পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

でラtエ ধূলি ও ব্যাধি פכה* শূল নী হইলেও কারখানা-গৃহে বাতাস চলাচলের স্বব্যবস্থা শিল্পাগারসমূহ প্রচুর হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থার উপরে অধিক দিলে এই প্রকার ব্যাধির আক্রমণ হইতে বহুলাংশে রক্ষা {ওয়া যায় ৷ ধৰ্ব্বপ্রকার ধুলিজ শ্বাস-প্রশ্বাস-যন্ত্রের ব্যাধির সমস্ত বিপুল জটিলতাপূর্ণ। বহু অনুসন্ধান ও গবেষণার পরে বর্তমানে মাংসিত হইয়াছে যে, ধূলিকণার আয়তনের উপরেই প্রকৃতপক্ষে ব্যাধির প্রকোপ ও প্রাবল্য নির্ভর করে। iাই বলিয়া যে কেবল ধূলিকণার আয়তনের প্রতি দৃষ্টি নবদ্ধ করিয়া ব্যাধি নিবারণের চেষ্টায় নিরত হইতে হইবে তাহা নহে; ধূলিকণা বাহাতে প্রশ্বাসের সঙ্গে আদৌ শরীরাভ্যন্তরে প্রবেশ করিতে না পারে তাহার চেষ্টাই পূৰ্ব্বাগ্রে করা প্রয়োজন। সাধারণতঃ ২ মাইক্রোন আয়তনের চুণা সমধিক হানিকর বলিয়া প্রমাণিত হইয়াছে। কিন্তু ( ১ ) 1াছিয়া বাছিয়া ২ মাইক্রোনের মত অতি ক্ষুদ্র কণার গতি নিরোধের চেষ্টা কষ্টসাধা, এমন কি অসাধ্য বলিলেও হয়। বস্তুতঃ এই প্রকার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণার অস্তিত্ব নিরূপণই ধারণভাবে দুঃসাধ্য। কাজেই (২) এমন উপায় সৰ্ব্বপ্রথমে অবলম্বন করা আবশ্বক, যাহাতে প্রশ্বাসের সঙ্গে লোকের দেহে বুলি প্রবেশ করিতে না পারে। অবশু (৩) প্রশ্বাসের সঙ্গে পলিকণা টানিয়া লইবার পূৰ্ব্বে বাধা দেওয়া বা কণা সমূহ কোন উপায়ে অবরুদ্ধ করা বিশেষ কষ্টসাধ্য সন্দেহ নাই। কিন্তু তদপেক্ষাও সমস্তার কথা এই যে লোকে সহজে লি-অবরোধক ব্যবহার করিতে চাহে না। কিন্তু ধূলির আক্রমণ হইতে আত্মরক্ষা করিতেই হইবে এবং ধূলি অপসরণের উপায় উদ্ভাবনে পূৰ্ব্বোক্ত তিনটি বিষয়ে অবহিত হওয়! একগস্ত প্রয়োজন । এই সকল সমস্থার মীমাংসার নিমিত্ত স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান গঠন করা প্রয়োজন ; এইরূপ প্রতিষ্ঠানে বিশেষ গবেষণা করিতে হইবে। পূৰ্ব্বোল্লিখিত তৃতীয় সমস্ত সম্বন্ধে বিশেষবে অনুসন্ধানের পরে বিশেষজ্ঞগণ স্থির করিয়াছেন যে,বিশেষ খানিকর ধুলির আক্রমণের আশঙ্কা না থাকিলে ধূলি-অবরোধকের ব্যবহার অনাবশ্বক, এবং অত্যধিক প্রয়োজন বোধ করিলে তুলার প্যাড ব্যবহার করা যাইতে পারে। অধিকন্তু উক্ত বিশেষজ্ঞগণের অনুসন্ধান-সমিতি কারখানা বা শ্রম cost: fotoga I (Departmental Commission appointed to enquire into ventilation of factories and workshops: Second Report.) একটি কারখানার ধূলিকণাকার : ১৩৫ গুণ বদ্ধত চিত্র অবশ্য প্রধানতঃ ৫-৬ মাইক্রোন অপেক্ষা কম ব্যাসের ধূলিকণা যাহাতে ফুসফুসের মধ্যে প্রবেশ করিতে ন পারে তৎপ্রতি দৃষ্টি রাখাই প্রধান লক্ষ্য হওয়৷ উচিত ; আবার ইহাও দেখা গিয়াছে যে কিছু পরিমাণ ধূলি শরীরমধ্যে গ্রহণ করিয়াও ব্যাধির আক্রমণ হইতে লোকে আত্মরক্ষা করিতে পারে ; কিছুটা ধূলিকণী ফুসফুসের অভ্যন্তরে চলিয়া গেলেও কোনরূপ ক্ষতি হয় না। কিন্তু কত দিন পৰ্য্যস্ত লোক এইরূপ ধূলি গ্রহণ করিয়াও নীরোগ থাকিতে পারে ? ইহাই প্রধান সমস্ত। সমস্তাকে জটিল হইতে জটিলতর না করিয়া ধূলি যাহাতে আদৌ ফুসফুসে প্রবেশ করিতে না পারে তৎপ্রতি যত্নবান থাকাই প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত । সকল বিষয়েই বিশেষজ্ঞগণের মুখাপেক্ষী হইয়া থাকিতে হইবে এমন নহে। কতকগুলি সহজ উপায় প্রত্যেকেই অবলম্বন করিতে পারে, তাহাতে সম্পূর্ণ ন হইলেও যথেষ্ট ফল লাভ হইবে আশা করা যায়। বাসস্থানে বাতাস চলাচলব্যবস্থার অল্পবিস্তর উন্নতি সকলেই করিতে পারে ; অপরিমিত ধুম উৎপাদন না করিয়৷ উনান ধরান অনেকটা ইচ্ছা যত্ন dશે এবং মনোযোগের উপর নির্ভর করে । অন্তত: এই কয়টি ব্যাপারে ত বিশেষজ্ঞের অপেক্ষ করিবার প্রয়োজন माझे ।