পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আণশ্বিন করিয়াছেন তাহারা ভদ্র পন্থা অনুসরণ করিয়াছেন ; কিন্তু অনেক প্রতিবাদকষ্ট সে পন্থ অনুসরণ করেন নাই। এক জন আমাকে চিঠি লিথিয় শাসাইয়াছিলেন, “আপনি ভারতের সন্ন্যাসীসম্প্রদায়ের অপমান করিয়াছেন ; আপনাকে সাবধান করিয়া দিতেছি আমাদিগকে সীম৷ অতিক্রম করিতে উত্তেজিত করিবেন না !" কিসের সীমা এবং সে সীমা অতিক্রান্ত হইলে আমার অদৃষ্ট কি ঘটতে পারিত স্পষ্ট বুঝিতে পারি নাই । অম্লমান পাঠকেরাও করিতে পরিবেন। দুষ্ট-এক জন মঠবাসী আমাকে আদালতের ভয়ও দেখাইয়াছিলেন । এষ্ট সব সংসার-বিরাগী সৰ্ব্বত্যাগী সন্ন্যাসীদের এবম্বিধ উত্মা-প্রকাশ ঘোর সংসারাসক্ত গৃহীকেও লজ্জা দেয় । ই ই নাম কি বৈরাগ্য ? ইহাই কি তিতিক্ষা ? দুই-এক জন মঠবাসী আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়াক গঙ্গাদের ক্রোধ প্রকাশ করিয়াছিলেন । ইহাতে আমি কিঞ্চিৎ বিস্মিত হইয়াছি । কারণ আমার ক্ষুদ্র আলোচনা এতটা চিত্তবিক্ষোভ এত জায়গায় কি করিয়া ঘটাইল তাঙ্গ আমি এখনও বুঝিতে পারি নাই । এত জন য আমার উপর কৃষ্ট হইয়াছেন তাহীতে মনে হয় চলতি কথায় যাঙ্গকে বলে 'অ' তে ঘা লাগ।" তাঙ্গাঙ্গ ঘটিয়াছে । ভদ্রবেশী পাপিষ্ঠ আস্তিনের ভিতর শাণিত ছো। লুকায়িত রাখিয়। পথিকের পকেট মাবিতে চেষ্ট করে ; হঠাৎ যদি কেত দেখিয় ফেলে তবে তাতার প্রতি আর সে ভদ্রত রক্ষা করিতে পারে না ; এ দৃষ্টান্ত BD KBB BBBS BBB BBB BBS BBB BBB BBBBB অস্তরালে থাকিয়া উদভ্ৰান্ত ধৰ্ম্মপিপাসুদের কষ্ট্রোপঞ্জিত অর্থে মুখভোগ করেন, ষ্টাঙ্গ'র বিরুদ্ধ সমালোচনায় রুষ্ট হইবেন ইঙ্গ আশ্চর্যের কথা নয় । কিন্তু ক্ৰাধ সন্ন্যাসীদেরও রিপু ; আর অহমিক জয় না করিয়৷ যোগমার্গে উন্নতিলাভ করা যায় না । সন্ন্যাসী' কথাটার কান সংজ্ঞ আমি দিষ্ট নাই ; দেওয়া দুষ্কর অথচ নিম্প্রয়োজন । যাহারা অগুঠী অর্থাৎ অকৃতদার অথবা বিপত্নীক এবং কাঞ্চমত্যাগী অর্থাৎ নিজে উপাজ্জন করেন না, র্তাহারাষ্ট সাধারণত: এদেশে সন্ন্যাসী বলিয়া পরিচিত হন । এই লিয়ম অনুসারে রাস্তার ধারে কিংব। দেব-মন্দিরের সম্মুখে ধুন। স্বালিয়া উলঙ্গ বা ল্যাঙ্গট-পরিধারী বে-ব্যক্তি গাজী টানে সে-ও সন্ন্যাসী ; আর বার্লিনে কিংবা লস্-এঞ্জেলেসে ইউরোপীয় পরিচ্ছদধারী লম্বকেশ ও দীর্ঘশ্মশ্র য-সব ব্যক্তি ভারতীয় ধৰ্ম্ম ও দর্শন ব্যাখ্যা করিয়৷ বেড়ান, ষ্টাঙ্গারাও সন্ন্যাসী । ইহার মধ্যে ভালমন্ম দুই-ই আছে। মন্দরা বিশ্বাসপ্রবণ মরনারীকে প্রতারিত করিয়া সমাজের অমঙ্গল করে, এটা ত নুতন কথা মোটেই ময় । ইহা শুনিয় কাহারও তেমন উত্তেজিত হইবারও কোন কারণ নাই । সন্ন্যাসীর যে সব সময়ই সংস:ণ-বিৰাগী নয়, তার কি প্রমাণ দেওয়া দরকার ? সংবাদপত্রে তাদের কুকৰ্ম্মের বাহিনী ೬ಳಿ প্রকাশিত হয় যে চক্ষু পূজিয়া কথাটা মনিয়া লওয়া যাইতে পারে । এই সেদিন যুক্ত-প্রদেশের সীতাপুৰ জিলার এক গ্রাম কয়েক শত সংসার-বিরাগী সাধু সাধারাসক্ত গ্রামবাসীদের আতিথ্য ইচ্ছা করেন ; কিন্তু সেই আতিথ্যে অসন্তুষ্ট হইয়া ভাস্কার বেচারাদের গ্রামখানা আগুন দিয়া পুড়াইয় দেন, এবং গীতার বচন অনুসারে লাভালাভ ও মুখ-দুঃখ সমান মনে