পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अछाउ बिब्रखिकन्न भान श्झेउ, किढ् छेोग्न কি ? সৌভাগ্যক্রমে গ্রামের লোকে লামাকে রাখিবার জন্য বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করিল না, বোধ হয় যাহার যাহা দেয় তাহ প্রথম-মুখেই দেওয়া হইয়া গিয়াছিল। রাত্রি এক প্রহর যাইতেই রিঞ্চেন বলিল, কালই রওনা হইতে হইবে। বলা বাহুল্য, এ-সংবাদ আমার নিকট অতি মধুর শুনাচল। পরদিন বেলা আটটায় যাত্রা করিলাম। খালি-হাত হওয়ায় আমি অন্তদের আগেই চলিয়া যাইতাম। এখনও আমরা দেবদারুর অঞ্চলে, গঙ্গলের মাঝে মাঝে ছোট ছোট গরু চরিতেছে দেখিলাম। কিছুদূরে নবনিৰ্ম্মিত ঘর দেথ। গেল। আমি ঘর ছাড়াইয়া পথের ধারে দাড়াইয়া কিছু ক্ষণ সঙ্গীদের প্রতীক্ষা করিলাম, শেষে তাঁহাদের দেরি দেখিয়৷ ঐ গৃহে প্রবেশ করিয়া গৃহস্বামীকে বললাম ডুরূপ লাম রেনপোছে আসিতেছেন । ব্যস্, আর কথা কি, তৎক্ষণাৎ চায়ের পাত্র উনালে চড়ান হইল । লামা আসিতেই বলিলাম যে চা প্রস্তুত-প্রায় । গৃহস্বামী শশব্যস্তে লামাকে প্ৰণাম করিয়৷ মৃতন গৃহে তাহার পদধূলি দান করাইল । গৃহের এক কোণে ছোট জলের প্রস্রবণ ছিল, লামা তাহার মাহাত্ম্য কীৰ্ত্তন করিলেন । কিছু পরে মাখনযুক্ত গাঢ় চ। এবং সঙ্গে এক থাল। চাউল ও মুহর ভেট উপস্থিত হইল। সকলের চা পাওয়া শেষ হইলে আবার আমরা অগ্রসর হইলাম। দ্ধিপ্রহরের পর দেবদারুবৃক্ষ ক্রমেই ছোট হইতেছে মনে হইল, কচিং একটি বনস্পতি দেখা যায়। শেষে নদীর ধার-রোধকারী বিশাল পর্বতভূজ দেখা দিল, তাহ পার হইতেই বৃক্ষগুন্মের খামল রাজ্য শেষ-প্রায় মনে হইল। এখন দু-চারটি মাত্র অতি ছোট দেবদারু দেখা যাইতেছিল ঘাসও প্রায় দেখাই যায় না। বিকালে চকু-মুম্ গ্রামে পৌছিলাম। হুমতি প্রজ্ঞ প্রথমে গ্রামে পৌঁছাইয়া মাখন চা প্রস্তুত করিয়া আগাইয়া অভ্যর্থনা করিতে আসিলেন । আমার কিছু পরে অন্তেরা পোছিলেন এবং প্রত্যেকেই দু-এক পোলাচ খাইয়া গ্রামের দিকে চলিলেন। গ্রামের পথের উপরে নীচে বহু চমী গাই (বাকু) চরিতেছে দেখিলাম। পাহাড়ের অবস্থা দেখিয়া বুঝিলাম, এইখানেই বৃক্ষ-ৰনম্পতির শেষ দর্শন হইল । আবার বৎসরাধিক নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর 3లి) কাল পরে বৃক্ষবনরাজির খামল শোভা দেখিয়া চন্থ জুড়াইয়াছিল। চক্ৰহ বেশ বড় গ্রাম। গ্রামের নীচে নদীrশছে . দুইটি তপ্তজলের কুও থাকায় এ-গ্রামের অন্ত নাম (তথজল ) । এখানকার সর্বশ্রেষ্ঠ গৃহে লামার স্থান নিদিষ্ট হইল। রাত্রে মশাল জালাইয়া তপ্ত জলে স্নান করিতে গেলাম, সঙ্গীরা সম্পূর্ণ নগ্ন হইয়া স্বান করিতে লাগিল। যাহা হউক, তখন তবু রাত্রের অন্ধকার ছিল, পরদিন দিনের বেলা স্নান করিতে গিয়া দেখিলাম ভোটিয় পুরুষেরা স্ত্রীলোকের সম্মুখেই অম্লানবদনে নগ্ন হইয়া স্নান করিতেছে। বস্তুত: আমার মনে হয় শীতের ভয় না থাকিলে ইহার কঙ্গো দেশের কাফ্রীদের ন্যায় উলঙ্গ হইয়। ঘূরিত ! গ্রাম বড় ছিল কিন্তু যথেষ্ট ভেট আসে নাই, সেইজন্ম ডাম্ হইতে আগত ভদ্র পুরুষ যদিও লামাকে বহন করার লোকের ব্যবস্থা করিয়া অগ্ৰে পেছিবার জন্য অরক্ষণ পূৰ্ব্বেই রওয়ান হইয়াছিলেন, তথাপি লামা সমস্ত বিচার করিয়া আরও এক দিন থাকিবার ব্যবস্থা করিলেন। সেই দিন লামা গরম জলে স্নান, গরম গরম মদ্যপান, ভক্তদের ভাগ্যবিচার ও মন্ত্রতন্ত্র উচ্চারণে কাটাইলেন । ২৬শে মে আমরা চকু-মুম্ হইতে রওয়ানা হইলাম। এখানে আসিবার পরই আমি রিঞ্চেনের প্রদত্ত ভোটিয় ভিক্ষুর বস্ত্র পরিয়াছিলাম, কিন্তু তাহা সত্ত্বেও মাঝে মাঝে শীত-বায়ুর প্রকোপে সৰ্ব্বাঙ্গ কঁাপিতেছিল। ভয় হইতেছিল, এথান হইতেই ফিরিতে না হয় । চকুহুম ছাড়াইয়া কিছু দূর যাইতেই বৃক্ষলতার চিহ্নও পাওয়া গেল না, দূরে দূরে পর্বতগাত্রে ঘাসের অন্বেষণে বিশালকায় চমরী চরিয়া বেড়াইতেছে দেখিলাম। পথে দুই বার তুষারের উপর দিয়া চলিতে হইল। এখানে কাঠ দুপ্রাপ্য, দ্বিপ্রহরে যেখানে চ খাইলাম সেখানে খুঁটে দ্বারা আগুল জালাল হইয়াছিল। এখন পথ অতটা দুর্গম ছিল না। দূরে তুষারাবৃত গৌরীশঙ্করের রূপালী শিখর দেখা যাইতেছিল। কুঞ্জ হইতে এক মাইল আগেই লামার জন্ত ঘোড়া