পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র এবিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার সময় আমরা অন্য কাহারও কাহারও সহিত উপস্থিত ছিলাম। আলোচ্য প্রস্তাবটি পণ্ডিতজী অনুমোদন করেন নাই। সুতরাং এবিষয়ে ডাঃ মুঞ্জে আর কিছু করিতে ইচ্ছা করেন ন—আমরা সকলে এই রূপ বুঝিয়াছিলাম। ঠিকই বুঝিয়াছিলাম। শ্ৰীযুক্ত রাজা চিঠিখানি প্রকাশ করিয়া দিবার কয়েক দিন পূৰ্ব্বে পণ্ডিতজীর সহিত এই আলোচনা হয়। শ্ৰীযুক্ত রাজা ডাঃ মুঞ্জের চিঠির এইরূপ অপব্যাখ্যা করিয়াছেন, যে, ডাঃ মুঞ্জে তফসিলভুক্ত জাতিদিগকে হিন্দুসমাজ হইতে তাড়াইয়া দিয়া শিখ করিতে চান। কিন্তু ইহা দৃঢ়তার সহিত বলিতে পারা যায়, যে, ডাঃ মুঞ্জের এরূপ কোন দুরভিসন্ধির লেশমাত্রও কখনও ছিল না ও নাই। তাহার মত কেবল এক্ট ছিল, যে, যদি কোন তফসিলভুক্ত জাতির লোক একাস্তষ্ট হিন্দুধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া জাতিভেদবিহীন ধৰ্ম্মাস্তর গ্রহণ করিতে চায়, তাহা হইলে তাহার শিগ হওয়াই ভাল। অনেক হিন্দুর মত এই রূপ। ডাঃ মুঞ্জের এই মত ভ্রাস্ত হইতে পারে, কিন্তু তাহার কোন দুরভিসন্ধি ছিল না। তাহার নিন্দুকদের চেয়ে তিনি কম হিন্দু বা কন হিন্দুহিতৈষী নহেন। বহু বংসর ধরিয়া তিনি হিন্দুসমাজের জন্য অক্লান্ত ভাবে পরিশ্রম করিয়া আসিতেছেন। বঙ্গের হিন্দু সংবাদপত্রসেবীদের ইহ সৰ্ব্বদ মনে রাখা কৰ্ত্তব্য, যে, ভারতীয় অবাঙালী নেতাদের মধ্যে বাঙালীর বন্ধু বেশী নাই এবং ডা: মুঞ্জের চেয়ে বড় বন্ধুও কেহ নাই । তিনি যে সামরিক বিদ্যালয় খুলিতেছেন, তাহাতে মোট ৩০০ ছাত্র শিক্ষা পাঠবে। তাছার মধ্যে বাঙালী লইবেন ৫০ জন। তা ছাড়া, ঐ বিদ্যালয়ের দীর্ঘ গ্রীষ্মের ছুটির সময় আরও ১০০/২০০ বাঙালী ছাত্রকে প্রধান কাৰ্য্যত: শিখাইয়া দিবার তাহার ইচ্ছা আছে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জয় ১৯১১ সালে মোহনবাগান দলের ফুটবল খেলোয়াড়রা অন্য সব ভারতীয় ও ইংরেজ দলকে পরাজিত করিয়া ইণ্ডিয়ান ফুটবল এসোসিয়েশুনের শীল্ড প্রাপ্ত হন। তাহার পর ২৫ বিবিধ প্রসঙ্গ—ইউরোপে জন্মের হারের হ্রাস প্রধান বিষয়গুলি . - عنه بي বৎসর ধরিয়া আর কোন ভারতীয় দল শীল্ড পান নাই। সেই জন্য বর্তমান বৎসরে আর সব দেশী ও বিদেশী দলকে হারাইয়া মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের শীল্ড লাভ বিশেষ সন্তোষের কারণ হইয়াছে। এই দল পুরুষোচিত ক্রীড়ার ক্ষেত্রে দেশের মুখ উজ্জল করিয়াছেন । কলিকাতা নম্যাল স্কুলের উচ্ছেদ ? সংবাদপত্রে দেখিলাম, বঙ্গীয় শিক্ষ-বিভাগ কলিকাতা নমাল স্কুল উঠাইয়া দিতে সংকল্প করিয়াছেন। এই সংবাদ সত্য হইলে, এই সংকল্পের কারণ কি ? এই নম্যাল স্কুলটি বহু বংসর ধরিয়া মধ্য-বাংলা ও মধ্য-ইংরেজী বিদ্যালয়সমূহের জন্য শিক্ষিত বহু হেড পণ্ডিত ও অন্যান্ত পণ্ডিত জোগাইয়া আসিতেছেন। ইহার বিলোপ বাঞ্ছনীয় নহে। শিক্ষামন্ত্রী মহাশয় পুনবিবেচনা করিয়া নম্যাল স্কুলটি বজায় রাখিলে তাহা দেশের পক্ষে কল্যাণকর হইবে । ইউরোপে জন্মের হারের হ্রাস ইউরোপের প্রায় সমুদয় দেশে জন্মের হার কমিয় যাইতেছে । স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়ম পালনের সুবন্দোবস্ত দ্বারা মৃত্যুর হারও কমান হইতেছে বটে, কিন্তু তাহা সত্ত্বেও, ইউরোপের বহু দেশে অধিবাসীদের বর্তমান সংখ্যা রক্ষা করা কঠিন হইয়া উঠিতেছে। তাহাতে শ্বেত জাতিদের উদ্বর্তন (“survival of the white races”) of zoo wrotes মনীষী আশঙ্কা প্রকাশ করিতেছেন। জন্মনিরোধের নানা কৃত্রিম উপায় অবলম্বন জন্মের হার কমিবার একটি কারণ। পাশ্চাত্য বহু দেশে তাহার রাসায়নিক দ্রব্য ও যন্ত্রাদি অবাধে বিক্রয় করিতে দেওয়া হয় না ; কিন্তু ভারতবর্ষে তাহা হইতেছে। তাহাতে নৈতিক ও দৈহিক নানা অনিষ্ট হইতেছে। অনেকে মনে করে, লোকসংখ্যা বাড়িতেছে, এত লোক খাইতে পাইবে কেমন করিয়া, অতএব লোকসংখ্যা কমাও । কিন্তু পৌরুষ, উদ্যোগিতা ও বুদ্ধি থাকিলে অধিকতর খাদ্য উৎপাদন করিয়া এবং পণ্যশিল্পজাত নানা দ্রব্যের বিনিময়ে নানা দেশ হইতে খাদ্য আমদানী করিয়া বদ্ধিত লোকসংখ্যার