পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԴՀՅ করেন। উক্ত বিভাগের পরীক্ষকগণ ডি ক্যানডোলের মত ঠিক বলিয়া প্রচার করেন, তবে পরবর্তী পরীক্ষকগণ মনে করেন যে শিকড়, ডাল, পাতা এবং শিকড়ের এপিডামাল সেলের ভিতর বিদ্যমান পদার্থগুলি মাটির সহিত পচিয়া অন্যান্ত উদ্ভিদের পক্ষে অনিষ্টকর বিষাক্ত প্রব্যের স্বষ্টি করে । ধানের পরবর্তী ফসল ধানই রোপণ করিলে, পরের ধান প্রথম ধানগুলির অপেক্ষা অনেক পরিমাণে ছোট হয় ও অল্প শস্য প্রদান করে। আমাদের দেশে মিঃ জে. এন. মুখার্জি এই বিষয়ে পরীক্ষা করিয়াছেন। পেরালট এবং এষ্টিকে পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন যে সাইপ্রাস ও পদ্মজাতীয় লতা ধানের পক্ষে বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং জোকেট ধানের প্রবণসী SN98Nరి পক্ষে অনিষ্টকর। ডেভিস ওয়ালনাট বা বাদাম-জাতীয় বৃক্ষেয় শিকড় হইতে জাগলোন নামক একটি বিষাক্ত দ্রব্য বিশ্লেষণ করিয়া পাওয়া গিয়াছে ; ইহা উক্ত বৃক্ষের পারিপার্থিক উদ্ভিদের পক্ষে বিশেষ অনিষ্টকর। এই দ্রব্যটি পরিষ্কার ও স্ফটিকাকারে পরিণত করিবার পর টমাটো এবং এলফালফ উদ্ভিদের শরীরে প্রক্ষেপ করা হয় । তাহাতে উক্ত বিষাক্ত দ্রব্যটির ক্রিয় আরম্ভ হইয়া টমাটো ও এলফালফ গাছ দুটি বিশেষরূপে আহত হয় । উক্ত বিষাক্ত দ্রব্যটি ও বিভিন্ন উদ্ভিদের সহিত উহার সম্পর্ক ও প্রভাব সম্বন্ধে ভবিষ্যতে আমরা আরও জানিবার জন্ত উংস্থক রহিলাম । asomosomson ধূলি ও ব্যাধি ঐযতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, বি-এসসি ধূলি এ পার্থিব জগতে শাশ্বত পদার্থ। আজ যেমন ইহা সৰ্ব্বত্র সকল সময়েই বৰ্ত্তমান রহিয়াছে, সংস্ৰ সহস্র বর্ষ পূৰ্ব্বেও তেমনই ইহা সৰ্ব্বদেশে সৰ্ব্বক্ষণ বিদ্যমান ছিল । তবে আজ হয়ত ধূলি উৎপাদনের কারণ কিছু বেশী হইতে পারে। কিন্তু উৎপাদনের হেতুর কথা উত্থাপন করিলেই প্রথমে সমস্ত উঠে ধূলি কি, বা ধূলির মৌলিক উপাদান কি ? ধূলির উপাদান যে কি, বা ধূলির বৈশিষ্ট্য অদ্বিতীয় কিন, বা ধূলি বলিতে যথার্থত: কোন বিশেষ এক পদার্থই বুঝায় কিনা, তাহ নিৰ্দ্ধারণ করিয়া বলা কঠিন । কিন্তু এ-কথা অনায়াসেই বলা চলে যে, সমস্ত পদার্থই অল্পবিস্তর ধূলিতে পরিণত হইতে পারে এবং হয়। পৃথিবীর সকল পদার্থই ক্রমশ ধ্বংসের দিকে চলিতেছে ; এই ক্ষীয়মাণ বিভিন্ন পদার্থের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণাগুলি মিলিয়া ধূলির স্বষ্টি করে । বস্তুকণাগুলি কিন্তু পরস্পরের সহিত বড়-একটা অঙ্গাঙ্গীভাবে সাযুক্ত হয় না, মূল পদার্থ হইতে কণাসমূহ বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত হইয় তাহাদের বস্তুস্বাতন্ত্র্য লইয়াই প্রায় ধূলির সঙ্গে মিশিয়া থাকে ; তাই ধূলির স্বরূপ এক নহে, ধূলিকণাগুলিও সৰ্ব্বত্র সৰ্ব্বদ সকল অবস্থায় এক প্রকার নহে। এই বিভিন্ন বস্তুকণার উৎপত্তি হয় কিরূপে ? পূর্বে উল্লিপিত হইয়াছে ক্ষয়িত পদার্থের কণাগুলি মিলিয়া ধূলির সৃষ্টি করে। এইরূপ ক্ষয়ের কারণ ৰিবিধ :( ক ) প্রকৃতির নিয়মে স্বাভাবিকভাবে কতকগুলি ক্ষয় সাধিত হয়, আর (খ ) কতকগুলি মামুধের কৃত। (ক) বাতা-ঝড়-ঝঞ্চায় ধুলির উৎপত্তি ; প্রবল বাতাসে মরুভূমি ও নদীসৈকতের বালুকণা উড়াইয়া লয়, মাটিং উপর হইতে মৃত্তিকা-কণা উত্থিত হইয়া বায়ুমণ্ডলের ধূলিং সহিত মিলিত হয় ; বৃষ্টিপাতে পাহাড়-পৰ্ব্বতের গা ধুইয় নামিয়া আসে, মাটির বহু জায়গা প্লাবনে ধ্বসিয় যায়। আবহের অবস্থান্তর ও তারতম্যের নিমিত্ৰও ধূলিং উৎপাদন হয় যথেষ্ট । নদীর ভাঙন এবং ভূকম্পের প্রবণ আলোড়নে উৎপন্ন ধূলির পরিমাণ নিতান্ত সামান্ত নহে ।