পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግ©b~ প্রবাসী Nరిgvరి তুলিকা অল্প সময়ের মধ্যেই ফলপ্রস্থ হয়ে দাড়িয়েছে। নব দিল্লীর চারু ও কারু শিল্প সমিতির উদ্যোগে ১৯৩৬ সালের মার্চ মাসে যে পঞ্চম বার্ষিক শিল্প-প্রদর্শনী হয়ে গিয়েছে, তাতে এই বিদ্যালয়ের শিল্পীদের মধ্যে অনেকেই পুরস্কৃত হয়েছেন । এই বিদ্যালয়ের নবীন শিল্পীরা শিক্ষার্থী হ'লেও তাদের অনেক চিত্র দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ; তারই কয়েকটির কিছু পরিচয় এখানে দিতে চাই। ঐউম যোশীর “অঞ্জলি” চিত্রে পুষ্পাঞ্জলিঙ্কৃত করপুটের কমনীয় ভঙ্গিমায় আত্মনিবেদন যেন রূপ পরিগ্রহ করেছে। এই ছবিটির জন্য শ্ৰীমতী যোশী গত শিল্প-প্রদর্শনীতে ছাত্রী-বিভাগে বিড়লা পুরস্কার’ পেয়েছেন । ঐপ্রেমজা চৌধুরীর অঙ্কিত “জীবন-প্রদীপ চিত্রটি ব্যঞ্জনমূলক। প্রাণ-প্রদীপের শিখার সাবলীল উৰ্দ্ধগতির বিভায় যুবতীর মুখমণ্ডল দীপ্ত, যৌবনলাবণ্য প্রতিভাত হয়েছে তার প্রদীপ্ত আননে । এ -প্রকার ছবির শিল্পরস উপভোগ্য। এই তরুণী শিল্পীর কল্পনাশক্তি ও নিপুণতা দুই-ই আছে। ঐঅনিল রায় চৌধুরীর অঙ্কিত ‘পাহাড়ী মেয়ে" গত বৈশাখ সংখ্যার প্রবাসীতে প্রকাশিত ও প্রশংসিত হয়েছিল । সে ছবিটিতে পাহাড়ী মেয়ের স্নগঠিত দেহলাবণ্য ও দৃষ্টি ভাবব্যঞ্জন বিশেষ লক্ষ্যণীয়। শিল্পী শ্ৰীষ্টন্দু ঘোষের “র্বাশীর স্বরে” ছবিটিতে রাধার চিরনবীন কাহিনী অঙ্কিত হয়েছে। দূরাগত বঁাশীর সুরে বারিবাহিনীর হৃদয় উতল, কলপা কক্ষচ্যুতপ্রায় । ঐকুশীল সরকারের "মেল হতে” চিত্রে আসন্ন সন্ধ্যার রূপ ও উৎসব-শেষের সকরুণত প্রকাশ পেয়েছে । শ্ৰীঅন্নদা সেন তার 'আহারের সময়’ ছবিটিতে পার্থীর জীবনেও মাতৃত্বের মধুর রসটি ফুটিয়ে তুলতে চেষ্ট করেছেন। শ্ৰীঅমর সেন, ঐসৌরেন সেন প্রভৃতিও এই বিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র । এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপরে প্রতিভাবান শিল্পী উকীল-ভ্রাতাদের শিল্পধারার যে প্রভাব পড়েছে সেট। স্বাভাবিক। কিন্তু অমুকরণবৃত্তি এ-বিদ্যামন্দিরে কখনই শিক্ষা দেওয়া হয় না, শিল্পামুরাগীদের শিল্পপ্রতিভাও অঙ্কুরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। এই বিদ্যালয়ের জন্য বাঙালীর বিশেষ ক'রে আনন্দ করবার কারণ আছে। প্রধানত: এই স্বনামধন্য শিল্পীদের প্রচেষ্টাতেই উত্তর ভারতে বাংলার প্রবর্তিত চিত্রকলার প্রচার সহজ ও সম্ভব হয়েছে। অারও স্বথের বিষয় যে, প্রবাসী শিল্পোৎসাহীর এদের সৌজন্যে ও শিক্ষাধীনে শিক্ষা লাভ করবার সুযোগ পাচ্ছেন এবং কেবল বাঙালীই নয়, সর্বপ্রদেশের, সকল সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীঠ এই শিল্পপীঠে শিক্ষা লাভ করছেন । আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির গৌরব অ"ণ রাখতে হ'লে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলি ঘাতে স্নগ্ৰতিষ্ঠিত হয়, সেদিকে শ বাসীর বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া কৰ্ত্তব্য। কিন্তু দুঃখের বিষয়, નામ' এখনও এ-সম্বন্ধে একরূপ উদাসীন । এই ঔদাসীন্যে। কারণ, সকলের মনে, এমন কি শিক্ষিত লোকদের মনেও, শিল্প-চেতন এখনও জাগে নি। দেশের সর্বত্র বাৰ্ষিক প্রদর্শনী ও চিত্রশালা স্থাপন করলে সাধারণের মধ্যে শিল্প-চেতন সহজে জাগতে পারে। এ-প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে, অল ইণ্ডিয়া ফাইন আর্ট সোসাইটির সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত বরদাচরণ উকীল দিল্লীতে একটি জাতীয় চিত্রশালা প্রতিষ্ঠা করবার চেষ্টা করছেন। অক্লাস্ত পরিশ্রম, সবিশেষ চেষ্ট ও যত্নপ্রস্থত বাঙালীর এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি দেশের একটি অমূল্য সম্পদ। এই শিল্পপ্রচেষ্টার জন্য এবং প্রতিষ্ঠাতা শিল্পীরা দেশবাসীর ধন্যবাদের ೪itz |