جاوا প্রবাসী SNご8いこ。 আমার জানা নাই । অবশু, অতুবাদ করিবার মত জিনিষ অন্য প্রদেশের সাহিত্যে হষ্ট হইতেছে না এরূপ ধারণ করা যুক্তিযুক্ত বলিয়া মনে হয় না। বস্তুত, এ বিষয়ে দেশের লোকের দৃষ্টি নাই। সমগ্র দেশবাসীর মধ্যে যাহাতে বিভিন্ন প্রদেশের সাহিত্যের গতি প্রকৃতি, অভাব অভিযোগ প্রভৃতি বিষয়ে একটা সুস্পষ্ট ধারণ জন্মি:ত পারে সেজন্য একটা শুস্থল সঙ্ঘবদ্ধ ব্যবস্থা করিবার চেষ্ট আজ কিছুদিন হইল ভারতের নানাস্থানে চলিয়া আসিতেছে । প্রধানতঃ এই উদ্দেশ্য লষ্টয়াই বৎসর দুই পূর্বে বোম্বাই নগর হইতে ভারতীয় পি ই এন ক্লাবের মুখপত্ররূপে দি ইণ্ডিয়ন পি ই এন (The Indian P. E. N. ) also of “foot zoo করিবার সঙ্কল্প হয় । শ্ৰীযুক্ত সোফিয়া ওয়াদিয়ার সম্পাদকতায় ১৯৩৪ ও ১৯১৫ সালের মার্চ মাসে যথাক্রমে ইহার প্রথম দুই সংখ্যা প্রকাশিত হয়। এই দুষ্ট সংখ্যায় ভারতের বিভিন্ন প্রাস্তের সাহিত্য বিষয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংবাদ ও প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয় । কিছুদিন হইল গুজরাটের প্রসিদ্ধ সাহিত্যিক শ্ৰযুক্ত কহৈঃালাল মুনশী মহাশয় তাহার 'হংস’ নামক মাসিক পত্রকে ভারতীয় সাহিত্যের মুখপত্ররূপে প্রকাশ করিতেছেন । এই পত্রিকায় যে সকল আলোচনা প্রকাশিত হয় তাহীদের মধ্যে নিমুনির্দিষ্ট বিযয়গুলি উল্লেখযোগ্য— ( ১ ) ভিন্ন ভিন্ন প্রাস্তের সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক কার্যাবলীর আলোচনা । ২ ) বিভিন্ন প্রাস্তায় ভাষায় রচিত কবিতা ও তাহার হিন্দী অতুবাদ । ( ৩ ) প্রান্তীয় লোকসাহিত্যের পরিচয় । ( ৪ ) বিভিন্ন প্রাস্তের প্রসিদ্ধ সাহিত্যিকগণের পরিচয় ও সাহিত্যালোচন । ( ) বিভিন্ন প্রাস্তের সাহিত্য ও সংস্কৃতির তুলনা । ( ৬ ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তীয় ভাষায় প্রকাশিত পুস্তকের সমালোচনা । { ৭ ) বিভিন্ন প্রান্তীয় ভাষার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ ও আলোচনার অষ্ট্রবাদ । ( ৮ ) প্রান্তীয় ভাষায় প্রকাশিত আদর্শ উপন্যাসের মমামুবাদ । জনসাধারণের মধ্যে প্রান্তীয় সাহিত্যের প্রচারের উদ্দেশ্রেীহ গত ১৯৩২ ও ১৯৩৩ খ্ৰীষ্টাব্দে মহারাষ্ট্র সাহিত্যসম্মেলনের অধিবেশনে ‘ভারতীয় সাহিত্য-পরিযং’ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত করিবার প্রস্তাব হয় । হিন্দী, বাংলা, মার ঠী, গুজরাট প্রভৃতি ভাষায় যে সমস্ত উত্তম গ্রন্থ আছে বা রচিত হইবে তাহাদের অতুবাদ করা বা করান এই প্রস্তাবিত পরিষদের প্রধান উদ্দেশু বলিয়া স্থির করা হইয়াছিল । বাংলা গ্রন্থের অতুবাদ হিন্দী, মারাঠী গুজরাট প্রভৃতি ভাষায়, মারাঠী গ্রন্থের অল্পবাদ হিন্দী, বাংল, গুজরাট প্রভৃতি ভাষায় এইরূপে অনুবাদের সাহায্যে দেশের এক প্রাস্তের সা’হত্য অন্য প্রাস্তে প্রচারিত করিবার মহৎ উদেহু লইয়াহ এই প<িযং প্রতিষ্ঠা করিবার সঙ্কল্প ছিল । কথা ছিল গত ডিসেম্বর মাসে ইনেগবে এই সভার যে অধিবেশন হইয়াছে তাহাতে এই প্রস্তাব ক’র্যে পরিণত করা ইষ্টবে এবং প্রস্ত বিত সাহিত্য-পরিষৎ প্রতিষ্ঠিত হইবে । এষ্ট অধিবেশনে কার্য কত দূর অগ্রসর হইয়াছে পত্র লিথিয়'ও তাহা জানিতে পারি নাই ! ংিমী সাহিত্যসম্মেলনেরও গত ১৯৩৫ সালে চন্দেরের অধিবেশনে প্রস্থায়ু সাহিত্য ও সাহিত্যকদিগের মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপনের জন্তু এক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় এবং এই সম্মেলনের চেষ্টায় গত এপ্রিল মাসে নাগপুরে প্রতিষ্ঠিত ইয়াছে হহার প্রথম অধিবেশন সুসম্পন্ন হইয়া গিয়াছে । সংবাদপত্রের বিবরণ হইতে জানা যায়, স্থির হইয়াছে— ভারতীয় সাহিত্য-পরিষং এব* এই পরিষদের কার্য হিন্দীতে পরিচালিত হইবে । এখন পর্যন্ত ইহার পূর্ণ কার্যপদ্ধতি প্রকাশিত হয় নাই । তবে কমপদ্ধতি যেরূপই হউক না কেম তাহাতে দেশের বিভিন্ন প্রাস্তের সাহিত্য-পরিষদ ও সাহিত্যিকবৃন্দের সহযোগিতা অবহু প্রয়োজনীয় । পর্যন্ত কতৃপক্ষগণ সেরূপ সহযোগিতা সংগ্রহের চেষ্টা করিয়াছেন বলিয়। মনে হয় মা ; অন্ততঃ বিভিন্ন প্রান্তের পরিষদগুলির মধ্যে প্রাচীনতম বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদের মতামত এ বিষয়ে এখনও লওয়া হয় নাই । আশা করি, ক্রমশঃ তাহ করা হইবে । এই অতিপ্রয়োজনীয় পরিষৎকে কার্যকরী করিয়া তুলিতে হইলে যথেষ্ট পরিশ্রম ও প্রচুর অর্থব্যয়ের প্রয়োজন । হিন্দী এখন
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।