(ttూఫ్చీ করিল, আজ রাত্রের মধ্যেই এ গল্পটা শেষ করিয়া ফেলিতে হইবে। গল্পট যত দূর লেখা হইয়াছে—চমৎকার হইয়াছে। শেষটা সে ঠিক যেন মনের মত করিয়া আর শেষ করিয়া উঠতে পারিতেছে না। কিন্তু যদি একবার শেষটা কোন রকমে মনের মত হইয়া যায় ত এ গল্পটি তাহার সমস্ত গল্পের শ্ৰেষ্ঠ হইয়া দাড়াইবে । পৃথিবীর ব্যথা-মূৰ্ত্তি এক অভিনব রূপ পরিগ্রহ করিয়াছে তাহার এই গল্পে — শুধু শেষের সেই সোনালী রেখাট যথাস্থানে টানিয়ু বসাইয়া দিতে পারিলেই যেন স্বষ্টির শেষকথা চরম করিয়ু তাহার বলা হইয়৷ যায়। নিজের সামান্য ব্যথা ভুলিতে তাই সোনালী রেখার সন্ধানেই সে পৃথিবীর আদি-অনন্ত খুজিয়া ফেরে—কল্পনাকে দিকৃদিগন্তে ভূত-ভবিষ্যত-বৰ্ত্তমানে বিস্তৃত করিয়া দেয়। সোনালী রেখা আর ধরা না দিয়াই যেন পারে না । রাত হইয়া যায় দেখিয়া হোটেলের চাকর শঙ্কু আসিয়া দরজায় ধাক্কা দেয় । তিমিরবরণের চমক ভাঙে। উঠিয়া দরজা খুলিয়া দিয়া বলে—শঙ্কু, ঠাকুরকে আমার রাত্রের থাবার এখানেই দিয়ে যেতে বল, ওখানে আর যেতে পারি নে। আহারাদির পর তিমিরবরণ আবার একবার রাস্তার দিকের বারান্দাটার রেলিঙে ভর দিয়া গিয়া দাড়ায় । ঘরে আলো জ্বলিতে থাকে, খাতাটাও বিছানার উপর খোলা পড়িয়া থাকে, আর কলমটাও খাতার পরেই খোলা থাকে। রাস্তার দিকে চাহিয়া চাহিয়া ক্লাস্তি ঘনাইয়া আসে, চিস্তায় চিন্তায় মস্তিষ্ক জড় হইয়া আসে, হঠাৎ গল্পের সে কি নাম দিবে তাহ ঠিক হইয়া যায়। রাত্রের পৃথিবীর পানে চাহিয়৷ বহু দিনের ভাবা সেই কথাই তাহার মনে হয়, এই সেই ব্যথা-তীৰ্থ! গল্পের নাম হইবে তাঁহাই । তিমিরবরণ অনেকটা স্বস্তি অনুভব করে, কিন্তু শেষের সেই রেখাট যে আর কিছুতেই ধরা দিতে চাহে না । কত ভাবেই ত শেষ করা যাইতে পারে, কিন্তু যাহা না হইলেই নয় এমন যে শেষের টান সে টানটা ঠিক সে বসাইয়া দিতে পারিতেছে কোথায় ? দেহের ক্লাস্তি শেষে জয়লাভ করিল। তিমিরবরণ আপনার অজ্ঞাতে কথন স্বগভীর নিদ্রায় মগ্ন হইয়া গেল । প্রবাসী >N○8べつ ঘরের আলো তেমনই জলিতে লাগিল, থাত ও কলম মাথার কাছে খোলাই পড়িয়া রহিল এবং রাস্তার দিকের দরজাটাও খোলা রহিল। এমন তাহার জীবনে বহু রাত্রিই ঘটিয়াছে । তিমিরবরণ আপনাকে প্রকাশ করিতে ন পারার যেবোন