পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] , “বাঙ্গলায় যেশনে যত বস্তা, অকাল বা সংক্রামক ব্যাধি হইয়াছে, বাঙ্গলার মোসলমানদের সংখ্যাধিক্য হেতু তার অধিকাংশ স্থানেই বিপন্নের মধ্যে মোসলমানের সংখ্যাই বেশী হইলেও তাদের রিলিফ কাজট হিন্দুরাই পনর আন করিয়াছে। উত্তর বাঙ্গলায় প্লাবনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছিল, তাদের শতকরা नक्दै জন ছিল মোসলমান ; কিন্তু তাদের cमद यांब्र कब्रिज्ञांझिल, उाप्मग्न नउकन्नै नक्श् छन हिल श्न्नूि। इश সংখ্য-গরিষ্ট বাঙ্গালী মোসলমানের পক্ষে নিতান্ত অগৌরবের কথা । বাঙ্গলার মোসলমান যুবকদের স্বসমাজের এই গ্লানি দূৰ করিতে হইবে। তাদের স্মরণ রাখিতে হইবে, সেবা-ধৰ্ম্ম মানবের শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম—ইহ শ্রেষ্ঠ বীরত্ব । যে জাতির মধ্যে এই সেবার ভাব যত বুদ্ধি পাইবে, সেই জাতির মধ্যে তত বীর জন্মগ্রহণ করিবে। ফাকি দিয়া ধাৰ্ম্মিক হওয়া যায় মা, চালাকী করির বীর হওয়া যায় না। যে জাতির যুবকদল সেবা-ধৰ্ম্মকে জীবনের ব্ৰত করিয়া না লইবে, সে জাতি কদাচ বড় হইতে পারিবে না, —শতকরা আশিট চাকুরী পাইলেও না।” কুলীর মৃত্যু— কিছুদিন হইল সবুট-বিলাতী পদাঘাতে ভারতীয় কুলীর পঞ্চভূপ্রাপ্তির কাহিনী প্রতিনিয়তই শোনা যাইতেছে। কিন্তু এইসব ক্ষেত্রে অদ্ভূত বিচার-প্রণালী লক্ষ্য করিয়া সহযোগী আনন্দবাজার পত্রিক ভারত সরকারকে একটি সাহেব-রক্ষা-অাইন প্রণয়ন করিতে উপদেশ দিয়৷ तिथिएङ८छ्न “হঠাৎ প্লীহা ফাটিয়া কুলীর মৃত্যু অপেক্ষ হত্যকারী শ্বেতাঙ্গের বিচার-প্রণালী ও তাহীর পরিণাম অসত্য হইয় উঠিয়াছে। নিতা নিত্য এই বিচার-প্রহসনের অভিনয় করিয়া আমাদিগকে এই যন্ত্রণ দিবার আবঙ্গক কি ? ওর বদলে একটা আইন হোক্ যে, কোন শ্বেতাঙ্গ হঠাৎ রাগের-বশে বা খেলার ছলে কোন কৃষ্ণাঙ্গ কুলীকে হত্যা করিলে আদালতে বিচার করিবার দরকার হইবে না ; কেননা বিজেতার অ-লিখিত আইন অনুসারে এরূপ ক্ষেত্রে সে কোন অপরাধ করে না। শ্বেতাঙ্গ যদি কৃষ্ণাঙ্গ কুলীর প্রাণের মূল্য স্বরূপ পুওর বক্স বা দরিদ্র ভাণ্ডারে ৫০ টাকা কি ১ • • টাকা দান করে, তাহা হইলেই তাহার যথেষ্ট প্রায়শ্চিত্ত হইবে,—স্থল বিশেষে তাহারও প্রয়োজন হইবে না, বরং নী হত্যাকারী শ্বেতাঙ্গকেই অনর্থক হয়রান