পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এৰাসী --~~च्छच्छछू $wతిEN9 প্রয়োজন হইলে দাম দিয়াও কোন জিনিষ পাওয়া কঠিন ছিল ; তবুও এতদিনে আমার মন শাস্তিপূর্ণ হইল। .. আমাদের দলে চার জন লামা ও চার জন গৃহস্থ ছিল, তাহার মধ্যে আমার বন্ধু কুলু অঞ্চলের রিফেনও ছিলেন। ডুৰূপা লামার শরীর মোটা, তাহার চলিবার শক্তিও ক্ষীণ হইয়া গিয়াছিল, সুতরাং তাহাকে বহিয়া লইবার জন্ত সঙ্গে লোক রাখিতে হইত। সকালে আবার উৎরাই আরম্ভ হইল, উৎরাইয়ের শেষে নদীর উপর লোহার শিকলে ঝুলানো পুল পাওয়া গেল। সাধারণের চলিবার পথ এইটিই, সেই জন্ত ঐখানে চটি এবং দোকান ছিল বটে, কিন্তু অগ্নিপক মৎস্ত ভিন্ন অন্ত আহার্ধ্যের বিশেষ সন্ধান পাওয়া গেল না। আবার চড়াই আরম্ভ হইল, সন্ধ্যা পৰ্য্যস্ত চলিবার পর তমদদের একটি বড় গ্রামে পৌছিলাম। সেখানে রাত্রি কাটাইবার পর সকালে গুরুকে বহিবার জন্ত দুই জন লোক লইয়া আবার যাত্র স্বরু হইল। এক পৰ্ব্বতস্কন্ধ পার হইয়া অনেকখানি উৎরাইয়ের পর আমরা কালী নদীর তীরে পৌছিলাম। লবণ-সংগ্রহকারীদের ভীড়ে মনে হইল যেন পথে মেলা বসিয়াছে। এইরূপে ১৮ই মে আমরা কালী নদীর উপরের অংশে শর্বাদিগের এক বড় গ্রামে পৌছিলাম। সঙ্গীদের নিকট গুনিলাম আগামী কাল আমরা নেপালের সীমাস্তের চৌকী পার হইব । এই যাত্রায় অন্ত সকলে সত্ত, খুক্লপ দিয়াই দক্ষিণ হন্তের ব্যাপার শেষ করিত, কেবল ডুকৃপা লামা ও আমার জন্ত ভাতের ব্যবস্থা ছিল । ভাতের সঙ্গে কোন দিন জংলী শাক, কোন দিন মাছের ঝোল জুটিত। এই গ্রামে মুরগীর ডিমের প্রাচুর্ধ্য দেখা গেল। আমি চল্লিশ-পঞ্চাশটি ডিম কিনিলাম : সঙ্গীর একরাত্রেই সে-সব সাবাড় করিয়া ফেলিলেন । ভারতে এই সকল পদার্থের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক ছিলনা, কিন্তু আমি এ-যাত্র মাংসের উপর নিষেধাজ্ঞা অপসারণ করিয়াছিলাম। বাল্যাবস্থায় মাংসাহার চলিত, স্বতরাং ঘৃণার কথা কিছু ছিল না। এখন আমরা কাঠমাণ্ডব-তিব্বতের এক বড় রাস্তায় জাসিয়াছি । রাত্রে সীমান্ত পার হুইবার তোড়জোড়ের মধ্যে যন্মোভাষায় লিখিত কাগজপত্রাদি পুড়াইয়া শেষ করিলাম, পাছে তাতপানীতে কেহ তল্লাসী করিয়া ঐগুলি দেখিয়া সন্দিগ্ধ হয় । আমরা কালী নদীর উপরের অংশে ছিলাম। নদীর পাড়ে পাড়ে আমাদের ক্রমেই উপরে উঠতে হইতেছিল। নদীর দুই ধারই শুামল, যদিও সমস্ত দেশ যে জঙ্গলে ভরা তাহা নয়। বেলা দুইট নাগাদ আমরা তাতপানী পৌছিলাম ; গরম জলের প্রস্রবণ আছে বলিয়া এখানকার নাম “তাত ( তপ্ত ) পানী” । এখানে নেপালী ডাকঘর ও চুঙ্গী আদায়ের দপ্তর ছিল। আমার ত বুক ধড়ফড় করিতেছিল, কখন কে বলে “তুমি মধেসিয়া (ভারতীয়), এখানে কি করিয়া আসিলে ?” লাম-মহাশয় পিছনে ছিলেন, চুঙ্গীর লোক আমাকেই প্রশ্ন করিল “লামা, কোথা হইতে আসিতেছ?” আমি উত্তর দিলাম “তীর্থ হইতে,” (অর্থাৎ ভারতীয় বৌদ্ধ-তীর্থ দর্শনের পর ) এবং তাঁহাতেই চুঙ্গীর হাতে রেহাই পাওয়া গেল। সঙ্গী রিঞ্চেন বলিলেন “ধাকৃ, তোমার কার্ধ্যোদ্ধার হয়ে গেল ত?” সেই সময়েই আমি খোজ পাইলাম যে ফৌজী-চৌকী ( সেনানিবাস ) এখনও সম্মুখে আছে, স্বতরাং বলিলাম “ভাই, আসল ঘাট এখনও পার হই নাই ।” কিছুক্ষণ পর লামা আসিয়া পৌছিলেন। বৃষ্টি পড়িতে ছিল, স্বতরাং কিছু ক্ষণ একটি কুটীরে অপেক্ষা করিবার পর আমরা আবার চলিলাম। সন্মুখে এক উচ্চ পৰ্ব্বতবাহু যেন আমাদের পথরোধ করিয়া দাড়াইয়াছিল, এমন কি, নদীর স্রোতও কোন পথে আসিতেছে তাহা দেখা যাইতেছিল না। এত ক্ষণে বুঝিলাম তাতপানীর ফৌজী-চৌকী তাতপানী ছাড়িয় এতদুরে কেন। বাস্তবিকই এই বিরাট পৰ্ব্বতপ্রাকার সৈনিকের দৃষ্টিতে অতি মহত্বপূর্ণ, কেননা উহার সাহায্যে সামান্ত সৈন্তের দলও শত্রুর বিশাল বাহিনীর পথরোধ করিতে পারে। কিছু পথ চড়াইয়ের পর রাস্তার উপর সশস্ত্র লাস্ত্রী দেখা দিল। সাস্ত্রী আমাদের আটক করিয়া পথের পাশে বসিতে বলিয়া হওয়ার সাহেবকে ডাকিয় জানিল। এই সেই স্থান, যাহার ভয়ে আমার মন এত দিন অস্থির ছিল। अभोग्न भएन श्हेण cश्न अधि जांचो९ श्धब्रोरखङ्ग गर्ुर्थ উপস্থিত। আমার এক সঙ্গীকে প্রশ্ন করায় সে বলিল,