পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এস এস পিলুসন জাহাজে শ্ৰীযুক্ত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় করিয়া লইয়া যাইতেছেন। বর্তমান ইউরোপে গঠন-শক্তি ধে-পরিমাণে দেখা যায়, ধ্বংস-শক্তিও সেই পরিমাণে সেখানে বিরাজ করিতেছে । জগতের হিত ও অহিত সাধনের উভয় প্রকার পন্থাই ইউরোপ আবিষ্কার করিয়াছে। রামানন্দ-বাবু তাহার প্রবীণ জ্ঞানবুদ্ধি দ্বারা তাহার হিতসাধক শক্তি পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া আসিবেন । অমৃতবাজার পত্রিকার সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত মৃণালকাস্তি বস্ব মহাশয় বলেন, রামানন্দ-বাবু কখনও রাজনৈতিক বা সামাজিক কোনপ্রকার সভা-সমিতিতে যোগ দেন না, অথচ দেশের সকল প্রতিষ্ঠান, সৰ্ব্বপ্রকার অনুষ্ঠান সম্বন্ধে ধীর সমালোচক-দৃষ্টিতে অপক্ষপাত ও নির্ভীক স্থবিচারপূর্ণ ভাবে আলোচনা করেন । এইজন্যই দেশের লোক র্তাহাকে বেশী শ্রদ্ধ করে। প্রবাসী ও মডার্ণ রিভিউতে র্তাহার যে-সমস্ত মন্তব্য প্রকাশিত হয় তাহাতে বাংলা দেশে জনমত গঠিত হয় এবং দেশবাসী প্রভূত উপকৃত হয় । স্বৰ্গীয় মতিলাল ঘোঘ মহাশয় বলিতেন, “রামানন্দ বয়সে আমার কনিষ্ঠ হইলেও জ্ঞানে আমার জ্যেষ্ঠ ।” রামানন্দবাবুকে ভারতবর্ষের সংবাদপত্রসমূহের প্রতিনিধি মনোনীত করিয়া লিগ অব নেশনস প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিকেই প্রাপ্য সম্মান দান করিয়াছেন । দেশে নানা প্রকার দল আছে, রামানন্দ-বাবু কোন দলেরই অন্তভূক্ত নন, অথচ প্রত্যেক দলের ভালোটুকুর প্রশংসা করেন ও মন্দের নিন্দ। করেন বলিয়া তিনি সকলের শ্রদ্ধা-ভক্তি অর্জন করিয়াছেন । এইসমস্ত বক্তৃতার প্রত্যুত্তরে রামানন্দ-বাবু সভার সকলকে ধন্যবাদ প্রদান করিয়া বলেন, হিন্দু মুসলমান বিরোধে দেশের এই একান্ত দুর্দশার দিনে দেশকে ছাড়িয়া বহু দূরে যাইতে তিনি অত্যন্ত ক্লেশ অনুভব করিতেছেন। যদিও প্রতিকারের উপায় নাই, তথাপি দেশবাসীর সঙ্গে থাকিয়া এই দুঃখের ভাগ লওয়াই তাহার পক্ষে ভালো ছিল । কিন্তু লিগ অব নেশনস্কে কথা দিয়া ফেলিয়াছেন বলিয়৷ র্তাহাকে যাইতেই হইবে। এই চিন্তা অনেক সময় র্তাহাকে পীড়া দিয়াছে যে, এ দেশটা কি কেবল দুই রকম জীবের বাসস্থান থাকিবে-বাঘ আর কেঁচো ? কবে আমরা শক্ত ও সাহসী হইব ? কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে দেশের ঠিক এইরকম দুর্দশার দিনে স্বগীয় মতিলাল ঘোষ মহাশয় নিরাশ চিত্তে র্তাহাকে জিজ্ঞাসা করেন, এ দেশের উন্নতি কখনও হইবে কি না। তিনি বলেন, র্তাহার আশা আছে