হইবার জন্য ক্ষতিপূরণ স্বরূপ প্রচুর অর্থ দিতে হইবে, যাহাতে সে ইংলণ্ডের কোন নিভৃত পল্লীতে বা ওয়েলসের কোন পাৰ্ব্বত্য উপত্যকীয় স্বর্থে ও শাস্তিতে বাস করিতে পারে।” গৌরীপুর মিলের কুলী জগনারায়ণের হত্য-সম্পর্কিত মাম্লায় মিলের সাহেব কৰ্ম্মচারী আসামী স্পেন্সের মুক্তিতে ও আসামের মাধবপুর চ-বাগানের কুলী দশরথের হত্য-সম্পর্কে মিলের ম্যানেজার উইলসনের মাত্র দুইশত টাকা জরিমান হওয়াতেই সহযোগী উক্তরূপ মন্তব্য করিয়াছেন। সহযোগী আত্মশক্তি কুলীর প্রাণের মূল্যের আর-একটি নিদর্শন দিয়া বলিয়ছেন যে, “আবার সিমূলাতে একজন শিখ গাড়োদানের হত্যাপরাধে কিংস ওন রেজিমেন্টের প্রাইভেট টমাসএর বিচার সম্প্রতি হইয়া গিয়াছে। ইংরেজ জুরীর সংখ্যাধিক্যে প্রাইভেট টমাস মুক্তি পাইয়াছে। টমাস নিজে স্বীকার করিয়াছে যে, তাহার পিস্তলের গুলীর আঘাতেই কুলীর মৃত্যু শহইয়াছে । সৰ্বকার পক্ষের উকীলও বলিয়াছেন, আসামী কুলী-হত্যার যেরূপ বিবরণ দিয়াছে তাহ৷ সন্দেহজনক, স্বয়ং বিচারকও তাহ স্বীকার করিয়াছেন, কিন্তু তৎসত্ত্বেও জুরীগণ বর্ণভেদে ৯ ও ৩ সংখ্যার ভাগ হইয়া জানাইয়াছে, সাহেব নির্দোষ । ৰিচারক জুরীর নির্দেশ মানিয় টমাস্কে মুক্তি দিয়া আদেশ করিয়াছেন, যাহাতে সে সন্তাবে থাকে } দেশ-বিদেশের কথা-বাংলা ৯৭৫ তাহার জন্ত টমাসের নিকট হইতে ৩• • টাকার জামীন মূচলেকা লওয়া হউক ৷” বঙ্গে বিধবা-বিবাহ - গত মাসে কুষ্টিয়ার এলাকাধীন কোদালিপাড়া গ্রামে ঐ গ্রামনিবাসী মৃত রজনীকান্ত মণ্ডলের পঞ্চদশ বর্ষীয় বিধবা কষ্ঠ শ্ৰীমতী অহল্যাদাসীর সহিত ঐ গ্রামনিবাসী মৃত গগনচন্দ্র মণ্ডলের সপ্তবিংশতি বর্ষীয় পুত্র শ্ৰীমান হরেকৃষ্ণ মণ্ডলের শুভ বিবাহ হইয়াছে। উভয় পক্ষই দরিদ্র । গত ৩০শে শ্রাবণ পাবনা রঘুনাথপুরে একটি বাগবিধবার বিবাহ মহাসমারোহে সম্পন্ন হইয়াছে । কস্তার নাম শ্ৰীমতী কমলবাসিনী দাসী । পিত ডাঃ হরিদাস দাস। জাতি মাহিষ্য । ১১ বছর বয়সে মেয়েটির বিবাহ হইয়াছিল। পাত্রের নাম ঐশিবনাথ দাস, নিবাস শিবরামপুর, পাবনা। বিবাহ হিন্দুশাস্ত্র ও আচার অনুসারে অনুষ্ঠিত হইয়াছে। সম্প্রতি পাবনায় আরও ১টি হিন্দু বালিকা-বিধবার বিবাহ হইয় গিয়াছে। স্থান হিমাইতপুর পাবনা । বর--শ্ৰীপ্রাণনাথ হালদার। বয়স ৩৫। জাতি মালে| বিপত্নীক। বাড়ী-মালঞ্চী, পাবন । কল্প