পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ઇન્દર অথবা এই কথাটাই অঙ্গ ভঙ্গিতে বলা যায় যে, যে-খৰি এই শ্রুতি :দর্শন করিয়াছিলেন তিনি তখনও উহা সাধারণ্যে প্রকাশ করেন নাই। আমার সমালোচক জাবাল-উপনিষকে যত বড় মনে করিয়াছেন, উচ্চা প্রকৃতপক্ষে তত বড় হইলে বেদান্তসুত্রের বিচারে উহা উপেক্ষিত হইত না । যে-কোন বর্ণের লোক যে-কোন বয়সে নাম ভাড়াইয়া এবং বেশ বদলাইয়া ষে আজকাল সন্ন্যাসী হইয়া যায়, ইহা শাস্ত্রামুমোদিত নহে । আশা করি, শাস্ত্রজ্ঞ ব্যক্তি অতঃপর উহ। স্বীকার করিবেন। যে-সব বর্ণের সন্ন্যাসে অধিকার অাছে তাহদের সম্বন্ধেও কোন-কোন স্মৃতি কলিতে সন্ন্যাস নিষিদ্ধ বলিয়াছে। স্মাৰ্ত্ত রঘুনন্দন তাহার উদ্ধাহতত্ত্বের গোড়ায় কলিতে নিষিদ্ধ কতকগুলি কৰ্ম্মের তালিকা দিয়াছেন, তাহার মধ্যে কমণ্ডলু-বিধারণ অর্থাৎ সন্ন্যাসও একটি । অবশ্য রঘুনন্দনের স্মৃতি সকলে মানেন না । কিন্তু কোন স্মৃতি যাহারা মানেন তাহারাই স্বীকার করিবেন, ষে, যে-কোন ব্যক্তির সন্ন্যাসে শাস্ত্রানুযায়ী অধিকার নাই । দুনিয়ার সব লোকের সব কাজই হিন্দুর প্রাচীন শাস্ত্রানুসারেই হইবে, এমন কথা আমি কল্পনাও করিতে পারি না । তবে, ভান যত কম হয়, সত্য ততই স্পষ্ট হয় । যাহারা শাস্ত্র না জানিয়া সন্ন্যাসী হন, তাহদের অজ্ঞতা দূর করা দরকার। আর, যাহার শাস্ত্র ন৷ মানিয়া সন্ন্যাসী হন, তাহাদের সে কথা স্পষ্ট করিয়" বলা দরকার ; তাহা না হইলে প্রতারণ করা হয় । জগতের ইতিহাসে সন্ন্যাসীকে সৰ্ব্বত্রই কামিনী-কাঞ্চন-ত্যাগী দেখিতে পাই । কিন্তু আধুনিক অনেক মঠ ও আশ্রম কামিনীও কজ্জন করেন না, কাঞ্চনেও বিগতস্প, নহেন। অনেক আশ্রমের মালিককে জানি, প্রচুর টাকা ব্যাঙ্কে মজুত রাখিয়াছেন ; এক জনের কোম্পানীর কাগজের মাসিক সুদ প্রায় হাজার টাকা হয়, এ-কথা আমি বিশ্বস্তসূত্রে শুনিয়াছি। তাহ ছাড়া, কেহ কেহ বিরা জমিদারীও ভোগ করিয়ু থাকেন । আর কোঠাবাড়ী ইমারত ত প্রায় সকলেরই আছে । আমি অভিযোগ করিয়াছি যে, ইহাও ঠিক সন্ন্যাসের আদশের অনুযায়ী নহে। পাচক চাকর দ্বারা ষে গৃহস্থালী চালান হয়, তাহাও গৃহস্থালীই সন্ন্যাস নয়। উত্তরে আমায় এক জন স্মরণ করাষ্টয়া দিয়াছেন যে, কোঠাবাড়ীতে শহরে কত লোক বাস করে, আমি তাহাদের বিরুদ্ধে ত কিছু বলি না । থনী তাহার স্বোপাজ্জিত কিংবা পৈত্রিক বিষয়-সম্পত্তি ভোগ করিবে ইহাতে আমার কোন আপত্তি নাই কেন না উহাতে কোন ভান নাই । কিন্তু