পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মদেশে বঙ্গ-সংস্কৃতি শ্ৰীঅজিতকুমার মুখোপাধ্যায় খ্ৰীষ্টপূৰ্ব্ব প্রথম শতাব্দী হইতে খ্ৰীষ্টীয় দশম শতাব্দী পর্য্যস্ত বৌদ্ধদের এই গৌরবময় যুগ যখন ভারতসীমা অতিক্রম করিয়া পুথিবীর অন্যান্য স্থানে বিস্তৃতি লাভ করিতেছিল তখনও দেখা যায় এই বঙ্গ-মগধই ছিল তাহার প্রচারের প্রধান কেন্দ্রস্থল। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরিয়া বঙ্গের বৌদ্ধ ভিক্ষু, ব্রাহ্মণ পণ্ডিত, বণিক প্রভৃতির সংস্পর্শে আসিয়া স্থাপত্য, চিত্র, ভাস্কৰ্য্য প্রভৃতিতে দক্ষিণ-পূৰ্ব্ব ভারত প্রভাবাম্বিত হয় । এষ্ট সময় হইতেই ব্রহ্মদেশ কিরূপ ভাবে বঙ্গ-সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসে তাহাই এই প্রবন্ধের আলোচ্য বিনয় । অতি সুস."টু হইতেই দেখা যায় যে ব্ৰহ্মদের সঙ্গি স্ট্রঞ্জীর একটি জাতিগত সাদৃশ্বও আছে। এই .ெ তর ধমনীতে মঙ্গলয়েড রক্ত প্রবাহিত এবং গঙ্গাবধৌত দেশ হওঁতেই একটি জাতি বঙ্গ ও আসামের মধ্য দিয়া প্রথম ব্রহ্মদেশে উপনীত হইয় বসবাস করিতে থাকে । পরবত্তী কালে বঙ্গ হইতে অভিরাজ দলবলসহ উত্তর ব্রহ্মে উপনিবেশ স্থাপন করিয়া তথায় স্বপ্রাচীন তেগঙ, নগর নিৰ্ম্মাণ করেন ।* শকাব ( খ্ৰীষ্টায় ৭৮ অন্ধ ) প্রবর্তিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর-ভারতের সহিত ব্রহ্মদেশের এইরূপ ধোগাযোগ ঘনিষ্ঠ হয় এবং এই সম্বন্ধে ট-সিন-কে 'আৰ্কিয়লজিক্যাল নোটুস অন পেগান পুস্তকের ২৪ পৃষ্ঠায় লিথিয়াছেন যে শক-অব্দের প্রবর্তন এবং হামাজাতে আবিষ্কৃত ভাস্কর্য্য ও স্থাপত্যের বিশিষ্ট পদ্ধতিতে প্রমাণিত হয় যে উত্তরভারতের সহিত প্রোমের যোগাযোগ ছিল এবং খ্ৰীষ্টিয় চতুর্থ শতাব্দী হইতে যষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে উত্তর- ও পূৰ্ব্বভারত হইতে বৌদ্ধ ভিক্ষুর মহাযান বৌদ্ধধৰ্ম্ম ঐ দেশে “A Short History of Burma by S. W. Cocks, pp. 6-9. Burmese Sketches by Taw Sein Ko, pp. 1-3. প্রবর্তন করেন এবং ইহা গুপ্তাক্ষরে প্রথমে সংস্কৃতে শিক্ষা দেওয়া হইয়াছিল । এমন কি হুয়েনসাংও সমতটে ( গোমুণী ) আসিয়াই শ্ৰক্ষেত্র ( প্রোম ), দ্বারাবতী (শু্যাম ), ঈশানপুর (কাম্বোজ ) এবং মহাচম্পা দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ইহা শুনিতে পান । তিনি বলিয়াছেন যে সুমাত্রা ছাডিয়া এই দেশগুলি তাঙ্গর দেখা হয় নাই, কিন্তু সমতটে আসিয়া ইহাদের সম্বন্ধে সবিস্তার sfatz zitāņifgrasz (Watters, Yuan Charang, Vol. II, p. 187) । তাহা হইলে দেখা যাইতেছে যে হুয়েনসাংএর আগমনের পূৰ্ব্ব হইতেই সমতটের লোকদের সহিত এই সুদূর পূৰ্ব্বখণ্ডের একটি গভীর সম্বন্ধ স্থাপিত হইয়াছিল । সুতরাং তন্ত্রযান-যুক্ত মহাযান বৌদ্ধধৰ্ম্ম ব্রহ্মদেশে, বিশেষত: পেগানে, উত্তর-পূৰ্ব্ব ভারত হইতেই আগমন করে, এবিষয়ে সন্দেহ নাই । দক্ষিণ-ত্রহ্মে অবস্থিত খাটনে প্রচলিত পালি বৌদ্ধধৰ্ম্মের পূৰ্ব্বে উত্তর-ব্রহ্মে তস্থযান-যুক্ত বৌদ্ধধৰ্ম্মের অবস্থিতি ছিল একথা প্রস্তর ও ব্রোঞ্জের মহাযান দেবদেবী অবলোকিতেশ্বর, তারা, মৈত্রেয়ী প্রভৃতি মূৰ্ত্তি আবিষ্কারে প্রমাণিত হইয়াছে । এইস্থানে প্রচলিত উত্তর-ভারতের তাম্বিক-বৌদ্ধমতাবলম্বী অরি-সম্প্রদায়ও উহার সমর্থন zsfatwsas 1 ( C. Duroiselle, The Aris of IBurma. and Tantric Duddhism ) পেগানের খোদিত লিপি দেখিলেও ইহা স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় যে প্রকৃত ব্রহ্মে উত্তর দেশের মহাযান বৌদ্ধধৰ্ম্মই প্রথমে প্রচারিত হয় এবং বৌদ্ধ গ্রন্থসমূহ প্রবর্তিত হইলে উহাও উত্তর দেশের সংস্কৃত অক্ষরে লিপিবদ্ধ করা হইত। সৰ্ব আর্থার ফেয়ারির মতেও বৌদ্ধ ভিক্ষুকেরা বঙ্গ ও মণিপুরের মধ্য দিয়া উত্তর-ত্রহ্মে প্রথম বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচার করেন। ট-সিন-কে তাহার “অৰ্কিয়লজিক্যাল নোটস অন পেগান’ পুস্তকের প্রথম পৃষ্ঠায় নিয়াঙ-উর