পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিপড়ে কামড়ালে চারি দিকে সমবেদনার ঢেউ উঠবে । ছেলে স্কুলে গেলে মা পলকে প্রলয় দেখবেন । ছেলেদের ভাগ্যিস স্কুলের গণ্ডী পেরতে হয় নি, তা না হ’লে গৃহিণী ভাবনায় আত্মঘাতী হতেন । ছেলের ৪ দেখেছে জগতে তাদেব শুধু ধেন-তেন-প্রকারেণ বেঁচে থাকলেই চলবে । মাঙ্গম হবার কোন সাধনার দরকার নেষ্ট । তার নিত্য দেখেছে পিত-পিতামহুর আচারব্যবহার । শুনেছে বটে পূৰ্ব্বপুরুষদের কীৰ্ত্তিকাহিনী, কিন্তু সে কাহিনী যত দিনে তাদের কাছে পৌছেছে তত দিনে তাদের সতেজ নিভীক জীবনধার। পরিবৰ্ত্তিত হয়ে গেছে তারা পেয়েছে শুধু অলস পঙ্কিলত । বাইরে কোথায় পূজোর বাজন বাজছে । গৃহিণী শুয়ে গুয়ে ভাবছেন ছোট বপুর শপ এবাবে পূজোর কি তত্বষ্ট পাঠিয়েছেন, একখান ভাল বেনাবসাও লেটে নি । তেমনি তিনিও কবুকে ধাপের বাড়ী যেতে দেন নি । ছোট মেয়ে, পিতৃগৃহের জন্তে তার মন কেমন করে, মানমুখে ছলছল-চোথে BBB BB BBB BBB S BSBSBB BBBSBBB BBBB BB KKK {,M S?! पोंग्रे ६{f {• • • একটি অন্ধকার অপরিসর গলিব একথান অৰ্দ্ধভন্ন বাড়ীতে এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক ঢুকলেন । হাতে তার কাগজমোড়; আলপাকার শাড়ী ৷ বাটীর চূণ বালি অনেক কাল প” - গেছে, কালো আর সবুজ শ্বা ওলার প্রলেপ লেগেছে দেওয়ালে, দু-চারটে বট-অশথের চারা আলিশার ধারে বেড়ে উঠেছে । দরজা-জানালার রং উঠে গেছে বহুকাল, জানালার একথান পাল্লা কবে ভেঙে গেছে, আর একথানা অসহায় ভাবে ঝুলছে । বুদ্ধ সাবধানে দরজা খুলে ভেতরে এলেন । দেওয়ালে একটা পুরাতন কেরাসিনের ধূমায়িত আলো ক্ষীণ ভাবে জলছে । মেঝেগুলো ভেঙে গৰ্ত্ত হয়ে গেছে, পুরনো বাড়ীর ভ্যাপস গন্ধে ভর চারি দিক । যে-ঘরে বাতি জলছিল বৃদ্ধ সেই ঘরে প্রবেশ করলেন । জীর্ণ তত্তণপোষে শুয়ে একটি মেয়ে, অত্যন্ত রোগ, বিবর্ণ মুখে রক্তের চিহ্ন নেই, রুক্ষ চুল চারি পাশে ছড়িয়ে আছে । দারিদ্র্যমলিন কক্ষ, কোণে কোণে ঝুল ভরে রয়েছে, কুলুঙ্গীতে রাগ বাতি থেকে দেয়া উঠছে, একটা পায়া-ভাঙা জলচৌকিতে কয়েকট ওষুধের শিশি রাখা রয়েছে । বৃদ্ধ তক্তাপোষের এক পাশে বসতে সেটা আৰ্ত্তনাদ ক’রে উঠল । জিজ্ঞেস করলেন, “কেমন আছ দিদি ?” মেয়েটি চোখ খুললে না । রোগব্লান্ত মুরে বিরক্ত ভাবে বললে, “তেমনি আছি, আবার কি রকম থাকব ?” বৃদ্ধ তার জরতপ্ত ললাট হ’তে চুলগুলো সক্ষেহে সরিয়ে দিয়ে বললেন, “আগের চেয়ে একটু ভাল লাগছে না ? في تحسيسي حينا চিত্ৰলেখা 2 ૧૦૭ পূজোট হয়ে গেলেই তোমার