পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

USa বিরুদ্ধ ব্যবহার করা হইয়াছে, তাহা বিস্তারিত ভাবে লেখা অনাবশ্যক । কেহ কেহ এরূপ কথা বলিয়াছে, যে, তোমরা শতকরা ৪৪৮ জন, তোমরা অন্ত সংখ্যালঘুদের মত দুৰ্ব্বল নও, তোমরা কেন অমুপাত অমুযায়ী আসনের চেয়ে বেশী আসন চাঙ ? আমরা বলি, সংখ্যালঘুরা কি পরিমাণ লঘু হইলে কিছু বেশী আসন পাইবে এবং কি হিসাবে পাইবে, তাহা আইনে কোথাও লেখা নাই ; এবং কি পরিমাণে লঘু হইলে পাইবে না, তাহাও লেখা নাই। অহিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মাত্রেই বেশী আসন পাইয়াছে, স্বতরাং বঙ্গের হিন্দুরা কেন পাইবে না ? অারও বলি, বেশী না-হয় নাই দিলে, কিন্তু ংখ্যার অনুপাতে যাহা প্রাপ্য তাহাও ত দাও নাই। এ কি রকম বিচার ? শিক্ষাসংস্কৃতি প্রভৃতির জন্য আসন দাবী কোন কোন সমালোচক বলিতেছেন, বঙ্গের হিন্দুর শিক্ষাসংস্কৃতি প্রভূতিতে শ্রেষ্ঠ বলিয়া আসন বেশী চাহিতেছেন, এ বন্ড আশ্চর্য্য ব্যাপার । মোটেই আশ্চর্য্য ব্যাপার নহে । সম্পূর্ণ স্বাঞ্জাতিকত- ও গণতান্ত্রিকত সম্মতভাবে ব্যবস্থাপক সভা আদি গঠিত ও নির্বাচনাদি নিৰ্ব্বাহিত হউক, তাহ হইলে আমরা শিক্ষ-সংস্কৃতি প্রভৃতিতে শ্রেষ্ঠতার জন্য কোন দাবীই করিব না । কিন্তু অন্যদের বেলায় কোন-লা-কোন অনির্দিষ্ট শ্রেষ্ঠতার অজুহাতে তাহাদিগকে বেশ আসন দেওয়া হইয়ছে, আর আমাদের বেলায় আসন বেশী না দিয়া প্রাপ্য আসন হইতে কিছু কাড়িয় লওঃ হইয়াড়ে । ইহা কিরূপ বিচার } বঙ্গে ইউরোপীয়ের সংখ্যার অনুপাতে ১ (এক)টি মার আসন পাইতে পারে, কিস্থ পাইয়াছে ২৫ । পsিশ)টি । তাহাদের শিক্ষা বাণিজ্যিক উদ্যম ইত্যাদির জন্য তাঙ্গাদিগকে এত বেশী দেওয়া হইয়াছে যদি বলা হয় তাহা হইলে বাঙালী হিন্দুদিগকে ঐ ঐ বিষয়ে শ্রেষ্ঠতার জন্য কেন বেশী আসন দেওয়া হইবে না, বরং কিছু কড়িয়া লওয়া হইবে ? বলিতে পারেন, ইংরেজরা বিজেত৷ বলিয় তাহাদিগকে বেশী দেওয়া হইয়াছে। কিন্তু তাঙ্গার ত জন্তান্ত প্রদেশেও বিজেতা । সেখানে ত এত বেশী আসন প্রৰণসী S\రి8Nరి তাহাদিগকে দেওয়া হয় নাই ! যত দয়া ও যত স্ব(?)তর্ক কেবল বঙ্গের হিন্দুদের জন্যই কি রক্ষিত হইয়াছে ? ইংরেজদের কথা ছাড়িয়া দেওয়া যাকৃ। দেশী লোকদের মধ্যেও খ্ৰীষ্টিয়ানদিগকে সংখ্যার অনুপাতের অতিরিক্ত আসন দিবার একটি কারণ তাহাদের শিক্ষায় অগ্রসরতা। মুসলমানদিগকেও সম্ভবতঃ কোন প্রকার শ্রেষ্ঠতার ওজুহাতে কোথাও কোথাও সংখ্যার অনুপাতে প্রাপ্যের দ্বিগুণ অপেক্ষাও অধিকসংখ্যক আসন দেওয়া হইয়াছে। যেমন, বিহার, আগ্র-অযোধ্যা প্রভৃতি প্রদেশে । এরূপ সমালোচনাও দেখিয়াছি, যে, বঙ্গের হিন্দুর যদি জ্ঞানে ধনে উদ্যমে শ্রেষ্ঠ, তাহ হ’লে তাহার দ্বারাই কেন নিজেদের স্বার্থ রক্ষা কংি.৩ পারেন না । এরূপ প্রশ্ন নাগরিকদের, পৌর ও জনপদবর্গের অধিকার ও কর্তব্য এবং ব*াপক সভার উদ্দেশু ও কাৰ্য্যপ্রণালী সম্বন্ধে অজ্ঞতL *প্রকাশ স্বাধঃক্ষাটাই পৌর শু জানপদ জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য মহে, সমগ্র প্রদেশের ও জাতির অধিকার করে । প্রতি কৰ্ত্তব্যপঞ্চিলের বঙ্গের হিন্দুর ত{হ’দের পালনের সকলের চেয়ে বড় অধিকার । সংথ্য, শিক্ষা ও যোগ্যতা অনুসারে সেই কৰ্তব্য অধিকার তহঁতে বিন্দুমাণ্ডে কেন বঞ্চিত হইবে ? অথ১ বহু পরিমাণে বঞ্চিত হইয়াছে । ব্যবস্থাপক সভার সাহাযেi দেশের ও জাতির প্রতি কর্তৃপা করিতে এবং নিজেদের স্বর্থরক্ষ করিতে বুদ্ধি জ্ঞান উদ্যম প্রভৃতি কিছুই কাজে লাগে না, এমন নয় ; কিন্তু শেষ পৰ্য্যস্ত ফলাফল নির্ভর করে সদস্যদের ভোটের উপর, মাথাগুনতির উপর । সে-গুলতিতে মহাপণ্ডিত ও মহামুণ, মহাদেশহিতৈষী ও অতি স্বর্থপর, সকলের ভোটের মূল্য ও শক্তি সমান । প্রোপ্য আসন হক্টতে শিক্ষাসংস্কৃতি ইত্যাদির দ্বারা নিজেদের স্বার্থরক্ষ; ও কর্তৃব্যপালন করিতে বল অজ্ঞের বা কুরের উপহাস মাত্র । হিন্দু মুসলমানকে বঞ্চিত করিতে চায় নাই বঙ্গের মুসলমানরা সমগ্র লোকসংখ্যার শতকরা যত জন, ব্যবস্থাপক সভায় শতকর। ততটি আসন তাহাদিগকে নির্দিষ্ট হুইঃে বিদ্যা সুতরাং বঙ্গের হিন্দু: তাদের বঞ্চিত হইবার পর তাহাদিগকে