পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግU প্রবণসী ఫ్రెYవా5w “ভাৱতীয় ধুনিক y দাবী করেন। ব্যয় সম্বন্ধে একে বলা যায় ডবল ব্যারেল বন্দুক ভাৱতীয় ব্যাধি ও অা চিকিৎস রোগীরা এই রাস্ত দিয়ে কখনো ধনে কখনো ধনে প্রাণে মরে। উপস্থিত ডাক্তার ঐযুক্ত পশুপতি ভট্টাচার্য, ডি টি এমু, “ভারতীয় ব্যাধি ও আধুনিক চিকিৎসা" নামক একখানি গ্রন্থ লিখিয় তাহার প্রথম খণ্ড প্রকাশ করিয়াছেন। ইহার কাগজ ভাল, ছাপা ভাল, বাধাই ভাল। ইহার বেশী কিছু বলিবার অধিকার আমাদের নাই। যাহাদের আছে তাহারা ইহার প্রশংসা করিয়াছেন। মুর্থপত্রে প্রশংসা করিয়াছেন ডাক্তার সত্ব নীলরতন সরকার, এবং ভূমিকায় প্রশংসা করিয়াছেন “ডক্টর” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । সকলে জানেন না, রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যের “ডক্টর" হইলেও কোন কোন রকমের চিকিৎসা সম্বন্ধেও পড়িয়াছেন বহু গ্ৰন্থ, অভিজ্ঞতাও অর্জন করিয়াছেন সমধিক। ফী লইয়া ব্যবসা না করায় তাহার হাতযশ ওপসারসংকীর্ণ সীমায় আবদ্ধ আছে। তাই তিনি লিখিয়াছেন, “ডাক্তারি বইয়ের ভূমিকা কবির চেয়ে কবিরাজকে মালায় ভালো”, যদিও কবি-রাজ তিনি কবিরাজও হইতে পারিতেন। তাহাকে যে চিকিৎস মধ্যে মধ্যে করিতে হইয়াছে, এবং এখনও হয়, তাহা তাহার ভূমিকার শেষ দুটি প্যারাগ্রাফ হইতে জানা যায়। তিনি লিখিয়াছেন— “গ্রামে যদি কোথাও এক আধজন জনহিতৈী শিক্ষিত লোক থাকেন ওঁরাও এই রকম বইয়ের সাহায্যে উপস্থিত অনেক উপকার করতে পারবেন,—আর আমার মতে সাহিত্য-ডাক্তার যাকে দায়ে পড়ে হঠাৎ ত্যিক-ডাক্তার হতে হয় তার তে কথাই নাই। কিসের দায় ? তার দৃষ্টান্ত দিই। সাঁওতাল পাড়ার মা এসে আমার দরজায় কেঁদে পড়ল, তার ছেলেক্সে ওষধ দিতে হবে । যতই বলি আমি ডাক্তার নই, তার জিদ ততই বেড়ে যায়। জানি, যদি তাকে নিতান্তই বিদায় করে দিই, সে তখনি যাবে ভূতের ওঝার কাছে,—তার বাড়ার চোটে রোগ ও রোগী দুইই দেবে দৌড়। বই খুলে বসতে হোলো,--বড়াই করতে চাইনে কেন না পদার বাড়াবার ইচ্ছে মোটেই লেই--সে রোগী আজও বেঁচে আছে ;-আমার গুণে বা তার ভাগ্যের গুণে সে তর্কের শেষ মীমাংস কোনো উপায়েই হতে পারে না। বহুকাল পূর্বে রামগড় পাহাড়ে গিয়েছিলুম ; সেখানেও রোগীরা আমাকে অসাধ্যরোগের মতোই পেয়ে বসেছিল,--বেড়ে ফেলবার অনেক চেষ্টা করেছিলুম, শেষকালে তাদেরই হোলো জিৎ। যাদের সাধ্যগোচরে কোথাও কোনো চিকিৎসার উপায় নেই তারা যখন কেঁজে এসে পায়ে ধরে পড়ে, তাদের তাড়া করে ফিরিয়ে দিতে পারি এতবড় নি, শক্তি আমার নেই। এদের সম্বন্ধে পণ করে বসতে পারি নে যে পুরে চিকিৎসক নই বলে কোনো চেষ্টা করব না। আমাদের হতভাগ্য দেশে আধা চিকিৎসকদেরকেও যমের