را همسوb প্রৰণসী সব সুযোগই ব্যর্থ করেছে বারেবারে র্তার একগুঁয়ে মেয়ে । কপাল চাপড়ে, হাল ছেড়েছেন যখন তিনি, এমন সময় পারিবারিক দিগন্তে হঠাৎ দেখা দিল কক্ষছাড়া পাগল জ্যোতিষ্ক, মাধপাড়ার রায় বাহাতুরের একমাত্র ছেলে মহীভূষণ । রায় বাহাতুর জমা টাকা তার জমাট বৃদ্ধিতে দেশবিখ্যাত । তার ছেলেকে কোনো কন্যার পিতা পারে না হেলা করতে যতই সে হোক লাগাম-ছেড়া । আট বছর যুরোপে কাটিয়ে মহাভূষণ ফিরেছেন দেশে। বাবা বললেন, “বিষয়কৰ্ম্ম দেখো ।” ছেলে বললে, “কী হবে " লোকে বললে, ওর বুদ্ধির কাচা ফলে ঠোকর দিয়েছে রাশিয়ার লক্ষ্মীখেদানো বাছড়টা। অমিয়ার বাবা বললেন, “ভয় নেই, নরম হয়ে এল ব’লে দেশের ভিজে হাওয়ায় ।” দুদিনে অমিয়া হ’ল তার চেলা । যখন তখন আসত মহাভূষণ, আশপাশের হাসাহাসি কানাকানি গায়ে লাগত না কিছুই । দিনের পর দিন যায় । অধীর হয়ে অমিয়ার বাবা তুললেন বিয়ের কথা । মহী বললে—“কী হবে !” বাবা রেগে বললেন – “তবে তুমি আস কেন রোজ ?" অনায়াসে বললে মহাভূষণ, “অমিয়াকে নিয়ে যেতে চাই যেখানে ওর কাজ ।” অমিয়ার শেষ কথা এই— “এসেছি তঁারি কাজে । উপকরণের তুর্গ থেকে তিনি করেছেন আমাকে উদ্ধার ” আমি সুধালেম, “কোথায় আছেন তিনি ?” অমিয়া বললে—“জেলখানায় ।" ৩ জুলাই, ১৯৩৬
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।