পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] রূপকে অপরূপ করিয়া তোলেন। তাই কবি নিজেই বলিতেছেন— দিয়েচ আমার পরে ভীর তোমার স্বর্গটি রচিবার । 求 事 事 孪 মোর হাতে যাহা দাও তোমার আপন হাতে তার বেশি ফিরে তুমি পাও ! এইবার প্রশ্ন উঠিবে—বাস্তব-অবাস্তবের দ্বন্দ্বকে অস্বীকার করিলে, কবিকল্পনার স্বন্দর-চেতনায় একটি নিদ্বন্দ্বের অনুভূতি—একটা Universal—সাৰ্ব্বভৌমিক তত্ত্বের সন্ধান পাওয়া যায়। তাহা হইলে কবির ব্যক্তিগত অনুভূতির বৈশিষ্ট্য (particularity) এই সাৰ্ব্বভৌমিকত খৰ্ব্ব করিতেছে না ? ওই Universal যদি শ্রেষ্ঠ কল্পনার মূলগত সত্য হয়, তবে কাব্যবিশেষের মৌলিকতার মূল্য কতটুকু ? কবির ভাবস্বাতন্ত্র্য এই সত্য-সুন্দরের পরিপন্থী কিনা ? ইহার উত্তরে একজন পণ্ডিতের * উক্তি উদ্ধত করিতেছি— “The liberty of imagination is incompatible only with the servile kind of imitation. It is the most vital factor in that liberation of “the Universal” from disturbing particulars (from second-rate or outworn substitutes for the Universal) which Aristotle found the essence of poetry to be. This gift, explicitly and for the first time vindicated by the Romantic critics and poets, is rightly used by the Classicists to reach °the Universal', the Ono , amid the Particulars, the One amid the Manifold, Permanence through Change.” —ইহার অর্থ এই যে, বিশেষের প্রতি কবির যে নিষ্ঠ, অর্থাৎ কবির কল্পনা-স্বাতন্ত্র্য—নির্বিশেষকেই স্বপ্রতিষ্ঠিত করে । শাস্ত্র যাহাকে কতকগুলি নির্দিষ্ট ছাচের বন্ধনে বাধিয়া রাখে, কবির স্বাধীন কল্পনা সেগুলিকে ভাঙ্গিঃ দিয়া যে অনস্ত বৈচিত্র্যের স্বষ্টি করে, তাহাতে সেই নিৰ্ব্বিশেষকেই মুক্তি দেওয়া হয়—বহুর মধ্যে যে এক, অনিত্যের মধ্যে যে নিত্য, তাহাকেই আরও ভালো করিয়া উপলব্ধি করিবার স্ববিধা হয়। আমাদের কবিও কোনও একটি সন্ধ্যার বর্ণনা করিয়া অবশেষে বলিতেছেন— একটি কেবল করুণ পরশ রেখে গেল একটি কবির ভালে ; তোমার অনস্তমাঝে এমন সন্ধ্যা হয়নি কোনো কালে, কাব্য-কথা

  • C. H. Herford CEssays by the Members of the English Associatiom, Vol. VIII)

আর হবে না কভু । এমুনি করে’ই, প্ৰভু, এক নিমিষের পত্রপুটে ভরি’ চিরকালের ধনটি তোমার লও যে নুতন করি । —শেষ छ्हे ETH Universal s Particular q3 সম্বন্ধটি কি সুন্দর করিয়া ব্যক্ত করিয়াছেন ! এইবার আগেকার কথা স্মরণ করিতে হইবে । কবির স্বষ্টি-কৌশল কাব্যের মধ্যেই প্রকটিত হয়, অর্থাৎ, কল্পনার যাহাকিছু উৎকর্ষ বা বৈশিষ্ট্য—কাব্যস্থষ্টি সম্বন্ধে এই যে এত কথা, তাহার পরিচয় পাই কবিতাবিশেষের রচনাসৰ্ব্বশ্বের মধ্যে। কবির কল্পনা কাব্যকে এতটুকু ছাড়াইয়া আর কোথাও নাই। অতএব কবি-প্রতিভার সত্যকার প্রমাণ-কাব্যস্থষ্টি বলিতে যাহা বুঝায়, তাহ ঐ বাণীরই স্বষ্টি । একটি বিশিষ্ট ব্যক্তিগত অনুভূতিকে তাহার যথাযথ বাজুয়রূপে প্রকাশ করাই কবির স্বষ্টিশক্তির নিদর্শন। এই প্রকাশ-কৌশলের মধ্যেই কবিপ্রতিভার আদি ও শেষ পরিচয়। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, কবি যাহা স্বষ্টি করেন তাহা একটি স্থম্পষ্ট ও স্থপরিচ্ছিন্ন ভাব-রূপ ; ভাব অর্থে কবির হৃদগত অনুভূতি, রূপ অর্থে তাহার বায়ুর মূৰ্ত্তি । কিন্তু কবির ওই হৃদগত অহভূতি পৃথকৃরূপে আমাদের প্রত্যক্ষ নহে, তাহার বায়ুয় রূপটিকেই আমরা প্রত্যক্ষ করি। কবির কল্পনা বলিতে আমরা সাক্ষাং কবিতা ভিন্ন আর কিছুই বুঝিব না। এই যে কবিতার আকারে কবির হৃদগত কল্পনাকে আমরা প্রত্যক্ষ করি, তাহার কারণ, কবি ভাবকে রূপ দিতে পারেন ; কেমন করিয়া তাহ পারেন তাহার উত্তর-কবির দৃষ্টি অতিশয় একাগ্র ও বস্তুনিষ্ঠ, এবং কবির অনুভূতিতে একটি ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য ও স্বাতন্ত্র্য আছে। কবি সকল বস্তুই এমন আপনার মত করিয়া, নূতন করিয়া দেখেন বলিয়াই সেই সকলের বাণী-রূপ এমন জীবন্ত হইয় ওঠে। উনবিংশ শতাব্দীর যুরোপীয় কাব্যে এই বস্তুনিষ্ঠার,এই তীক্ষ্ণ ইঞ্জিয়চেতনার উল্লেখ করিয়া সমালোচনfচার্য। Sainte Beauve বলেন, এই যুগই সৰ্ব্বপ্রথম মাহুষকে Sentiment of Realityতে দীক্ষিত করিয়াছে। তাই পূৰ্ব্বোক্ত ইংরেজ সমালোচক বলিতেছেন, এই যুগের কবিগণ বহিঃ-প্রকৃতি সম্বন্ধে এতই সচেতন,ৰূপবিশেষের বৈশিষ্ট্যে এতই মুগ্ধ যে—