হাওয়া বদলাতে নিয়ে যাব দিদিমণি ।” “ষ্ট্যাঃ, তুমি রোজই হ। ওস্তু বদলাতে নিয়ে যাচ্ছ ।" মেয়েটি কষ্টে পাশ ফিরে শু’ল ] ব্যথিত বুদ্ধ নীরব হয়ে রক্টলেন । সত্যি তিনি হাওয়াবদলে ধাপ’র প্রবোধ দিয়েছেন তনেক বীর, কোন বারই তা কার্য্যে পরিণত হয় নি । জগতে তার একমাত্র আপনার এই নান্ত নীটি, তার ক্ষেঙ্গের পুকুলি, চোপের মণি, আদর ক'রে তার নাম দিয়েছিলেন মণিমাল । কত কষ্টে কত যত্নে তাকে মাতৃস করেতেন ! এ ভাঙ বাডীর মলিন কুঠুরির ধূমায়িত আলোয় তার চোখে ভেসে উঠল। প্রাস'দোপম আটালিক, ভূত্যপরিজনভর। তার সংসার, ভাব হাস্যময়ী পত্নী, একমাত্র মেয়ে । তখন তার ব্যবসায়ে জেয়ের এসেছে, বাণিজ্যলক্ষ্মী সপ্তড়িঃ পরিপূর্ণ ক’রে পাঠিয়েছেন স্বীর ইচ্ছ। মেয়ের বিয়ে দিয়ে যাতে দূরে ন! পাঠাতে হয় । তাহ'লে তাদের গুহ অন্ধকার হয়ে যাবে । কি নিয়ে থাকবেন ষ্টার ? ভদ্রলোক নিজের অনিচ্ছাতেও ঘরজামাই ক’রে আনলেন । ভাব পর যা সাধারণতঃ হয়ে থাকে, জামাই কুসংসগে পড়ে বিগড়ে গেল, দু-হাতে টাকা ওড়াতে লাগিল । শেষে একদিন শ্বশুরের নাম জ্বাল ক'রে চেক লিখে ধরা পড়ে জেলে গেল । শ্বশুর তাকে উদ্ধাব করে আনলেন । ওই ধরণের মেরুদণ্ডবিহীন দুৰ্ব্বল লোক যা করে, সেও তেমনি আত্মহত্য করল । সেই থেকে তাদের সংসারে শনি লাগল । মেয়ে মারা গেল, স্ত্রী গেলেন, এই সব আঘাতের পর আঘাতে ভদ্রলোক যখন ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, তার ব্যবসাও তখন ডুবে গেল । বুদ্ধ যখন সাংসারিক ঝঞ্চায় বিপর্য্যস্ত হচ্ছিলেন, অন্য অংশীদারেরা তখন গুছিংে নিয়েছে, তিনিই শুধু একেবারে পথে বসলেন । নতি নীর হাত ধ’রে তিনি এ-বাড়ীতে এসেছিলেন । তার পর অতি কঙ্গে বহু চেষ্টায় একটি বইয়ের দোকানে সীমান্য একট কাজ জুটিয়ে নিয়ে কোন মতে দিন চালাচ্ছেন । নাতনী শিশুকাল হ’তে রুগ্ন, তখন তার সামান্য অসুখে বড় বড় ডাক্তার আসত, তার সঙ্গে সঙ্গে কত দাসদাসী থাকত। একে একটি মাত্র দৌহিত্রী, তার ওপর শরীর রুগ্ন ব’লে দাদামশায় দিদিম ত’কে পক্ষীশাবকের মত যত্নে ঢেকে রাখতেন । এখন তার ওষুধটা জোটনিও কষ্টসাধ্য। একটি ডাক্তারকে বহু সাধ্যসাধন করায় তিনি বিনাপয়সায় সপ্তাহে একদিন দেখে যান, বৃদ্ধ হাসপাতাল থেকে জলে-গোল ওষুধ নিয়ে আসেন। মণিমালা মানুষ হয়েছে ঐশ্বৰ্য্যের মাঝে, আদরে আবদারে। হঠাৎ অবস্থাবিপাকে নীড়চ্যত হয়ে এ দারিদ্র্যসংঘাতের আবর্তে পড়ে সে একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ল। দু:খকে উপেক্ষ করার মত মনের শক্তি তার