শ্ৰীমতী চারবাল দাসী। বয়স ১৫ । ১০ বৎসর বয়সে বিধবা হইয়াছিল। ১৯শে শাবণ এই বিবাহ সংঘটিত হইয়াছে। মৈমনসিংহের হিন্দু হিতসাধিনী সভার উদ্যোগে গত ১৫ই আগষ্ট টাঙ্গাইলের অন্তর্গত অtড়র গ্রাম নিবাসী যুক্ত মনোমোহন দত্তের সহিত কিশোরগঞ্জের অন্তর্গত রায়পাশ নিবাসী স্ত্রীযুক্ত হুরকিশোর সরকার মহাশয়ের কস্ত শ্ৰীমতী বিমলাসুন্দরীর হিন্দুমতে বিধবা-বিবাহ হইয়৷ গিয়াছে । এই বিবাহ-সভায় এই নগরের প্রায় ৬• •৷৭০ • শত সম্রাপ্ত হিন্দু পুরুষ ও মহিলা যোগদান করিয়াছিলেন। বিগত ৩০শে শ্রাবণ ময়মনসিংহে হিন্দুহিতসাধণী সভার উদ্যোগে গফরগাঁওর জমিদার শতদল বিহারী চাকুলদারের অর্থানুকূল্যে ময়মনসিংহ সহরে এক বিধবা বিবাহ হইয়া গিয়াছে। সহঞ্জের সমস্ত ভদ্রলোকই বিবাহে যোগদান করিয়াছিলেন। মনে হয়, দেশের লোকের সহানুভূতি আছে। পাত্র পাত্রী উভয়েই কায়স্থ। পাত্রীর পিতার নাম হরকিশোর সরকার ; নিবাস রায়পাশ গ্রামে। পত্রের নাম মনোমোহন দত্ত ; নিবাস টাঙ্গাইলের এলাকায় অtড়র গ্রামে । ঢাকা জিলার বাঁশতলী গ্রামে ১৮ই আষাঢ় তারিখে ১৬ হইতে ২২ বৎসর বয়স্ক ৭টি বিধবার, তালতলী গ্রামে ২২শে আষাঢ় ১৪ হইতে ২২ বৎসর বয়স্ক ৫টি বিধবার পুনৰ্ব্বিবাহ হইয়াছে। হিন্দু শাস্ত্ৰমতেই সকল কৰ্ম্ম অনুষ্ঠিত হইয়াছিল। টাঙ্গাইল মিউনিসিপ্যালিটির সেক্রেটারী শ্ৰীযুক্ত প্রসন্নকুমার বিশ্বাসের সহিত শ্ৰীমতী স্বভাষিণী নামী হিন্দু বিধবার বিবাহ হইয়া গিয়াছে। কস্তাটি প্রথম-বিবাহের এক মাস মধ্যেই বিধবা হন। এ বিবাহে ৩,০০০ হিন্দু সমবেত হইয়াছিলেন । কয়েক জন ব্রাহ্মণ পণ্ডিত বিবাহে উপস্থিত ছিলেন । গত ৩০শে শ্রাবণ হাওড়া, শিবপুরে মহাসমারোহের সহিত পাচুবালা দাসী নাম একটি চতুর্দশ বর্ষীয়া বিধবা বালিকার সহিত চব্বিশ পরগণার অন্তর্গত মশাই নিবাসী শ্ৰীমান লক্ষণচন্দ্র সিংহরায়ের শুভ পরিণয় হইয়। গিয়াছে। পত্রটি সন্ত্রান্ত পরিবারের সস্তান । বাংলায় নারী-নিগ্ৰহ প্রতিদিনই সংবাদপত্রে বাংলায় নারী-নিগ্রহের সংবাদ পাইতেছি । কলিকাতা, ২৪ পরগণা, নোয়াখালি, নদীয়, বরিশাল, রাজাসাহী, ঢাকা, হুগলী, পাবন, মৈমনসিংহ, ফরিদপুর-শ্ৰীহট্ট প্রভূতি স্থান হইতে একাধিক নারী-নিগ্রহের সংবাদ কাগজে প্রকাশিত হইয়াছে। সে-সব দুৰ্ব্বত্তদের ভয়াবহ পাশবিক অত্যাচার কাহিণী বর্ণনা করা দুঃসাধ্য। কিন্তু