পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• * *

  • * في جاء "

%. ۶ مه હહેરુ- . . تم " “ईIा ।” হাবুল খেবড়ি খাইয়া সামনেটিতে বসিয়া পড়িল । বলা বাহুল্য, স্থানটুকু বেশ পরিষ্কার ছিল না। বলিল, “তুমি বেশ পুতুল গড়তে পার, না ?” মৃত্যকালী মাথাটা একটু নীচু করিয়া ঠোঁটের এক কোণে লজ্জিতভাবে একটু হাসিল । হাবুল বলিল, “আমায় একটি গড়ে দিতে হবে।” অবশু শুধু বলিবার মুখটুকুর জন্যই বলিল,কেননা ভগ্নীকে মৃৎশিল্পে উৎসাহিত করিলেও, পুতুলের যা-সব নমুনা সামনে পড়িয়া ছিল সেগুলিকে চারুশিল্পের উৎকর্ষ বলিয়া মনে করে এতটা দুর্দশা তাহার তখনও হয় নাই । মেমােটি মুখের উপর বাঁ-হাত চাপিয়া আর একটু ঝুঁকিয়৷ পড়িয়া ভাল ভাবেই হাসিয়া ফেলিল। যখন হাত সরাষ্টয়া লইল, দেখা গেল ডান গালের নীচে আঙুলের ডগার কাদার তিনটি দাগ লাগিয়া গেছে। হাবুল বলিল, “ওকি হ’ল ?— ইয়েতে যে দাগ লেগে গেল!” নৃত্যকালী বুঝিতে না পারিয়া মুখের দিকে চাহিতে বলিল, “ইয়েতে–মানে-—ইয়ে—তোমার গালে আর কি।-- না; হয় নি, আর একটু মোছ ; আর একটু..ঐ পাশটায় এখনও রয়েছে- সমস্তটা টেনে মুছে দাও দিকিন•••রয়েছে যে এখনও একটু•••” মোটেই আর কিছু ছিল না এবং অবর্তমান কাদা মুছিতে স্বকুমার গাঠটির যে অবস্থা হইয়া উঠিয়ছিল তাহাতে হাবুল ভিন্ন আর যে-কেহই দয়া অনুভব করিত। হাবুল বলিল, "আমি না-হয় দেব ঠিক ক'রে ?" বোধ হয় দিত ও ; কিন্তু নীচে যেন শৈলর স্বর শোনা গেল। হাবুল তাড়াতাড়ি উঠিয়া পড়িয়া বলিল, “সেদিন যে এসেছিলাম, বল নি ত শৈলকে ?” নৃত্যকালী মাথা নাড়িল-—ম । দুয়া.রর নিকট হইতে ফিরিয়া হাবুল বলিল, “আর হ্যা, আর এখন যে ওকে খুঁজতে এসেছিলাম সে কথাও ব’লে কাজ নেই, ভাববে—একটু খেলছি তাতেও হাবুঠদাদার এসে বাগড়া দেওয়া • •।" 8 মাঝের চার-পাচ দিনের এদিককার ইতিহাস আর দিলাম প্রবাসী කුVH O না ; আশা করি আন্দাজ করিয়া লইতে কাহারও বিশেষ বেগ পাইতে হইবে না। অপর দিকের খবর এই যে হ’বুল আবার পরিচ্ছন্নত বিষয়ে যেন আরও সতর্ক হইয়া উঠিয়াছে। বৌদিদিকে বলিল, “তোমরা গুরুজন, বলা ঠিক হয় না ; কিন্তু তোমরা যদি সৰ্ব্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাক, ছেলেমেয়ের একট। আদর্শ পায়। এই ধর তুমি যদি সৰ্ব্বদা একটা স্তাণ্ডেল পায়ে দিয়ে থাক, ••* বৌদিদি বলিল, "রক্ষে কর ভাই ! বরং তুমিই একটি আদর্শ বিয়ে ক’রে নিয়ে এসে আল মারিতে সাজিয়ে রাখ ন; কেন ? নিজের কথাট ঠাট্টায় উড়াইয়া দিলেও দেবরের খুৎখুতানির চোটে বৌদিদিকে আবার কfচগুলার দিকে কড়া নজর দিতে হইল । তাহদের সস্ত্রাসটা ছিলষ্ট, আবার একচেটি উগ্রতর ভাবে জাগিয়া উঠিল । শৈল নিত্যকালীকে বারংবার সাবধান করিতে লাগিল, “তোকে বলে বলে হার মানছি পোড়ারমুখী, কিন্তু যদি এক দিন ঘূণাক্ষরেও হাবুলদাদার নজরে পড়ে যাস ত তোর যে কি গ্যতি ক’রে ছাড়বে তা ভাবতেও গা শিউরে ওঠে । আমি ত তোকে এনে ভয়ে যেন কঁটি হয়ে থাকি ।...মুয়ে আগুন, আবার ঠোট চেপে হাসি !—কোথেকে যে হাসি আসে পোড়ারমুখে তা ত বুঝি না...” সেদিন দেখে নৃত্যকালী আগে হইতে আসিয়া বসিয়ু আছে, ঘরে ঢুকিয়াই চাপা গলায় প্রশ্ন করে, “হাবুলদাদার ঘরের ওদিকে যাস নি ত ?" নৃত্যকালী বলে—“না:।’ শৈল বলে, “খবরদার ? --অর্ণর দরকারই বা কি আমাদের ওদিকে যাবার ভাই ?...তুমি বাপু খুব পরিষ্কার আছ ত আছে ; আমরা দুটিতে না-হয় নোংরাই ; থাক এক কোণে তোমার ঘেন্না নিয়ে---কি বল ভাই গঙ্গাজল ?”—এই ভাবে নিশ্চিতকে মুনিশ্চিত করিবার জন্য যেমন এক দিকে শাসয়, অপর দিকে তেমনই আবার মৃত্যকালীর আত্মসম্মান জাগ্রত করিবারও চেষ্টা করে । মৃত্যকালী বলে—“হ ।” মেয়েটি আজকাল বেশ প্রতারণা শিথিয়াছে। কালই