পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] আত্মদর্শন br@。 আত্মগঠনের যমনিয়মাদি “কাজে লাগ, কাজের ভিতর দিয়া মানুষকে ভালো ১। জীবনের একটি লক্ষ্য স্থির করা ; নিজের কৰ্ত্তব্য বাস্। মানুষের সবচেয়ে বড় গৌরব, সবচেয়ে বড় নিজে পালন । পুণ্য কাজ দিয়ে প্রেমকে সার্থক করা। আজই জীবনের ২ । সমস্ত প্রয়াসকে নিয়ন্ত্রিত করা ; ইচ্ছাশক্তিকে জীবনের লক্ষ্যসাধনে একান্তভাবে নিয়োগ । কোন জিনিষ শুধু তাহার জন্যই না-খোজা ; জীবনের জন্যই জীবনটাকে আঁকুড়াইয়া না থাকা, জীবনের লক্ষ্যের জন্যই জীবনকে আদর করা। ৪ । অস্পষ্ট বা খাপছাড়াভাবে অথবা অনুগ্রহ করিবার জন্য লোকহিত করা নয়—মুনির্দিষ্ট ও সরলভাবে লোকসব কর । মানুষের ভাল করিবার কোন সুযোগই না ছাড়া ; দান, সহানুভূতি, শুভেচ্ছার দ্বারা জীবনের কৰ্ম্মপ্রচেষ্টাকে কোন মানুষ বা মানবসমষ্টির কল্যাণে নিয়োজিত করা ; সৰ্ব্বোপরি ধোয়াটে ভাবুকতায় নিজের করুণা ও প্রেমকে আচ্ছন্ন না করা। ৫ । সত্যের অভিসারে আমরণ অপরিশ্রান্ত থাকা । সত্যের পূর্ণতা ও মুসঙ্গতি শিল্পে সৌন্দর্য্যে কৰ্ম্মে কারুণ্যে) যদি সেই সত্য-সম্পদ মিলে—যতটুকু মেলে অপরের সঙ্গে যথাসম্ভব উপভোগ করা । অপরের ঘাড়ে তাহা জোর ক্টরিয়া চাপান নয় ; তাহার যেটুকু চাহিতেছে দেওয়া ; মাহুষের আত্মসন্তোষে আঘাত না দেওয়া। সত্যকে যে ইমুছে (দুঃখেরই হোক আর মুখেরই হোক ) তাহার ক্ষ অপরের সঙ্গে বনাইয়া চলা কঠিন নয়। আমার মতে সকল তরুণ প্রাণই এইভাবে তাদের ধ্যাত্ম জীবনের অনুশাসন পত্র অবিলম্বে লিখুক, তাদের ত্রার উপযোগী আয়োজন করুক। যত শীঘ্র সম্ভব সমস্ত fজ সারিবার জন্য লাগিতে হুইবে, ভাবিতে হইবে যেন আসিয়া পড়িল । সুতরাং যত শীঘ্র সম্ভব আসল কাজ করিতে চেষ্টা করা। অস্তরের গভীর বাণীটির সঙ্গে জের স্বর বাধিয়া লওয়া ; তা’র পর সামনের পথ ছোট বড় কিছু না ভাবিয়া আগাইয়া চল । আমার জীবনের অনুশাসন-পত্র আমি লিথিয়া গেলাম।” হয়ত অকিঞ্চিৎকর কিন্তু ইহার পিছনে আমার তিন রর প্রাস ও সংগ্রাম আছে; তাহ আমার কাছে ব্যর্থ তাহা যে আমার প্রথম যৌবনের তিন বছর । প্রথম কাজ স্বরু কর ; কাজের ক্ষেত্রটা ক্রমশঃ বাড়িয়ে যা ; আজই তোর ভাইদের ভালোবাস, কাল আত্মীয়দের, পরে দেশকে এবং ক্রমশঃ বিশ্বমানবকে ; বুঝেছিস্ ? সত্যি স্বর্গট হচ্ছে এই জীবন । ওরে ভাই, এই মুহূর্তেই সকলে যে স্বর্গে রয়েছি । কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি না, কারণ প্রাণে যে আমাদের প্রেম নেই। সেই জন্যই ত স্বৰ্গ হয়েছে আমাদের নরক—যারা ভালবাসতে পারে না তাদের যাতনাই ত zRR;...” wgwegw3tft , ( Dostoicvsky-Brothers Karamazov ). বহিজগৎ কেমন করিয়া বাচিতে হইবে সেটা ঠিক করিবার পূৰ্ব্বে আর একটা প্রশ্ন জাগে কোথায় বাচিয়া আছি ? আমাদের কাজের ক্ষেত্রট কিরূপ ? বহির্জগৎটা কি ? আমার শাশ্বত-আমি ত অসংখ্য লীলা-নাট্যের অধিকারী ; খণ্ড আমি ত একজন সামান্য নটমাত্র ; তার বিরাট স্বর-সঙ্গতির মধ্যে আমি ত একটি সমবাদী স্বর ; আমার পর্দার স্বরবিন্যাস অন্যান্য সমবাদী সুরের পর্দার অতুরণন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ; আমার তাৎপৰ্য্যটি নির্ভর করিতেছে এই নাট্যের অপর নটদের ভূমিকায় ; অথবা আমরা কেহই ভাল করিয়া জানি না অভিনয়ের চরম সার্থকত কোথায় । প্রত্যেকেই আমরা একদিকে বিশেষবিশেষ সত্তা, অন্যদিকে যেন কোন এক মহান বিয়োগাস্ত নাট্যের অভিনেতা। অথচ আমরা পূর্ণভাবে না বুঝি নিজেদের না বুঝি অন্যদের । বহির্জগতে একটা জিনিষ স্পষ্ট ; আমরা অন্য জীবদের আমাদের ব্যক্তিগত দৃষ্টিতে দেখি–ভূমার হৃদয় দিয়া দেখি না ; আমাদের ব্যক্তিগত সত্তা যেসব ভাব অকুভাবাদি লিথিয়া যায় তাহাই বুঝি, অন্যান্য সত্তাদের প্রাণে যিনি প্রাণস্বরূপ হইয়া আছেন তাহাকে অনুভব করি না ;