পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র পূর্বে ভাইসচ্যান্সেলার খামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মহাশয় বলিয়াছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কিছু চেষ্টা করিতেছেন কিন্তু ছাত্রদের নিকট হইতে বিশেষ সাড়া পাওয়া যাইতেছে না। ইহা দুঃখের বিষয় । বাঙালী ছাত্রদের অধিকতর পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী হওয়া আবশ্বক, এবং হুজুক ও সিনেমার “ভক্ত” কম হওয়া আবশ্যক। ভারতবর্ষের ও পৃথিবীর অন্ত নানা দেশের আধুনিক ঘটনা, সমস্য, প্রশ্ন ও প্রচেষ্টা সম্বন্ধে তাহদের জ্ঞান বোধ হয় মান্দ্রাজ ও অন্য কোন কোন প্রদেশের ছাত্রদের চেয়ে কম, অথচ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলিতে এরূপ জ্ঞানও পরীক্ষিত হয়। অবাঙালী বহু ছাত্র যত ভাল ভাল দেশী ও বিদেশী ইংরেজী মাসিক ও ত্রৈমাসিক কাগজ পড়িয়া এইরূপ জ্ঞান লাভ করে, বাঙালী ছাত্রের তত করে না। তাহার, ইংরেজী সাময়িক পত্র কিছু পড়িলে, হয়ত প্রধানতঃ বিলাতী গল্পপ্রধান ম্যাগাজিন পড়িয়া কণলক্ষেপ করে । বন্যা আসাম, বাংল, বিহার, আগ্ৰা-অযোধ্য—সমুদয় প্রদেশে ভীষ্মণ বন্য হইয়াছে । বিপন্ন লোকদের কষ্টের অবধি নাই । তাহাদের যত প্রকার সাহায্যের এখনই প্রয়োজন অবিলম্বে তাহা প্রদান গবন্মেণ্টের ও জনসাধারণের কর্তব্য । কিন্তু সেইখানেই থামিলে চলিবে না। জাৰ্ম্মেণী, আমেরিকার ইউনাইটেড ষ্টেটস প্রভৃতি দেশে এঞ্জিনীয়ারের যে-সকল উপায়ে বন্যার অনিষ্টকারিত অনেকটা নিবারণ করিয়াছেন, সেই সকল উপায় ভারতবর্ষেও অবলম্বিত হওয়া আবশ্যক । ঢাকেশ্বরী কটন মিলস্ ঢাকেশ্বরী কটন মিলসের কতৃপক্ষীয় তিন জন ভদ্রলোককে হাইকোর্ট কারাদণ্ডে দণ্ডিত করিয়াছিলেন। বাংল-গবন্মেণ্ট কারাদণ্ডের পরিবর্তে জরিমানার ব্যবস্থা করিয়া স্ববিবেচনার কাজ করিয়াছেন। দণ্ডিত ভদ্রলোকদের কোন অসৎ অভিপ্রায় ছিল না। তাহদের ক্রটি এই যে, তাহারা ভারতীয় কোম্পানী আইনের একটি ধারার ঠিক অনুসরণ করেন নাই। আমরা কয়েক দিন পূৰ্ব্বে আসাম ও বঙ্গের অনুন্নত বিবিধ প্রসঙ্গ-ভারতবর্ষে গৰমেন্টের শিক্ষার ব্যয় শ শ্ৰেণীসমূহের উন্নতিবিধায়িনী সমিতির একটি কাজে ঢাকা গিয়াছিলাম। ঢাকেশ্বর মিল্স্ দেখিয়া প্রীত ও উৎসাহিত হইয়া আসিয়াছি। পরে ইহার সম্বন্ধে ও ঢাকার অন্ত কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে কিছু লিখিব। ভারতবর্ষে গবন্মেণ্টের শিক্ষার ব্যয় গত মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশ্বন উপলক্ষে তাহার ভাইস-চ্যান্সেলার মিঃ এ এফ রহমান বলেন, যে, ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ গবন্মেন্টের আর্থিক টানাটানি উপলব্ধি করেন, কিন্তু উপহাদের নিবেদন এই, যে, এই প্রতিষ্ঠানটিকে কাৰ্য্যকারিতার একটি যথেষ্ট উচ্চ স্তরে রাখিবার দায়িত্ব গবন্মেটেরও বটে। ইহা খুব যুক্তিসঙ্গত কথা। মিঃ রহমান আরও বলেনঃ “The Government of Bengal is concerned as vitally as are the authorities of the University with the objects for which this institution was created and we appeal to the Government to give us financial assistance to ensure a reasonable chance of their fulfilment.” তাৎপৰ্য্য। এই প্রতিষ্ঠানটি যে সকল উদ্দেশ্যে স্থাপিত হইয়াছিল, তৎসমুদ্বয়ের সহিত ইহার কত্ত্বপক্ষের যেমন সম্পক বাংল গবন্মেন্টেরও তেমনি । তাই আমরা সেই সব উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইবার যুক্তিসঙ্গত সম্ভাবন যাহাতে হয় তক্ষপ আর্থিক সাহায্যের জন্য গবন্মেন্টের কাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাইতেছি । এই অনুরোধের ফল কি হইবে জানিনা । ব্রিটেনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এত বেশী সাহায্য পায়, যে, ১৯৩৪-৩৫ সালে তথাকার ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অপর পাচটি বিশ্ববিদ্যালয়কল্প প্রতিষ্ঠানের ৫০,৬৩৮ জন ছাত্রের মধ্যে ২০,৫১৮ জন ছিল সাহায্যপ্রাপ্ত ছাত্র। অর্থাৎ মোট ছাত্রসমষ্টির শতকরা ৪২ জন, বৃত্তি (scholarship), জীবিকা নির্বাহের sa srzi (maintenance allowance), Rīfērffs *if*RU (eleemosynary grants firi sta f* zire farz সমর্থ হইতেছে। ভারতবর্ষে বৃত্তির সংখ্যা ও পরিমাণ সামান্ত, এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার ব্যয় ক্রমাগত বাড়ান হইতেছে। আমাদের দেশে গবন্মেণ্ট কেবল যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সাহায্য দিতেই কৃপণতা করেন, তাহা নহে, প্রাথমিক শিক্ষা হইতে আরম্ভ করিয়া সব রকম শিক্ষার জন্যই ব্যয় অতি সামান্য করেন। তাহা বুঝাইবার নিমিত্ত বিলাতী