পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠসংখ্যা ] নহে। ইহাদের একটি হেতু হইতেছে, জাপানী সমাজের পক্ষে আজ আধ্যাত্মিকতা একান্ত প্রয়োজনীয় এবং আমেরিকা-জাপানের যুদ্ধ সেই আধ্যাত্মিক হজমীগুলির কাজ করিবে ; আর-একটি হেতু হইতেছে জাপানের একটী শক্তিমান নৌ-বল গঠনের আকাঙ্ক্ষী । বিবিধ প্র যাহা হউকৃ, লেখক বলিতেছেন, “আগুনের সঙ্গে খেলা করার কথাটাই আমাদের মনে পড়ে।” শ্ৰীযুক্ত আকিয়ামার উত্তেজনালক যুদ্ধ-আহবানের কথার সঙ্গে র্তাহার মূল জাপানী কথাগুলি এবং জনৈক আমেরিকান সংবাদদাতার নিকট তিনি যে জবাবদিহি করিয়াছিলেন তাহা দেওয়া হয় নাই । জিরোকাওয়াশিমা নাকি আর-একজন যুক্তরাষ্ট্রের সহিত যুদ্ধমস্ত্রের প্রচারক। র্তাহার প্রবন্ধ-সমূহ ‘নাইকোয়ান (অন্তর্দৃষ্টি) নামক একটি জাপানী সাময়িক পত্রে প্রকাশিত হইয়া থাকে । তিনি নাকি র্তার লেখায় জোরালে উত্তেজক ভাষায় আমেরিকাকে আক্রমণ করিয়াছেন, এমন-কি জাপানের (সম্ভাব্য) জয়লাভের কথা পর্যন্ত উল্লেখ করিয়াছেন। কাওয়াশিমার প্রবন্ধাবলী জাপান এ্যাডভার্টাইজার-এর দীর্ঘ দুই সংখ্যায় অনূদিত হইয়াছিল। প্রবন্ধাবলী আরম্ভ হইয়াছে এই ঘোযণা লইয়া যে, জাপানের লোকসংখ্যা শীঘ্রই ১০০,০০০,০০০ তে পরিণত হইবে। কাজেই উপনিবেশের প্রয়োজন “জাতির জন্ম-মৃত্যুর ব্যাপার”। প্রবন্ধলেখক বলিতেছেন, "লেখক বিশ্বের সর্বত্র অবাধ প্রবেশাধিকারের জন্য আন্দোলন করিতে বিরত হইবেন না। আমেরিকা, ষ্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা এবং সমস্ত ছোটবড় রাষ্ট্রের দুয়ার যাহাতে চিরউন্মুক্ত থাকে তজ্জন্ত তিনি সৰ্ব্বদাই আন্দোলন করিবেন, কারণ উহাই ভগবানের আইন ৷” “কিন্তু এই নীতি অবলম্বনে একজন বাধা দিতেছে । সে হইতেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ সে ঔপনিবেশিকগণকে বাধা দিতেছে এবং মনে মনে এই গোপন ইচ্ছা পোষণ করিতেছে যে, ক্রমে যে-সব জাপানী আমেরিকায় বসবাস করিতেছে তাহদের, এমনকি সাড়ার আমেরিকায় নাগরিক অধিকার লাভ করিয়াছে তাহীদের ও অধিকারে বঞ্চিত করিয়া তাড়াইয়া দিবে। আমর! জানি, জাপানীগণ যুক্তরাষ্ট্রে নিপীড়ন এবং দুৰ্ব্ব্যবহার পাইয়াছেন। জাপানীদিগকে দেশ হইতে বহিষ্কার করিয়াও তার তৃপ্তি হুইল না। যুক্তরাষ্ট্র তার বাহিরেও পার্শ্ববর্তী স্থান-সমূহে যাহাতে জাপানীগণ প্রবেশ করিতে না পারে তজ্জন্য সচেষ্ট। কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য জাতিসমূহও তাহার অনুসরণ করিতেছে। একট। আমেরিকা-জাপান যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী বলিয়াই মনে হয় । সঙ্গ—বেরি বেরি سس م.-.. سع- مماه ساسنامه సెస్సె "যুক্তরাষ্ট্রের জাপান-বিরোধী নীতির জন্ত দীক্ষন সত্যই দুর্দশাগ্রস্ত । যুক্তরাষ্ট্রের এই বিদেশী-বিরোধ-নীতির জন্য জাপানে রাষ্ট্রিক এবং আর্থিক দুরবস্থা উপস্থিত হইয়াছে। এই গ্লানিকর বাধা জাপানের পথ হইতে পদাঘাতে দূর করিয়া ফেলিতে হইবে । সুতরাং আমেরিকার সহিত যুদ্ধ জাপানের পক্ষে অপরিহার্ষ্য হইয়া উঠিয়াছে। এই ঘৃণাজনক বাধা অপসারিত হইলে সাম্রাজ্যে একটা কৃতন স্বাস্থ্যসম্পদ আনিয়া দিবে। “যদি যুদ্ধজয় জাপানের পক্ষে অসম্ভব হয়, তাহা হইলে এই জাপান-আমেরিকা যুদ্ধ জাপানের পক্ষে মারাত্মক হইবে । জাপান কি কুতকার্য্য হইবে ? জাপাে অধিকাংশ লোকেই এই ভাবনায় উদ্বিগ্ন ; কিন্তু লে বলেন—“জাপান যুদ্ধ-জয়ে সক্ষম হইতে পরিবে ।” বেরি বেরি কলিকাতায় সম্প্রতি বেরিবেরি বা এপিডেমিক ড্রপ সি রোগের বিশেষ প্রাদুর্ভাব হইয়াছে। এই রোগের লক্ষণ প! ফোলা, বুক ধড়পড় করা, হাফ ধরা, দৌৰ্ব্বল্য ও জর হওয়ু । কি কারণে এই রোগ হয় তাহ এখনও ঠিক জানা যায় নাই, তবে ইহার সহিত বিষাক্ত চাল ও তৈলের সম্বন্ধ আছে বলিয়। অনেক বিচক্ষণ চিকিৎসকের ধারণা। • চাল সেতসেতে স্থানে মজুত করিয়া রাখার ফলে তাহার ভিতর একপ্রকার বিষের সঞ্চার হয় বলিয়। ক্সে কোন চিকিৎসক মতপ্রকাশ করিয়াছেন। -- তৈলে ভেজাল দেওয়ার ফলে এই বিযের উৎপত্তি বিলিয়াও কাহারও কাহারও ধারণা। কারণ যাহাই হউক রোগের প্রস্তিকার কল্পে নিম্ন লিখিত নিয়মগুলি মানিয়া চলা দরকার । । w র্যাহাদিগের রোগ হয় নাই অথচ আসে পাশৈ অনেকের রোগ হইয়াছে তাহাদিগের পক্ষে ভাত ৪ তৈল যথা সম্ভব বর্জন করিয়া, তাজা ফল মূল, ঘৃত, ডাল, দুগ্ধ, ডিম্ব, মৎস, মাংস, রুটি ইত্যাদি খাওয়া দরকার । " চাল ও আট যতটা সম্ভব আতপ ও পালিশ না করা এবং জাতীয় ভাