পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مسوأ8يقيا অধিকারী । ইহঁদের ভরণপোষণ নির্ভর করে। পূজাপাঠে হয়ত আরও কিছু আমদানী হয় কিন্তু তাহাতে বিশেষ ভরসা করা চলে কিনা জানি না । ১২ই মে থম্পা লামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে গেলাম। তিনি পরম সমাদরে আমায় আপ্যায়িত করিলেন । তাহার স্বাগতসম্ভাষণ “তুমিও বুদ্ধের ভক্ত আমিও বুদ্ধের অনুগত”—আমার কানে এখনও বাজিতেছে। লামা হাম (উপবাস-রতে ) ব্রতী কাঠমাণ্ডবের পথে অর্থাৎ প্রথম দিনে অনিয়মিত আহার ও পূজা, দ্বিতীয় দিন দ্বিপ্রহরের পরে না খাইয়া পূজা ও তৃতীয় দিনে নিরাহার অবস্থায় পূজা, উপরন্তু প্রতি দিন সহস্ৰ দণ্ডবং—ইহাই উহার নিয়ম । এই অবলোকিতেশ্বরের ব্রতের উপর লোকের বিশেষ অস্থিা আছে, থম্পা লামার সঙ্গে অনেক শ্রদ্ধাশীল স্ত্রীপুরুষ এই ব্ৰত উদযাপন করিতে আসে। লাম ঝাড়ফুকও প্রবাসী গুম্বার পাশ্বস্থ দেবোত্তর ক্ষেতের উপরই কিছু জানেন, স্বতরাং এতাদৃশ লোকের কোন বিষয়ে অনট, ゞN○8へこ থাকিতে পারে না। রাত্রে আমি খাই না কিন্তু উf. সাগ্রহে মাখনযুক্ত চ প্রস্তুত করিয়া আমায় পান করাইলেম । অনেক রাত্রি পর্য্যন্ত ভোট-দেশ ও তথাকার ধৰ্ম্ম সঙ্গয়ে আলোচনা হইল। লামা আমাকে থমৃ দেশে যাইতে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করিলেন । সে রাত্রি ওখানেই থাকিলাম । পরদিন তাহার উপবাস ছিল কিন্তু তিনি স্বহস্তে চাউল ও আলুর তরকারি রন্ধন করিয়া আমাকে পরম সন্তোযের সহিত খাওয়াইলেন । ভোজনাস্তে মধ্যাহের পর আমি নিজেদের গুস্থায় ফিরিলাম। সেই দিনই সন্ধ্যাকালে ডুকৃপ লামার বাকী শিষ্যদল এখানে পৌছিলেন । তাহাদের নিকট শুনিলাম, ডুকৃপা লামা কাঠমাণ্ডব হইতে সোজা কুজী রওয়ান হইয়াছেন, এদিকে তাহার আসিবার সম্ভাবনা নাই । ডুকৃপা লামা এখন জীবনের শেষভাগে ভোটায় সিদ্ধপুরুষ ও কবি জেম্বন-মিল-রেপার সিদ্ধস্থান লপ চীতে যাপন করিতে যাইতেছেন শুনিয়া শিষ্ণুমূগুলার অনেকেই ক্ৰন্দন আরম্ভ করিলেন । আমার ত বিষম সমস্যা, দুই মঠ তাঙ্গার আশায়ু থকিবার পর এই দারুণ নৈরাশাজনক সংবাদ । জিজ্ঞাস করিয়া জানিলাম তিনি আমার সম্বন্ধে কোন কথাই বলেন BBB S BBBS BSBB BBSB BB BBB SBBBBSBB হওয়ার কথা, তবে এত দিনে আমি ভোটীয় স্ব ভাবের কিছু পরিচয় পাইয়াছিলাম। আমি তন্মুহূৰ্ত্তই স্থির করিলাম পরদিনই আমিও কুন্তী রওয়ান হষ্টব এবং পথে র্তাঙ্গকে ধরিব। সঙ্গে যাইবার জন্য এক জন সার্থী প্রয়োজন । শুনিলাম এই সময় বৎসরের জন্য লবণ সংগ্ৰহ করিতে বহু লোক কুর্তী ধায় এবং দু-চার দিন অপেক্ষা করিলে সঙ্গী নিশ্চয় জুটিবে। কিন্তু আমাকে ডুকৃপা লামার সঙ্গে সীমান্ত পার হইতে হইবে, সুতরাং অপেক্ষা করা বিপজ্জনক। রাত্রি পর্যন্ত কোন লোকের ব্যবস্থা হইল না। এই গুম্বারই এক যুবক কুর্তী যাইবে শুনিলাম—কিন্তু তাহার ক্ষেতের ফসল কাটিবার পর । এই প্রকার অনিশ্চয়তার মধ্যেই আমাকে সে রাত্রির মত নিদ্রার চেষ্টা দেখিতে হইল । ( ক্রমশ: )