গেরুয়াধারী প্রকাশ্বে সকালে বিকালে শিষ্যদের সম্মুখে প্রণব জপিবেন আর নিভৃতে খাজাঞ্চির সঙ্গে ক্যাশ গণিবেন, প্রবণসী $NరిgNరి ইহাত সরল জীবনধারা নয় । ইহাতে সমাজের অনিষ্ট হয় । সেই জন্যই আমার আপত্তি । - এটা যে সন্ন্যাসের আদশ নয় তাহার শাস্ত্রীয় প্রমাণ আমি দিয়াড়ি । তাহার উত্তর শুনিয়াছি এই যে, শাস্ত্রের নির্দেশ সব সময় মানিতে হইবে এমন কি কথা ? যুগধৰ্ম্ম কালধৰ্ম্ম ইত্যাদিও ত আছে । নিশ্চয়ই ; কিন্তু সাধারণের বিশেষত: ভক্তদের জানা উচিত যে উছ যুগধৰ্ম্ম অনুসারে অমুষ্ঠিত হইতেছে শাস্ত্রায়ুসারে নয়। এই সব মঠ ও আশ্রমের অধিকারে যে প্রচুর বিত্ত সঞ্চিত হইয়াছে এবং হইতেছে আমি মনে করি, রাষ্ট্রের এবং সমাজের কল্যাণের জন্তু সে-সব রাষ্ট্রের শাসনে আসা উচিত । এই কথা বলাতে কোন কোন আশ্রমের কত্ত্বপক্ষ জোর গলায় বলিয়া উঠিয়াছেন যে, তাতাদের কিছুই বিত্ত নাই, ঠাঙ্গার বড় গরীব ! কোন আশ্রমের কি আছে, প্রয়োজন-মত সে অমুসন্ধান রাষ্ট্র করিবে ; কিন্তু এই অনুসন্ধান যে সমাজের কল্যাণের জঙ্ক করা উচিত ইহাই কি সকলে স্বীকার করেন ? এখানে একটা কথা বলা দরকার । সন্ন্যাস ও সন্ন্যাসীর আলোচনায় শুধু আধুনিক ধরণের—অর্থাৎ ইংরেজী-ওয়াল। আমেরিকা-ফেরত সন্ন্যাসীরাই উদ্দিষ্ট নহেন । আমি একসঙ্গে তীর্থের পাগু ও মোহন্তদের কথাও ভাবিতে BBB S BBBB BBBBBS BBBBSBB BBBBB BBBS অনেকে আবার কামিনীত্যাগও করেন নাই । অপব্যয়িত এবং ভোগে ব্যয়িত হইবার মত প্রচুর বিত্ত ইতাদেরও থাকে । তারকেশ্বরের মোহস্তের বিত্ত লইয়া মোকদম। এখনও শেষ হয় নাই । সেদিন দেখিলাম বৈদ্যনাথের এক পাণ্ডার নামেও মোকদম দায়ের হইয়াছে । মঠ ও আশ্রম কিংবা fairs Cowa wdo too (Dissolution of monasteries) এক সময় রাষ্ট্রকে করিতে হষ্টয়াছিল, তেমনটি এদেশেও করার প্রয়োজন হইয়াছে এবং সময়ও আসিয়াছে বলিয়া আমার আশঙ্কা হয় । মঠাদির সম্পত্তির রক্ষণ ও শাসনের ভার রাষ্ট্র যদি কথনও গ্রহণ করে, তবে তখন তীর্থ-পতিদের বিত্তের কথাও রাষ্ট্র বিস্তৃত হইতে পারিবে না । আধুনিক মঠটিতে যাহার বাস করেন, ষ্টাঙ্গাদের সন্ন্যাসের ভেক দেখিয় তাহাদিগকে যতটা সংসার-বিরাগী মনে হয়, প্রকৃতপক্ষে ততটা বিরাগী তাহার। নন ; বরং কোন-কোন বিষয়ে তাহাদের জীবনধারা সংসারীদের চেয়ে ঢের নিকুষ্ট । ইহাদের মনোবৃত্তি অনেক ক্ষেত্রেই একেবারে আধ্যাত্মিকতা-বজ্জিত । আমার মঠ ও আশ্রম’ নামক প্রবন্ধের প্রকাশু প্রতিবাদ যাহার