পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: " من هم میبیعاحتی ب. م. م ... , . ব্ৰহ্মদেশে বঙ্গ-সংস্কৃতি であt@ গেনে যে অপূৰ্ব্ব স্থাপত্য শিল্প রহিয়া গিয়াছে সেই সম্বন্ধে আলোচনা করিখ । নদীতীরবর্তী প্রায় দশ মাইল স্থান ব্যাপিয়া পেগানের ধ্বংসাবশেষ বিস্তৃত এবং ঐ স্থানে আট শত হইতে এক হাজারের অধিক মন্দির রহিয়াছে। নিয়াঙ -উ, পেগান, মিনপাগান, মিল্লান প্রভৃতি স্থানের মন্দিরগুলিকে নিম্নলিখিত ভাবে ভাগ করা যায়—(১) স্ত,পাল্পতি মন্দির (২) চতুর্মুখ বিহার (৩) বর্তমান দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের মত একতল ও দ্বিতল মন্দির । পেগানের ইতিহাস বহু পূৰ্ব্ব হইতে আরম্ভ কঙ্কলেও রাজা অলপথের ( ১০৪৪-৭৭ খ্ৰী: ) সময় হঠতেই পেগান সৰ্ব্ব বিষয়ে একটি সমুদ্ধশালী নগরে পরিণত হয় । পূৰ্ব্বেই লিখিয়াছি, এই সময় দলে দলে বৌদ্ধের বঙ্গ হইতে উত্তর-ব্রহ্মে গিম বঙ্গ-সংস্কৃত্তি বিস্তার করিতেছিল । অনরথও এই সময়ে বঙ্গদেশের সহিত সরাসরি ভাবে যোগস্থত্র গর্ভের হিষ্টি অব বৰ্ম্মা’ পুস্তকের ১০ পৃষ্ঠায় f: আছে যে অমরথ সৈন্যদল সহ 'দি 경 - ! ওখে-বেঙ্গল’ পরিভ্রমণ করিয়াছিলেন এবং থ যে কয়েকটি মন্দির প্রস্তুত করেন তাহার মধ্যে অবস্থিত মোম্বেজিগন-প্যাগোড়াই সমধিক প্ৰসিদ্ধ হ’ব খনি নিবেট, দেখিতে স্ফীত ও গোলাকৃতি । অনরথ এই মন্দিরটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় রাখিয় যান ; তাহার পুত্র রাজা চনজিথ কর্তৃক ইত সম্পূর্ণ হয়। পেগানে এইরূপ স্ফীত ও সমগোলাকৃতি যে সকল স্তুপ আছে উগর নিযুঙি উত্তে সাংস্ত আমাদের সারনাথ ও পালযুগের উৎসর্গীকৃত স্তুপের একটি বিশেষ সদৃশু দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু অনরথের পুত্র রাজ চলজিথের সময় ইষ্টতেই পেগানে শিল্পী প্রতিভা-প্রদর্শনের হযোগ পাইয়াছিলেন । চানজিখের faকট বঙ্গদেশ সুপরিচিত ছিল ; তিনি আরাকান ও বদদেশ বঙ্গের পরিভ্রমণ করিয় ঐ স্থানের রাজকুমারীকে বিবাহ করেন, ইহা কক্স তাহার পূৰ্ব্বোল্লিখিত পুস্তকের ১৯ উল্লেখ করিয়াছেন । চানজিখই পেগানের সর্বশ্রেষ্ঠ আনন্দ-মন্দির ১০৯১ খ্ৰীষ্টাব্বে নিৰ্ম্মাণ করান। মন্দিরটি বর্গক্ষেত্রের আকৃতিতে নিশ্মিত কিন্তু প্রত্যেক ধারেই কতকট অংশ বৰ্দ্ধিত ...............ബു ***-- Գg0: আছে । মন্দিরের প্রত্যেক দিকে চারিটি দীর্ঘ বাহু আছে এবং নিম্নাংশ ক্রুশের আকারে নিৰ্ম্মিত। মন্দিরটিকে মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করা যায় । নিম্নতলটি একটি নিরেট গাথা পোতার উপর নিৰ্ম্মিত হইয়াছে এবং পোতার চতুৰ্দ্দিকে একটি স্ববিস্তৃত প্ৰদক্ষিণপথ। মন্দিরের চতুদিকের প্রাচীরের বহির্ভাগ প্রায় ১••• মৃত্তিক-নিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তি-ফলকদ্বারা শোভিত। মন্দিরের চতুর্দিকের প্রাচীর, বেদী হইতে মাত্র এই প্রদক্ষিণ-পথ দ্বারাই বিচ্ছিন্ন, নহিলে একেবারে ভরাট গাথুনি । তবে মাঝে মাঝে মূৰ্ত্তি-স্থাপনার জন্য প্রায় আশিটি কুলুঙ্গি আছে । মন্দিরের মধ্যে চারিটি বেদী আছে ; উহার প্রধান বেদীটি একটি খিলাম-করা ছাদ-বিশিষ্ট কক্ষমধ্যে রক্ষিত। প্রশস্ত সিড়ি দিল্লী উপরের তলগুলিতে উঠ যায় কিন্তু ইহার সমস্ত কারুকার্য্য ও মূৰ্ত্তি-ফলকই বহির্ভাগে স্থাপিত। এরূপভাবে মোটামুটি তিনটি ক্রমহ্রস্বায়মান তলে মন্দিরটি সম্পূর্ণ। ইহার মূৰ্ত্তি ও দগ্ধ মুক্তিক-ফলক প্রভৃতি বিচার করিবার পূর্বে, সম্প্রতি বঙ্গদেশে যে পাহাড়পুর মন্দির আবিষ্কৃত হইয়াছে ঐ সম্বন্ধে কিছু আলোচনা প্রয়োজন । প্রত্নতত্ত্ব-বিভাগের বাধিক বিবরণীতে পাহাড়পুরের চতুর্মুখ বিহার সম্বন্ধে লিখিত আছে যে মন্দিরের গঠন নিতান্ত সরল। এই ত্রিতল মন্দিরটির নিম্নাংশ ক্রুশের আকারে নিৰ্ম্মিত । এই ক্রুশের দীর্ঘতম বাৰু ছিল উত্তর দিকে । নিম্নতলে কোনও গৃহাদি না, একেবারে ভরাট গাধুনি। তাহার উপরে দ্বিতলটি একটি নিরেট গাথা পোতার উপর নিৰ্ম্মিত । দ্বিতলের পোতার চতুর্দিকে একটি স্ববিস্তৃত প্ৰদক্ষিণ-পথ | পথটি বাহিরের দিকে আবক্ষ উন্নত, নিম্ন প্রাচীরে ঘেরা। এই প্রাচীরের বহির্জগ মুক্তিকানিৰ্ম্মিত ও মৃষ্টি-ফলক দ্বার শোভিত । মন্দিরের প্রধান বদটি একটি খিলান-করা ছাদবিশিষ্ট কক্ষমধ্যে রক্ষিত। কক্ষটির উত্তর, দক্ষিণ, পূৰ্ব্ব ও পশ্চিমে স্তম্ভ পরিবৃত এক একটি স্ববৃহৎ মণ্ডপগৃহ । বর্গক্ষেত্রের sরুতিতে মন্দিরটি নিৰ্ম্মিত এবং প্রত্যেক ধরেই কতকটা অংশ বৰ্দ্ধিত আছে। এইরূপ ভাবে ক্রমহ্রস্থায়মান তলে মন্দিরটি সম্পূর্ণ। উত্তর দিকের প্রশস্ত সিড়ি দিয়া উপরের