পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ নদীশাসন ও সংস্কার &షా ༡ཏྣ ধ্বংসের মুখে । বৈজ্ঞানিক ও দীর্ঘ বৎসর ধরিয়া অনুস্থত রক্ষাপ্রণালী অবলম্বনে অচিরেই নদী-সংস্কার ও উন্নতিসাধন, জলসেচ, কৃষিরক্ষা ও ম্যালেরিয়া নিবারণ করিতে হইবে, তবেই রক্ষণ । অতি সংক্ষিপ্ত ভাবে বাংলার ক্ষয়িষ্ণু ব-অঞ্চলের রক্ষাপ্রণালী উল্লিখিত হইল : পশ্চিম ব-অঞ্চলে দামোদর ও অদ্যান্য নদীতটে বাধ“নিৰ্ম্মণ সহজ প্লাবন ও জল সরবরাহের প্রতিরোধ করিয়াছে। এই বাধগুলি নদীর খাতে পলি আবদ্ধ করিবার জন্য এখন উচ্চ হইতে উচ্চতর না করিলে যেমন বন্যানিবারণ অসম্ভব, তেমনই রাধগুলি রক্ষণ ও কঠিনতর ও বন্যার ভয়ও অধিকতর হইতেছে । এই বঁধগুলিকে উইলকক্স সাহেব সয়তানী শৃঙ্খল আখ্যা দিয়াছিলেন , এগুলির বন্ধন মুক্ত করিয়া বাংলার পশ্চিম অংশে সাপগুলিতে জল-সরবরাহের দরজা লাগহয় নিয়মিত প্লাবনের ব্যবস্থা করিতে হুইবে । BBB S BBBBS SSBBB SBBB S BBBBS BBB BS BSBBS BSBBSBS S BBSJK etu TBB করতিষ্ঠ, হাদিগকে পুনৰ্জ্জপিত করিতে হস্তবে । বরাল নদীকেও গঙ্গ প্লiবনের দ্বার, সঞ্জীবিত করিতে হইবে । মধ্যবঙ্গে জলঙ্গী, মাথাভাঙ্গ প্রকৃতি নদীগুলিতে গঙ্গার অতিরিন্দ্র প্ল:- পুরাতন বা নূতন খাতে বহাইতে পরিলে নদীগুলি অবশুশুবা মৃত্যু হইতে রক্ষ পাইতে পারে । সুন্দরবন অঞ্চলে প্ধ বাধিয়, অকালে জলাভূমি কৰ্ষিত ভূমিতে ঋণন্তরিত করিয়া যে-সকল নদীতে সমুদ্র হইতে জেঠুর-ভ iট: নদীর অবনতি লক্ষি ইঙ্গয়াছে । মধ্যবঙ্গ পারিলে নিম্ন অংশে জোয়ার-ভাট আর নদীখাতে বালু পলি ঢালিতে পারিকে ন । নদীগুলি বালুপ্তপ হই ৰূক্ষ পাইবে, ও পূৰ্ব্ববঙ্গের মত ইহতে বঁধুনিৰ্ম্মাণ বিনা ও লবণাক্ত জলের সীমানা সমুদ্রের দিকে আরও হটিয়া যাইবে । থেকে সে-সকল o vg হস্ততে গঙ্গাপ্লপিল নদীর উচ্চথ;তে বহাইতে বা স্থত চব্বিশ পরগণা হইতে ব্যথবগঞ্চ পৰ্য্যস্থ সমুদ্রতীরের অনতিদূরেই বিস্তুত তৃণবহুল ভূমি বিদ্যমান । বাংলার গোজাতির অবস্থা ভারতবর্ষের মধ্যে নিকৃষ্ট । অধঃপতন নিবারণের একটি উপায় এই অঞ্চলে গোচারণ-মাঠ উদ্ধার করিয়া গে-সম্পদবৃদ্ধি। গোবংশের জাপানীদের মত সুন্দরবনে বা সমুদ্রতটে সামুদ্রিক মৎস্য বৈজ্ঞানিক উপায়ে ধরিয়া, সংগ্ৰহ করিয়া রাথিয়া ও দূরদেশে পাঠাইয়া শিক্ষিত বাঙালীর একটা নূতন অর্থোংপাদনের পন্থা আবিষ্কার করিতে পারে । বাস্তবিক গোসাবা, পোর্টক্যানিং ও ফ্রেজারগঞ্জের অলীক স্বপ্ন অপেক্ষ বৈজ্ঞানিক মৎস্য চাষ ও ব্যবসায় অধিকতর ফলপ্রস্থ হইবে । সমুদ্রতটে যেখানে ভীষণ বাত্য বা বন্যা গ্রাম বা শহরের ক্ষতি করে, সেখানে বন রোপণ করিয়া সমুদ্রের মোহনার ঝড় বা জোয়ারের প্রকোপ হইতে রক্ষার ব্যবস্থা করিতে হইবে । যেখানে প্রয়োজন জলকচু পরিষ্কার ; ড্রেজার দ্বারা নদীর পাত গভীরতর করা ; যেখানে নদীর বঁাক অহুবিধাজনক, সহজ বা সোজা খাত গমন করা ; উচ্চ থাত নিৰ্ম্মাণ করিয়া ব পাম্প বা বৈদ্যুতিক শক্তির সাহাধ্যে সতেজ নদী আনয়ন করা,—সকল উপাযুক্ত উদ্ভাবন করিতে হস্তবে যদি বাংলর পচি ভাগের দুই ভাগে হইতে ক্ষীণ নদীতে জল যে কৃষি ও স্বাস্থের অবনতি ও লোকক্ষ দেখা দিয়াছে তাই কে প্রতিরোধ করিতে হয় । বহু অর্থ হহার জন্য প্রয়োজন । কিন্তু বাংলা দেশ লোকসংখ্য, বৈজ্ঞানিক প্রতিভা ও শিল্প-বাণিজ্যের মালমসলা । হিসাবে জমর্শনীর প্রায় সমতুল । বাংলা-উন্নতিবিষয়ক-আইন অন্তসারে যে উন্নতি থাতে ট্য"ল্প ধাধ্য হইতেছে তাহা এই সব পরিকল্পনার অতৃপযোগী, তাহ অন্যায্যও বটে । বাংলার আধুনিক রুযিসমস্যার সমাধান হইবে দূরদর্শ পরিকল্পনায় সে ব্যবস্থা আগামী যুগে যুক্ত প্রদেশ বা পঞ্চা বের মত বাংলর গবর্ণমেণ্টকে গ্রহণ ও জলসেচ ও নদী-রক্ষ ব্যবস্থায় । কায্যে পরিণত করতে হইলে উন্নতি বিধায়ক মোট টাকার ঋণ করিতেওঁ হইবে তবুও ষোড়শ শতাব্দী হইতে পদ্মাব পূৰ্ব্বগতিজনিত তাই প্রতিবোধ করা বড় সহজ নহে ; যদিও তাহ অসম্ভবও নহে । বাংলার বপ্রদেশের ভাঙ্গা-গড় সব চেয়ে বেশ চলিয়াছে এখন মেঘনার মোহনায় ও চট্ট গামের তটে । আগামী যুগে সম্ভবতঃ সাহাবাজপুর নদীপথ বা শেণদ্বীপ পাত হুগলী নদীর স্থান অধিকার করিয়ু লইবে । ভাগীরথীর শীর্ণত ও কলিকাতার চাfর পাশের অঞ্চলের অধঃপতনের জন্য কলিকাতার শিল্প ও যে বাংলার অধোগতি দেখা দিয়াছে