পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র করতে লাগল। কি করবে, কি উত্তর দেবে, কেমন ক’রে এই ভদ্রবেশী দুবৃত্তকে এই অপমান করার অত্যাচার থেকে নিবৃত্ত করবে, কিছুই যেন ভেবে উঠতে পারল ন। এবং দিশাহারা অসহায় চিত্তের আকণ্ঠ উদ্বেলিত আবেগের তাড়নায় হঠাৎ এক সময়ে উঠে খোকনকে কোলে নিয়ে ছুটে চলে গেল ; পাছে কারুর চোখে পড়ে এই ভয়ে সে স্নানের ঘরে ঢুকে পড়ে তার বড় অtদরের তার সংসারের একমাত্র বন্ধন থোকাকে প্ৰাণপণে বুকে চেপে ধরে ঝরঝর করে কান্নায় যেন ভেঙে পড়ল । কী তার দুঃখ, ত তার কাছে স্পষ্ট রইল ন, শুধু একটা অন্ধ, অসহায়, তীব্র বেদমা আকস্মিক কালবৈশাখীর মত তার বান্ধবীন, আশ্রয়শহী চিত্তকে সমাচ্ছন্ন ক’রে থোকন সে ভয় পেয়ে তার কচি একটি হাত মার মুপের উপর দিয়ে ম, মা রে” বলে কাদ-কঁাদ হয়ে ডাকতে লাগল । আদরের একটুখানি কচি সুন্দর স্পর্শ পেয়ে সে যেন প্রকা গু একটা আশয় লাভ করলে । খোকনের কান্নায় তার সস্বিত ফিরে এল । চোপ মুছে সে নি:শব্দে তার মুথের উপর দুলাল, ফেললে । মাকে এমন কথনও দেখে নি । 爱 *-. 'i توجيه মুখ বেথে নিবিড় ক’রে তাকে তার সমস্ত সন্তার চেতনার মধ্যে অতুভব করতে লাগল । অল্পক্ষণ পরে সে থোকাকে কোলে ক’রে উপরে তার ঘরে গিয়ে বাৰু থেকে বিস্কুট, একটু প্লাম কেক বের ক’রে তাকে কোলের উপর বসিয়ে থাওয়াতে ব’সল । ইতিপূৰ্ব্বেই তার একদফা খাওয়া শেষ হয়েছিল । থাবার ইচ্ছা তার বড় একটা ছিলই না, তবু তার শিশুচিত্তে সে কেমন করে যেন বুঝতে পেরেছিল যে আজ এই স্নেহটুকু প্রত্যাখ্যান করে মা’র মনে আঘাত করা চলবে না। প্রায় চেষ্টা ক’রেই সে একটু একটু পেতে লাগল । কমন্স আস্তে আস্তে জিজ্ঞেস করলে, “মাসীমা কেমন আছে রে খোকন ?” মা'র এইটুকু প্রশ্নেই তার ছোট মন থেকে যেন মস্ত একটা বোঝা নেমে গেল এবং মাকে তার দুঃখের গভীর বেদনায় সাত্ত্বনা দেবার স্থযোগ পেয়ে খুশী হ’য়ে কলবল ক'রে কথা বলে মাকে ভুলিয়ে রাথবার প্রয়াসে নিযুক্ত হ’ল । কমলা হঠাৎ উঠে চলে যাবার পর নন্দলাল নিজের নিৰ্ব্বোধ অভত্র আচরণ সম্বন্ধে সচেতন হয়ে উঠল । তার レう一ー● মানুষের মন 2 هـ. نجد. ميسسم مهديم . م . « ودجكولا নিজের কথাগুলো মনে মনে আলোচনা ক'রে তার মন যেন তাকে চাবুক মারতে লাগল। অত্যস্ত অনুতাপ হ’ল তার এবং সঙ্গে সঙ্গেই দীর্ঘনিঃশ্বাসে এ-কথাও তার মনে হ’ল যে নিজের চরম নিৰ্ব্ব দ্বিতায় তার আশার সামান্ত অঙ্কুরটুকুকে সে নিজ হাতে উৎপাটন করেছে । ক্ষমা-প্রার্থনার সুযোগ সে মনে মনে আলোচনা করতে লাগল এবং পকেট-লুক বার ক’রে লিখলে, “আমি নিৰ্ব্বোধ পশু ; তাই তোমাকে অপমান করতে সাহস করেছি । ক্ষম পাবার যোগ্য আমি নই— তবু তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার উপর রাগ করে তোমার দিদিকে ত্যাগ ক’রে না । সে তোমাকে সত্যি ভালবাসে ।” ‘ভালবাসে কথাটা লিখতে তার কলম যেন আড়ষ্ট হ’য়ে এল । তাড়াতাড়ি ওটা কেটে লিখলে “নিজের বোন ব'লেহ মনে করে।” এইটুকু লিখে সে দবোয়ানের হতে চিঠিটাকে উপরে পাঠিয়ে দিয়ে চঞ্চল চিত্তে অপেক্ষা করতে লাগল । খোকন তখন আপন উৎসাহে মাসীর নামে এক কাহন নালিশ মরু ক'রে দিয়েছে ‘মাসী তাকে কেবল কেবল দুধ খাওয়ায়, তাঁকে ভগলুর সঙ্গে রাস্তায় যেতে দেয় না, খালি খালি তেল মাখায়’ ইত্যাদি । শুনতে শুনতে কমল তার মুখের দিকে চেয়ে নিজের দুঃখ ভুলে গেল। জিজ্ঞেস করলে, “মাসী তোকে ভালবাসে না, ন রে ? ভারি দুষ্ট ।” মাসীকে দুষ্ট বলায় থোকার ভাল লাগল না। সে তৎক্ষণাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠে আপত্তি জানালে, বললে "ধোৎ, দুষ্টু, বলতে নেই ।” এবং অবিলম্বে মাসীর গুণগান করে তার প্রতি মাসীর ভালবাসা প্রমাণ করতে লেগে গেল । “তুমি বাঘের গপ্প বলতে পারো ; মাসী বাঘের গপপ বলে ।” এই বলে মাসীর কাছে বারংবার শোনা মনুষ্যচরিত্রের আদর্শরূপী এক ধাৰ্ম্মিক ব্যান্ত্রের উপাথ্যান সাড়ম্বরে বলতে হরু করলে। বালকের রজতধারার মত স্নিগ্ধ কণ্ঠস্বরে কমলের চিত্তের সস্তাপ ধীরে ধীয়ে শাস্ত হয়ে বললে, يتمي এমন সময় দরোয়ান নন্দলালের ছোট চিঠিখানি নিয়ে তার দরজায় এসে ডাকুলে। চিঠির ভাষায় অম্লতাপ প্রকাশের অভাব ছিল না, কিন্তু তবু তার মনে গিয়ে যেন ঠিক হরে বাজল না। সে অনেকবার চিঠিটা পড়ল এবং