেল । ভিড়ের মধ্যে একটি লোক দাড়াইয়াছিলতাহার কপালের উপর রক্তের দাগ এবং তােহা ঘিরিয়াই জনতা । দুই-এক কথায় তিমিরবরণ ব্যাপার কতকটা জানিয়া লইয়! আবার পথ চলিতে লাগি ব্যাপারট এইরূপ, - এই জাহত লোকটির সঙ্গে এক জীে বহু কালের শত্রুত ছিল । সে এত দিন কেবল স্বত্বে খুজিয়াছে তাহাকে জব্ব করিবার ; আজি সহসা তাহ রাস্তায় পাইয়া একটা মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়া দুই মারিতে-না-মাfরতেই রাস্তার লোক ছুটিয়া আসিয়া তা সহায়তা করিয়াছে । চোরের উপযুক্ত সাজ হইয়া যাও পরে জানা গেল, চোর সে মেটেক নয় এবং দেখা :ে চোরের আবিষ্কৰ্ত্ত নিরুদেশ । সমাগত জনমণ্ডলী ত্ব নিরপরাধ লোকটির জন্য অতুকম্প জানাইতেছিল । সত্যকার অপরিচিত আসামীর উদ্দেশ্যে মনের ক্ষোভ মিট যথেচ্ছ গালিগাশ্লাজ করিতেছিল । তিমিরবরণ হোটেলে ফিরিয়া চিঠির বক্স খুলিয় নি। নামে দুইখানি চিঠি আছে দেখিয় তাহা লইয়া উপরে উt যাইতেছিল, এমন সময় হোটেলের ম্যানেজার অধর বলিলেন–তিমিরবাবু, আপনার কাছে দু-বার ক’রে জাপ