পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Cলশাখ ভারতের নুতন শাসনতন্ত্রে নগরীর স্থান ՇՏ হইবে তাহা বুঝিতে হইলে আমাদের পূর্বের অবস্থার কথা জান! আবশ্যক । ১৯১৯ সালের শাসন-সংস্কার আড়ম অনুসারে ভারতবর্ষ শাসিত হইতেছিল। ভোটের সাহায্যে নিৰ্ব্বাচনের প্রথা ১৮৯২ সালেই সৰ্ব্বপ্রথম ভারতে প্রচলিত হয় । সে সময়ে ভোট দিবার অধিকার অতি সামান্তই ছিল, কাজেই ভোটাধিকারীর সংখ্য অতি অল্প ছিল । ১৯১৭ সালে যেকমিশন বসিয়াছিল, ভোটদাতার সংখ্য আরও অধিক হওয়! কিন্তু এ-বিষয়ে বিশেষ কিছুক্ত করা হয় নাই । সেত জন্যই মোট লোকসংখ্যার শতকরা তিন জন মাত্র এত দিন ভোট দিতে পরিত। আবশ্যক ইহাত তাঙ্গার বিশেষ ভাবে বলিয়াছিলেন । পুরুষ -- ব; মেয়েই হউম—এক নিদিষ্ট আয়ের সম্পস্থি যাতাদের আছে, তাহাদেরই ভেট দিবার অধিকার ঠিল । এ বিষয়ে মেয়ে ও পুরুষে কোন অধিকার ভেদ না থাকিলেও ভোটদাত্রীর সংখ্যা অত্যন্ত কম । সমগ্ৰ ভারতবর্ষে কেবলমা এ তিন শত পনর হাজার মেয়ে ভোট দিতে পরিতেন । ভোট দিবীর অধিকার প্রধানত: সম্পত্তিঐকুপ এত কম মেয়ে গত বলিয়; এবং আমাদের দেশে মেয়েদের মধ্যে সম্পত্তির ম:fলক অতি অল্পসংখ্যক বলিয়তে ভোট দিতে পারিতেন । নূতন শাসন-সংস্কার আইন অমুসারে মেয়েদের কি অধিকার ভারতের নূতন শাসন-ব্যবস্থায় মেয়েদের অবস্থা সম্পূর্ণ অন্য রকম হঠয়াতে । নুতন আইনে সম্পত্তির মালিক হওয়া ব্যতীত আরও অন্যান্য উপায়ে ভোট বির যোগাত নিরূপিত হুইবে । যে নিদিষ্ট আয়ের সম্পত্ত্বির মালিক ইঠলে ভোটের অধিকার পাওয়া যায়, তাহার পরিমাণও অনেক কমানো হইয়াছে । কোন পুরুষ বা মেয়ে অনুন ছয় আনার চৌকিদারী ট্যাক্স বা ইউনিয়ান বোর্ডের টাকুস অথবা অনু্যন আট আন সেস্ বা মিউনিসিপ্যাল ট্যাক্স ব: হনকাম ট্যাক দিতে পারিলেই ভোটের অধিকার পাইবেন । তষ্ঠাতে গ্রামবাসী ও গরিব যাহা বা তাহণদের ভোট দিবার ক্ষমতা হইবে। সম্পত্তির মালিকের স্বীও ভোটের অধিকার পাইবেন । সম্পত্তির মালিক মুক্ত হইলেণ্ড নেকেরই র্তাহার বিধবা স্ট্রীর ভোটের অধিকার থাকিবে । ভোটদাত্রীর সংখ্যা বাড়ানোঙ্গ এত সকল ব্যবস্থার উদেশ্ব । শিক্ষিতা মেয়েদের তাধিকার ংলা দেশে ম্যাটিকুলেশন পরীক্ষা কিংবা গবন্মেন্টের অতুমোদিত অনুরূপ কোন পরীক্ষা পাস করিলে যে-কোন একুশ বছর বা তাহার অধিক বয়সের মেয়ে ভোটের অধিকার পাহবেন । আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থায় পরীক্ষা পাস করিয়া ঠাঙ্গর ভোটের অধিকার পাঠবেন তাহদের সংখ্যা লিখিতে পড়িতে পরিলেত ভোট দিবার সাহাতে অধিকার হয় তাহার জন্ত মেয়েদের নানা সংঘ ও সমিতি একত্র হইয়! গবন্মে ন্টের নিকট এ-বিষয়ে আবেদন করিয়াছিলেন । ভারত-সচিবকেও তারযোগে মেয়েদের এই অভিপ্রাঃ জানান হইয়াছিল । ফলে নূতন আইনাতুসারে দ্বিতীয় বার যখন ব্যবস্থাপক সভা গঠিত হইবে সেই সময়ে বাংলা দেশেও মেয়ের লিখিতে পড়িতে জানিলেক্ট ভোট দিতে পরিবেন। নগণ্য না হঠলেও খুবই অল্প হইবে । আন্দোলন করা হইয়াছিল । মেয়ে-ভোটারের সংখ্যা বাড়াইবার উপায় মেয়েদের মধ্যে ভোটারের সংখ্যা বাড়িলে, শাসনব্যবস্থায় মেয়েদের মতামত কাৰ্য্যকরী হইবে সন্দেহ নাই । সুতরাং মেয়েদের মধ্যে শিক্ষা-বিস্তারই এখন আমাদের প্রধান কর্তব্য । মেয়েদের মধ্যে ভোটারের সংথ্যা বাড়াইতে প্রভাব রাখিতে, মেয়েদের লেখা-পড়া শেখানেই একমাত্র উপায় । প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক মেয়েরই ভোটের অধিকার আমরা প্রথমে চাহিয়া ও দেশের শাসন-ব্যবস্থায় মেয়েদেব ছিলাম কিন্তু এই ব্যবস্থা করিতে অনেক অসুবিধা আছে— প্রস্তাবটি অসম্ভব':বল; ইয়াছে । প্রাপ্তবয়স্ক ہاہا সকল মেয়ে ভোটের অধিকার পাইলে ভোটদাত্রীর . সংখ্যা عامة এই অজুহাতে কয়েক প্ৰজারের পরিবর্কে বহু লক্ষ হইবে । এত অধিক BBB S BSBBB SBBB BBBBS BBB BBBB BBBBS BBBS হইয়াছে । অনেক যুক্তিতর্কের পরেও গবন্মেণ্টে এই মত পরিবর্তন করা সম্ভব হয় নাই। সম্প্রতি যে সুবিধাটুকু আমরা পাইয়’ছি ত-হাতে কেবল লিখিতে পড়িতে শিখাইলে প্রাপ্তবয়স্ক সকল মেয়েই ভোট দিতে পরিবে । সুতরাং