পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আণশ্বিন হাজার তিন শত উমনব্বই টাকা পনর আন সওয়া পাচ গণ্ড জমায় এক জনের নিকট ইজারা ছিল । রামকান্ত রায় ১০১৩৮ন এক লক্ষ এক হাজার তিন শত উননব্বই টাকা বার্ষিক জমায় ১১৯৮ সন ( ১৭৯১—৯২ সাল ) হইতে ১২০৬ সন ( ১৭৯৯-১৮০০ সাল ) পয্যস্ত নয় বৎসরের মিয়াদে এই পরগণা ইজারা লহয়াছিলেন । রামকান্ত রায়ের জার্মান হইয়াছিলেন তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র জগমোহন রায়ু * এই ইজারার ষষ্ঠ বৎসরে, ১২০৩ সনের ১৯শে অগ্রহায়ণ ( ১৭৯৬ সালের ১ল ডিসেম্বর ) তারিখে রামকান্ত রায় তাহার অধিকাংশ স্থাবর সম্পত্তি তিন পুত্রের মধ্যে বাটোয়ার করিয়া দিয়াছিলেন । তজারার মিয়াদের প্রথম আট বৎসর রামকান্ত রায় তুরস্কটের লক্ষণধিক টাকা জমা নিয়মমত সরকারে দাখিল আসিতেছিলেন । কিন্তু ১২০৬ সনের চৈত্র মাসে ( ১৮০০ সনের এপ্রিল মাসে ) ভুরকুটের ইজারার মিয়াদ শেষ হইবার সময় এই সনের করিয়া জমার মধ্যে ২৮৫১৮০ রামকাস্ত রায়ের নিকট বাকী ছিল । এই টাকার জন্য রামকান্ত রায়কে বৰ্দ্ধমানের দেওয়ানী জেলে আবদ্ধ করা হইয়াছিল। পরে এই দেনার কতক টাকা জামীন জগমোহন রায়ের জমী বিক্রয় করিয়া আদায় করা হইয়াছিল। অবশিষ্ট টাকা রামকান্ত রায় স্বয়ং পরিশোধ করায় ১৮০১ সালের অকৃটোবর মাসে তিনি জেল হইতে খালাস পাইয়াছিলেন । রামকান্ত রায় বৰ্দ্ধমানরাজের কয়েকখানি মহাল প্রায় লক্ষ টাক বার্ষিক জমায় ইজারা রাখিতেন। এই সকল মহালের জমার ৭৫০১২ বাকী পড়িয়াছিল এবং তজ্জন্ত তাহাকে প্রথমতঃ হুগলীতে এবং পরে বদ্ধমানে দেওয়ানী জেল ভোগ করিতে হইয়াছিল । শেষে কিস্তিবনা করিয়া দেন দিতে অঙ্গীকার করায় তিনি খালাস পাইয়াছিলেন। এই সকল ঘটনা হইতে বুঝিতে পারা যায় রামকান্ত রায় বাটােয়ার • Bond of Rovenue 0 2 May 1701, No. 30 + Board of Revenue O.C. 15 July 1800 No. 14 বৰ্দ্ধমানের মহারাজ তেজচ রামকান্ত রায়ের ওয়ারিশন নামমানে রায় এবং গোবিন্দপ্রসাদ রায়ের নামে ১৮২৩ সালের ১৬ জুলাই রামকান্ত রায়ের নিকট প্রাপ্য কিস্তিবনার টাকার জন্য কলিকাতা প্রোভিন্সিয়েল কোটে যে নালিশ করিয়াছিলেন তাহার বিবরণ (Asiatic Journal, December, 1833) রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিতের উপাদান لا 85 سموا রদ করিয়া কখনও পুত্ৰগণের সম্পত্তির সহিত নিজ সম্পত্তি একত্রিত করেন নাই। রামকান্ত রায়ের মৃত্যুর পর বৰ্দ্ধমানের রাজা পাওনা টাকার জন্য র্তাহার বদ্ধমান শহরের বাসাবাড়ী দখল করিয়াছিলেন। জগমোহন রায় ভুরসুটের ইজারা সম্পর্কে রামকান্ত রায়ের জামীন ছিলেন। ১২০৬ সনের চৈত্র ( ১৮০০ সালের এপ্রিল ) মাসে ইজারার মিয়াদ ফুরাইলে যখন বৰ্দ্ধমানের কালেক্টর বাকী টাকা আদায় করিবার জন্য ব্যগ্র হইয়া পড়িয়াছিলেন, তখন র্তাহার মনে সংশয় হইয়াছিল, হরিরামপুর তালুকের প্রকৃত মালিক জগমোহন রায় না রামকান্ত রায়, এবং তিনি বোর্ডকে জিজ্ঞাস করিয়া পাঠাইয়াছিলেন রামকান্ত রায়ের নিকট এই টাকা পাওনা থাকিতে জগমোহন রায়কে সনে সালে ) হরিরামপুর তালুকের খাজনা আদায় ওয়াশীল করিতে দেওয়া হইবে কি না ? ১৮০০ সালের ১১ই জুলাই বৰ্দ্ধমানের কালেক্টর রেভিনিউ বোর্ডকে লিখিতেছেন— Para 2d. 1 have also to acquaint you that Jugmohun Roy Talookdar of Hurrirampore has discharged the Balance of Sa. Rs. 203.14.1.2. account the past year, but a balance of Sa. Rs. 2851.6 being due from his father Ramcaunt Roy the late farmer of Bursoo & for whom he was security and who is generally understood to be the aetual proprieter of Hurrinampore, although it is registered on the name of his son, I have therefore to request your orders whether he is to be permitted to commence the collections of the current year, or what measures are to be adopted for realizing the heavy balance due for the lands formerly let in farm to Ramcaunt Roy.” বোর্ড বৰ্দ্ধমানের কালেক্টরের কথা শুনিয়াছিলেন না। জগমোহন রায়কে হরিরামপুরের প্রকৃত মালিক স্বীকার করিয়া লইয়া তাহাকে ১২০৭ সনের (১৮০ ০—১৮০১ সালের) খাজনা আদায় ওয়াশীল করিতে দিয়াছিলেন। এই অনুগ্রহ জগমোহনের সর্বনাশের কারণ হইয়াছিল। হরিরামপুরের মোট সদর জমা ছিল ২৫,৮৮৩৭/১), এবং মুনাফা ছিল বোধ হয় চার-পাচ হাজার টাকা মাত্র। ১২০৮ সনের গোড়ায় দেখা গেল, ১২০৭ সনের হরিরামপুরের সদর খাজনার ৯৬০ ০॥১ বাকী আছে If এই বাকী > Rc " (>切ooー>bro> e Board of Revenue 0,0, 15 July, 1800, No. 14 + Board of Revenue 28 April, 1801 No. 65