পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مع جي) بسوق প্রবাসী >Nご8へこ খাজনার জন্য ১৮০১ সালের জুন মাসে জগমোহন রায়কে দেওয়ানী জেলে আবদ্ধ করা হইল। তালুকথানি নীলামে বিক্রয় করিয়া দেওয়া হইল। তথাপি দেন শোধ হইল না ; শেষ পর্য্যন্ত ৪৪৫৮৩/১০ বাকী রহিয়া গেল। দুই বৎসরেব অধিককাল কারাভোগের পর জগমোহন রায় মেদিনীপুরের কালেক্টরের সহিত রফা করিলেন যে র্তাহাকে খালাস দিলে তিনি ১০০০ টাকা নগদ দিবেন, এবং বাকী ৩৪৫৮ মাসিক ১৫০ টাকা হারে শোধ দিবেন।ী জেল হইতে বাহির হইয়া জগমোহন রায় মেদিনীপুরে এই ১০০০ টাকা জোগাড় করিলেন কি উপায়ে ? সুপ্রিম কোটের স্থলবর্তী কলিকাতার বর্তমান হাই কোটের ওরিজিন্যাল সাইডের মহাফেজ খানায় গোবিন্দপ্রসাদ রায় বনাম রামমোহন রায় মোকদ্দমার নর্থীপত্রে রামমোহন রায়ের দাখিল-করা যে সকল মূল দলীল আছে তাহারই মধ্যে রামমোহন রায়ের বরাবরে জগমোহন রায়ের লিখিত এক থানি ১০ ০০২ এক হাজার টাকার হাওলাত রসিদ পত্র আছে । হাই কোটের কর্তৃপক্ষ শ্ৰীযুক্ত ডাক্তার যতীন্দ্রকুমার মজুমদারকে আবশ্বকমত উক্ত মোকদ্দমার কাগজপত্রের ফটোগ্রাফ লইবার অনুমতি দিয়াছেন । আমরা ডাক্তার মজুমদার মহাশয়ের সৌজন্যে এই হাওলাত রসিদ পত্রের ( ১নং চিত্র ), রামমোহন রায়ের স্বহস্ত লিখিত এবং স্বাক্ষরযুক্ত একখানি এটর্ণি নিয়োগ পন্ধের (২ নং চিত্র) এবং আরও কয়েকখানি মূল দলীলের ফটােগ্রাফ পাইয়াছি। এই হাওলাত রসিদপত্রে লিখিত হইয়াছে প্রাণাধিক লিখিতং ঐভুত রামমোহন রায় শ্ৰীজগমোহন রায় f g 認阿 ரி ভাইঞ্জীউ পরম কল্যাণবরেষু, S。 হাওলাত রসিদ পত্রক্ষিণং কার্য্যঞ্চাগে আমি তোমার স্থানে মবলগে সিস্তৃক ১• • • এক হাজার টাকা কৰ্জ লইলাম মবলক মজকুর ফিসও ১ঢাকা হিসাবে সুদ সমেত সন ১২১২ সাল দিব মবলক মজকুর মোকাম মেদনীপুরে প্রমোহন পোতদারের তহবিল হইতে পাইয়া হাওলাত রশীদ লিখিয়া দিলাম ইতি-- 豪 সন ১২১১ সাল—তারিখ ৩রা ফাঙ্কন ১২১১ সনের ৩রা ফাঙ্কন অর্থাৎ ১৮০৪ সালের ১৫ই কি

Board of Revenue Mis. 30 September, 1803 No 23

১৬ই ফেব্রুয়ারী জেল হইতে বাহির হইয়া মেদিনীপুরের এই শ্ৰীমোহন পোদারের মারফতে রামমোহন রায়ের নিকট হাজার টাকা কৰ্জ পাইয়া জগমোহন রায় পূর্ণ স্বাধীনতালাভ করিয়া বাড়ী ফিরিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। এই রসিদপত্রের স্বাক্ষর যে জগমোহন রায়ের স্বাক্ষর ইহা আদালতে যথাবিধি প্রমাণিত হইয়াছিল। যদি কেহ এই প্রমাণ যথেষ্ট মনে না করেন, তবে তিনি জগমোহন রায়ের কারামুক্তি সম্বন্ধে সমস্ত সরকারী চিঠিপত্র আলোচনা করিলে দেখিতে পাইবেন যে এই সকল চিঠিপত্রের সহিত জগমোহন রায়ের এই হাওলাত রসিদ পত্র বেশ খাপ খাইয়া যায়। সুতরাং সরকারী চিঠিপত্র এই রসিদপত্র সপ্রমাণ করে, বাটোয়ারার পরে জগমোহন রায় এবং রামমোহন রায় এই দুই জনের সম্পত্তি এবং হিসাব সম্পূর্ণ পৃথক ছিল। অথাং রামমোহন রায় গোবিন্দপ্রসাদের আর্জির জবাবে যাহ! লিথিয়াছেন তাহান্ত সত্য । গোবিন্দপ্রসাদ রায়ের আজ্জিতে বাটোয়ারার পর রাম কাস্ত, জগমোহন, রামমোহন এই তিন জনের সম্পত্তি পুনরায় একত্রিত হওয়ার কথা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা এই সম্বন্ধে রেভিনিউ বোর্ডের চিঠি-পত্র ছাড়া অন্ত স্বতন্ত্র প্রমাণও আছে। ১২০৬ সনে রামমোহন রায় নিজ নামে গোবিন্দপুর এবং রামেশ্বরপুর নামক দুইখানি তালুক খরিদ করিয়াছিলেন। এবং গোবিন্দপ্রসাদ তাহার আজ্জিতে লিথিয়াছেন, প্রকৃত প্রস্তাবে এই দুইখানি তালুক এজমালী তহীলের টাকায় রামকাস্থ রায় রামমোহন রায়ের বিনামায় পরিদ করিয়াছিলেন । জগমোহন রায়ের স্বী এবং গোবিন্যপ্রসাদ রায়ের মাতা দুর্গাদেবী কলিকাতা সুপ্রিম কোর্টের একুইট বিভাগে ১৮২১ সালের ১৩ই এপ্রিল তারিথে রামমোহন রায়ের বিরুদ্ধে আর একটি মোকদ্দমা রুজু করিয়াছিলেন । ডাক্তার যতীন্দ্রকুমার মজুমদার এই মোকদ্দমার নী আবিষ্কার করিয়াছেন। এই মোকদ্দমার আর্জিতে বাদিনী বলিয়াছেন, রামমোহন রায় বাদিনীর নিকট হইতে টাকা লক্ট নিজ নামে গোবিন্দপুর এবং রামেশ্বরপুর তালুক খরিদ করিয়াছিলেন। তারপর ১২০৬ সালের ৫ই শ্রাবণ ( ১৭৯৯ সালের ১৯শে জুন ) রামমোহন রায় একখানি বাংলা কবাল সম্পাদন করিয়া এই দুষ্ট খানি তালুক দুর্গাদেবীর নিকট সাফ