করিয়া পাপিষ্ঠ গৃহস্থদের 曼 সন্ন্যাস ও সন্ন্যাসী trave শস্ত ইত্যাদিও লুণ্ঠন করিতে আরম্ভ করেন। কিন্তু নিকটেই পুলিস ছিল বলিয়া ইহাদের আত্মিক শক্তিয় বিকাশ পূর্ণত। লাভ করিতে পারে নাই । ( অমৃত বাজার পত্রিকা, মার্চ ৮ ১৯৩৬ সন) । ইহার কয়েক দিন পূর্বেই কাগজে বাড়ির হয় যে চব্বিশ-পরগণার বেহালা থানার অধীনে এক আশ্রমের অধীশ্বরের বিরুদ্ধে এক রমণী আদালতে এক কুৎসিত অভিযোগ আনিয়াছে। ইহার আশ্রম আছে এবং ইনিও এক জন সন্ন্যাসী ! চয়ত শুনিতে পাইব পালে কালে মেষ আছে বলিয়া কি সব মেষই কালো ? তা নিশ্চয়ই নয় ; কিন্তু প্রশ্ন হইতেছে, সংখ্যা কোনটির বেশী ? সন্ন্যাসের ভেক লইয়৷ কত লক্ষ লোক হিন্দু সমাজে চরিয়৷ থাইতেছে আর তাহার মধ্যে প্রকৃত সাধু কয় জন । যে জিনিষটার অপব্যবহার হয় অতি সঙ্গজে তাহাকে কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রিত করা কি সমাজের কর্তব্য নয় ? অনেক দিন আগে মুন্সীগঞ্জেই বোধ হয় একবার কবিঅবতারেব আবির্ভাব হইয়াছিল ; আর ফরিদপুরে এক নিঃসন্তান দম্পতীর সস্তানের আকাঙ্ক্ষা যাগ-যজ্ঞের সাহায্যে চরিতার্থ করিয়া দিতে লোভ দেখাইয়া এক সন্ন্যাসী রমণীটির সর্বনাশ করিয়াছিল । ইহারাও যে সন্ন্যাসী ! ইহারাও যে ধয়া ন-পড়া পৰ্য্যস্ত সমাজে পূজা পাষ্টয়া থাকে ! এবং আশ্রম প্রতিষ্ঠা করিলে ইহারাও যে সহজেই শিষ্যসঙ্ঘ সংগ্ৰহ করিতে পারে ! যে ধৰ্ম্মোন্মাদ এ জিনিযের প্রশ্রয় দেয় সমাজ-চিতার্থীর কি তাহার কথা চিন্তা করা উচিত নয় ? পালের একটি কৃষ্ণ মেক পালকে কৃষ্ণ করে না সত্য ; কিন্তু তেমনই দুই-একটি শুভ্র মেযও সকল মেষকেই শুভ্ৰ করিয়া দেয় না । আধুনিক আশ্রমাদিতে জীবনধারা কি রকম তাঙ্গার একটু নমুনা দিলে আশা করি ভক্তের রুষ্ট হইবেন না । এক আশ্রমবালীদের একবার দুর্গোৎসব করিতে আকাজক্ষ হইয়াছিল। ইহার স্থির করিলেন মাটির মূৰ্ত্তিতে পূজা কিছুই নয় ; “যা দেবী সৰ্ব্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিত৷ ” তাহার পূজা মাতৃজাতিতেই হওয়া উচিত । আশ্রমবাসিনী কয়েকটি নারী পূজ্য বিবেচিত হইলেন আর কয়েক জন পুরুষ কাৰ্ত্তিক, গণেশ অসুর ও সিংহ হইতে সম্মত হইলেন। দুর্গ। যিনি হইলেন র্তাহার এক পা সিংহের পিঠে, আর এক প৷ অসুরের স্কন্ধে দিয়া দাড়াইয়া থাকিতে নিশ্চয়ই কষ্ট হইয়াছিল ; কিন্তু ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ করিবার জন্য তিনি সে কষ্ট গ্রাহ করেন নাই । তিন দিন ব্যাপিয়া সকাল হইতে সন্ধ্যারতি পৰ্য্যস্ত জীবন্ত মানুষ দ্বারা পূর্ণ কাঠামোতে এই ভাবে পূজা চলিয়াছিল । বলা বাহুল্য, এ পূজায় আশ্রমের বিশিষ্ট ভক্তেরাই শুধু যোগ দিবার অধিকার পাইয়াছিল । বাহিরের লোক সংবাদটা জানিয়াছে মাত্র । আর এক আশ্রমে একবার শাস্ত্রালাপ শুনিতে গিয়া দেখি, রামায়ণ-পাঠ হইতেছে । গুরুদেব কিংখাবে-মোড়া ব্যাঘ্রচর্শ্বের উপর তাকিয়া ঠেস দিয়া বসিয়া আছেন ; এক জন ভক্ত পাঠ করিতেছেন, আর অন্যেরা ভক্তিপ্ল,ত চিত্তে তাহ শ্রবণ করিতেছেন। পাঠ আরম্ভ হইল—‘জা,বান কহিলেন— শ্রোতাদের চক্ষু আত্র হইয়া উঠিল । আর ঠিক সেই সময়েই বাহিরের এক জন ভক্ত গুরুর জন্তু কতকগুলি ডাব ও অস্তান্ত ছাত্রাপ্য ফলের ভেট লই৷