সঙ্গে যুদ্ধে আড়কাঠি দিয়ে সংগ্রহ করতে হয় | “ত ছাড়া ঘরের লোক নিৰ্ব্ব দ্বিত ও দুর্ক,দ্বিত বশত ডাক্তারের ব্যবস্থাকে প্রায়ই বিকৃত করে দিয়ে থাকে। এই কারণে, একে তো অভিজ্ঞ ডাক্তার বহুমূল্য, তার উপরে তার প্রায়ই অভিজ্ঞ শুশ্রুয়ার ব্যবস্থা বইখানি ঘরের কোনে লোক মুদি পড়ে রাখেন তবে তাদের শুশ্রুষা হৃদয়ের সঙ্গে জ্ঞানের যোগ হয়ে তার মূল্য অনেক বেড়ে যাবে। আ যাই হোক, ডাক্তার পশুপতিকে আশীৰ্ব্বাদ করে, আমি মাঝে মাঝে এই বইখানি পড়ব এবং সেই পড় নিশ্চয়ই কাজে লাগবে ” ডাঃ সৰ্ব নীলরতন সরকার লিখিয়াছেন— "গ্রীষ্মপ্রধান দেশীয় নানা প্রকার ব্যাধির মধ্যে এখন ভারতবে যেগুলির প্রকোপ দেখা যায়, ঐসকল রোগের উৎপত্তি, নিদান ও নির্ণয়তৰ নিবারণ এবং প্রতিষেধক প্রণালী ও চিকিৎসাবিচার এই পুস্তকে বিশে পারদর্শিতার সহিত বর্ণিত হষ্টয়াছে । ম্যালেরিয়া ও কালাজ্বর শ্রেণী রোগগুলির বর্ণনা লেখকের বিশেষ চিন্তু, গবেষণা ও পরিশ্রমের ফল। আমা বিশেষ আশ ও দৃঢ়বিশ্বাস যে ছাত্র কিংবা শিক্ষক কিংবা ভিক্ষক - চিকিৎসাজগতের সকল পাঠকই গ্রন্থকারের এই অক্লান্ত পরিশ্রমের কুয ভোগ করিবেন। এখন বঙ্গের ব্যাধিরাজ ম্যালেরিয়া সম্বন্ধে গ্রন্থকা মহাশয়ের কয়েকটি কথা উদ্ধৃত করি— “.•••••স্বাস্থ্য ঠিক থাকিলে ম্যালেরিয়াকে ভয় নাই । খাছ্ সাধারণের স্বাস্থ্য বজায় রাখে । যাহার পেট ভরিয়া থাইতে পায় এ অনিয়ম অত্যাচার করে না, তাঙ্গদের ম্যালেরিয়া খুব কমই হয়,--ই BBBS BBBB BBS BB BBBB BBBB SBBBS BBBB তাহাদের কম,--যাতাদের জোটে না, তাহাদের মধ্যেক্ট বেশী । যথম হক্টতে দেশের দারিদ্র্য বাড়িয়াছে তখন হঠতে ম্যালেরিয়াও বাডিয়াছে । দেশের অভাব দূর করিতে না পারিলে ম্যালেরিয়া দূর হইবে না । দারিদ্রা ও ম্যালেরিয়া দুই যমজ ভাই, একটি থাকিতে অপরটিকে তাড়ানো দুঃসাধ্য।’ শ্ৰীযুক্ত এমৃ সি রাজা ও ডাক্তার মুঞ্জে তফসিলভুক্ত (scheduled) জাতিসমূহের অন্যতম নেতা ঐযুক্ত এম্ সি রাজা ডাক্তার মুঞ্জের একটি অপ্রকাশ (confidential) চিঠি ছাপিয়া দিয়া খুব বাহবা পাইতেছেন এবং ডা: মুঞ্জের উপর বহু সংবাদপত্রের আক্রমণের কারণ হইয়াছেন। এই সব কাগজের সম্পাদকেরা জানেন কি ন৷ বলিতে পারি না, যে, চিঠিটি অপ্রকাশু ("confidential ' ) ভাবে লিখিত হইয়াছিল। এরূপ চিঠি লেখকের অনুমতি না লইয়া প্রকাশ করা গহিত ও হেয় কাজ। কখন কখন এমন অবস্থা ঘটে বটে, যে, কোন কোন কনফিডেন্স্যাল চিঠি বা সংবাদ প্রকাশ না করিলে দেশের ও সমাজের বিশেষ ক্ষতি হয়। এক্ষেত্রে প্রকাশের সেরূপ কোন কারণ ছিল না। আমরা এই চিঠি অনেক আগে পাইয়াছিলাম। কিছু দিন পূৰ্ব্বে যখন পণ্ডিত মদনমোহন মালবীয় কলিকাতায় আসিয়াছিলেন, তখন ডাঃ মুঞ্জের সহিত পণ্ডিতজীর