পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আহবান • শ্রীস্বরেন্দ্রনাথ মৈত্র হে আবৰ্ত্ত, বলয়িত নৰ্ত্তন-হিল্লোলে কলকল রোলে উঠ জাগি এ নিথর অস্তরে আমার । হে দুৰ্ব্বার, ঘুর্ণবেগে সংগ্রহিয়া অন্তহীন পথের পাথেয় শক্তি অপ্রমেয় ছুটে যাই কক্ষপথে, নব-জীবনের সবিতারে প্রদক্ষিণ করি বারে বারে । শ্রান্তিহীন ক্ষান্তিহীন শঙ্কালীন অব্যাহত গতি, দৃক তে না আনি গ্লানি বিফলতা অপচয় ক্ষতি নব আবর্তন হ’তে নবতব বিবৰ্ত্তম পালে নবশক্তি-উৎসের সন্ধানে বাধাবন্ধহারা ছুটে যাই উন্মাদের পার । ওগো ঘূর্ণ, সহস্রধা দাও তুমি চূর্ণি’ প্রবল আধাতভার আলস্যের তুঙ্গ কারাগার, জাগা ও ধিক্কার স্বপ্লাতুর এ নিশ্চেষ্ট জীবনের পরে । পঙ্গুরে আপন পদভরে fাড়াবার শক্তি দাও, শিরা স্বায়ু পেশী মাঝে তার করিয়ু সঞ্চরি তড়িৎ-স্পনিত উদ্দীপনা । ঘে সহস্ৰ ফণা এই সুপ্ত বাস্বকীর কুণ্ডলিত পাকের গহবরে মৃচ্ছ ভরে আছে থরে থরে, উল্লম্ফিয়ু উঠকৃ তাহার, এড়াইয়া বিঘ্নাচল বন্ধহার সে সংস্র ধারা ছুটে য’ক্‌ মুক্তাবেগে কুটিল গতিতে ভূজঙ্গপ্রয়াতচ্ছন্দে দিকে দিকে থাকু উথলিতে । হে কালবৈশাখী, ঝাপটি ঝঞ্চার পাখী গরুড়ের সম রক্ত আখি এস উড়ি' রুদ্র আলোড়নে অশনি-স্তননে । জালজঞ্জালের ভার জীর্ণতার শুষ্কপর্ণরাজি উড়ায়ে ঝুরংয়ে দাও আজি ঘূর্ণীর ফুৎকারে অজস্র অসিারে । ধুয়ে দাও বিরুতির শীর্ণ পাণ্ডুরতা, ফুটুক্‌ উষর বক্ষে শুমদ্যুতি-ঘন উৰ্ব্বরতা । যত ঝরা মরা পাতা নিঃশেষে ধূলায় গেক লীন, পশিয়া পরাণমূলে আরবার অমান নবীন কিশলয় পুঞ্জে পুঞ্জে উঠুক ফুটিয়া মরণের শাসন টুটিয়া । ধ্বংসস্তুপ হতে প্রাণের আবর্তময় শ্রেীতে জীর্ণত গলিয়া গিয়া অঙ্কুরিয়া উঠুকু আবার নবোদ্ভিন্ন যৌবনশ্ৰী ফুল্লম্ষমার । ওগো বস্থস্করে, কে তোমারে ঘূর্ণাপাকে দিল ছাড়ি অসীম অম্বরে ? পলে পলে দণ্ডে দণ্ডে মেরুদণ্ড পরে আপনার ঘুরিয়া ঘুরিয়া তুমি শূন্ত হ’তে আলে। অন্ধকার করিছ মস্থল । উদয়াস্ত রক্তরাগে জাগে মঞ্জু বৰ্ণ গুঞ্চরণ ফেনিল জলদপুঞ্জে, কুঞ্জে কুঞ্জে ফোটে ঝরে হাসি, —কুসুম বুদ্ধ,দ রাশি রাশি । স্বপ্রজাগরণে তব ঘূর্ণনের নাহিক বিরাম, পরিধির চক্রপথে নিরবধি যাত্র অবিশ্রাম । ঋতুপরম্পরাক্রমে নব মবোন্মেষ প্রদক্ষিণ করিছ দিলেশে, আবর্কে প্রবহমান দিব বিভাবরী কোটি কল্প ধরি’ । মোর; সেই সাথে যুগ হ তে যুগান্তর ঐতিহেব পাতে উত্থান পতন কত, সাম্রাজ্যের, সভ্যতার কথা— লিখিয়া চলেছি নিতা, কত জন্ম মৃত্যু হর্ষ ব্যথা বুদ্ধ দি উঠিছে ফেনেচ্ছাসে, আবর্কে আবর্তে ফিরে আসে । মন্থনবিক্ষুব্ধ এই কালসিন্ধুনীরে, উদ্বেলিত চিরস্তনে হেরি বসি’ ক্ষণিকের তীরে