পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জলাতঙ্ক ঐঅমিয়কুমার ঘোষ छिङ्कद्र बल्ले दफ़्रे दिभrन भफ़िन। cगरे क्रय प्रांशेौद्र जब्र খরিয়াছে আজও সারিবার নাম নাই! কি ষে হইবে কে জানে! আজ দু-বছরের মধ্যে দুটি মাস একবার যা ভাল ছিল তার পর ঠিক একই ভাবে চলিতেছে। ভূগিয়া ভূগিয়া ভিক্ষুর শরীরে আর কিছুই নাই! কয়েক মুহূৰ্ত্ত তাকাইয়া থাকিলে কখানি হাড় তাহাও বুঝি গুণিয় বলা যায়। ক্ষেত-খামার আর সে দুটি বছর দেখিতে পারে নাই। জমি-জমা তো যায়-যায়। কিছু আর ফলানো হয় না তাতে। মহাজন এবার হয়ত নিলাম ডাকিবে। ডাকুক, হয়ত তাহাই কপালে আছে!...কিন্তু একি আপদ হইল। এই জরে জরে সে শেষ হইয়া যাইবে নাকি ? ভিক্ষুর বউ কম বিপদে পড়ে নাই! জর হইয় অবধি তার এমনি ঘণ্টায় ঘণ্টায় জল খাইবার দাবি। জল না পাইলে চীৎকার করিয়া তাহাকে ব্যস্ত করিয়া তোলে। বউ যত পারে জল আনিয়া দেয়, কিন্তু তাহা খাইয় তাহার তৃপ্তি হয় না। অথচ সারা গ্রামে কোথাও আর ভাল জল পাইবার জো নাই! রৌদ্রদেবতা বৈশাখের খর রৌত্রে সমস্তই শুষিয়া লইয়াছেন। যা দু-চারটি পান-পচা ড়োবা আছে সেখানে যা একটু জল পাওয়া যায়। কিন্তু এ-জল মুখে দিবার নয়! তাহার উপর ম্যালেরিয়ায়-ভোগা তিক্ত জিহায় এ-জল তো বিষবং লাগিবারই কথা! ভিক্ষুর বউ কিছুতেই স্বামীকে একথা বুঝাইয়া উঠিতে পারে না। গ্রাম হইতে দু-তিন ক্রোশ দূরে সেই যে একটি সরকারী টিউবওয়েল আছে সেটি ছাড়া আর গতি নাই। কন্তু একলা ঘরে রুগী ফেলিয়া অঙ্গদূরে গিয়া কি রোজ জল আনা যায় ? কিন্তু তবুও ভিক্ষুর জরের ঝেণকে জল চাই ! জল! भा? छल ! ভিক্ষুর বউ কি করিবে ! পাড়াপড়ণীর এক জনের বাড়ী গেল। কিন্তু কিছু সুবিধা হইল না। তাঁহাদেরও নিকট সেই পচা পুকুরের পাকগন্ধ জল আছে। তার বলিল সরকারী পাতাল-জল লইয়া আসিতে। কিন্তু কি করিয়া হয়! সেই তো তিন ক্রোশ দূরে সরকারী টিউবওয়েল । কি করিবে:শেষকালে ভিক্ষুর বউ আর উপায়ান্তর না দেখিয়া স্বামীর গায়ে কাথাটি ঢাকা দিয়া বাহির হইয়া পড়িল । ছোট মেয়েটিকে রাখিয়া গেল বসিয়া থাকবার জন্য । বৈশাখের প্রখর রৌদ্র চারি দিকে খ খ করিতেছে। ভিক্ষুর বউ কলসীটি লইয়া বাহির হইয়া পড়িল। পথ আগুনের মত তাতিয়া উঠিয়াছে।8,পা পাতিয়া চলা কষ্টকর। তবুও ভিক্ষুর বউ চলিতে লাগিল। যত রাজ্যের ভাবন আসিয়া তার মাথায় ভাঙিয়া পড়িল । এই ভিক্ষুর এক দিন কি না ছিল। জমিজমা লাঙ্গল বলদ কোন কিছুরই অভাব ছিল না। সেই সকালবেল’ উঠিয়াই , সে মাঠে চলিয়া যাহত। আর একবার দুপুরবেলা ফিরিয়া আসিয়া কিছু খাইয়াই বাহির হইত। সেই সন্ধ্যার সময় :ফিরিত। কোন-কোন দিন আবার সে দুপুরবেলা, ফিরিত না। বউ নিজেই মাঠে গিয়া তার আহাৰ্য্য দিয়া আসিত। কি অসীম কাৰ্য্য করিবার শক্তি ছিল তার। আর এখন কি হইয়াছে। অবশ্ব মরসুমের সময়টা এইরূপ হইত। তাহা না হইলে অন্য সময়টা তার অবকাশ থাকিত। সেই সময় কোন রকমে চলিয়া যাঠত। কিন্তু কয় বৎসর হইল এইরূপ হইয়াছে। নদীমাতৃক বাংলা দেশ, কিন্তু এখন আর নদী নাই। বহু দিনের পুরাতন শীর্ণ নদীটি আজ বৎসরের পর বৎসর পলি পড়িয়া পড়িয়া মজিয়া গিয়াছে। তাহাকে, আর বঁাচাইবার উপায় নাই। তাই দেশের চাষবাসও গিয়াচে নষ্ট হইয়া। শুধু শুকনো মাটিতে লাঙ্গলের ফলার জোরে আর ফসল হয় না। তাই বছরের পর বছর আফলা জমির একটু একটু করিয়া মহাজনের হাতে পড়িয়া সবই প্রায় শেষ হইয়া আসিতেছে।