লইয়া ঘুমাইয়া পড়িয়ছিল, খুমের মধ্যেও সে-ব্যথার মৃত্যু হয় নাই। ভোরের দিকে সে তাই হয়ত স্বপ্ন দেখিল, এক বিরাট পুরুষ, অবৰ্ণনীয় তাহার মূৰ্ত্তি, কোটি কোটি মানবশিশুকে এক সিংহদ্বার দিয়া বাহির করিয়া দিয়া সিংহদ্বারের প্রহরীকে ইঙ্গিতে দ্বার বন্ধের আদেশ দিয়া মানবশিশুদের প্রতি ফিরিয়ু বলিলেন, এই তোমাদের সেই কাম্যতীর্থ, এই সেই ব্যথা-তীৰ্থ ! নিৰ্ভয়ে তীর্থপথের পথিক হইয়া বাহির হইয় পড়, পশ্চাতে ফিরিবার অধিকার হইতে তোমরা বঞ্চিত । তিমিরবরণ সহস অস্থির চঞ্চল হইয় উঠিল। ইচ্ছা হইল, এই কোটি কোটি মানবশিশুদের আবার ধাহাতে ফিরিবার অধিকার দেওয়া হয় ঐ সিংহদ্বারের ভিতরে, বিরাট পুরুষের কাছে সেই আবেদন জানায়, কিন্তু সিংহদ্বার তখন বন্ধ হইয়া গিয়াছে, বিরাট পুরুষ শূন্তে মিলাইয়া গিয়াছেন। তিমিরবরণ শুধু আন্তরিক বিক্ষোভ মিটাষ্টতে যেন হতাশ কঙ্গে বালয় উঠিল, নিষ্ঠুর । জীবন লহয় এ কি ছিনিমিনি খেলিতেষ্ঠ । ব্যথা-গরল পান করিয়া নিজে ত নীলকণ্ঠ সাজিয়াচ, ৩ কি তোমার লীলাকৌতুকের শেষ নাই ! তিমিরবরণ জাগিয়া উঠিল । তখনও ভোরের আলো দেখা দেয় নাই । রাস্তার দিকের বারানাটিতে সে আসিয়া দাড়াইল । বাহিরের পৃথিবী তখন নিম্প্রাণ, নিম্পদ। তিমিরবরণ স্বপ্নের কথাই ভাবিগ । তাহার অসমাপ্ত গল্পের সে শেষ খুজিয়া পাঠয়াছে। কোটি কোটি নবাগত মানবসম্মান -- বিরাটপুরুষের সেক্ট ব্যথা-তীৰ্থ চিমাইয়া দেওয়া...এই ত চমৎকার সমাপ্তি !..গল্প তাহার ব্যথা-তীর্থেরক্ট মত চিরন্তন হইয়া থাকিবে । নিজে সে নীলকণ্ঠ সাজিবে —গরলে গরলে কণ্ঠ তাঙ্গার পূরিয়া যাক, নীল হইয়া উঠক, নহিলে আর তৃপ্তি নাই ।-•• চিত্র-পরিচয় সিদ্ধার্থের বিবাহ সম্বন্ধে নামারপ কাহিনী প্রচলিত আছে । তাহারই একটি অবলম্বনে "সিন্ধার্থ ও যশোধর " চিত্ৰখালি অঙ্কিত হইয়াছে। কথিত আছে, সিদ্ধার্থের বৈরাগ্যভাব-দর্শনে চিত্তিত হইয় গুদ্ধোন ঠাহার প্রাসাদে শঙ্কারমণদের একটি সম্মেলনের জায়োজন क:ब्रन । हेश्Itझछ अणका संभहान्न प्ठि शिक्षार्थ ९प्काभम क९ क আদিষ্ট হুইয়াছিলেন। সিদ্ধার্থ সৰ্ব্বোত্তম জলঙ্কারটি যশোধরকে উপহার দিতেছেন, চিত্রে ইহাই বর্ণিত হইয়াছে ।
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।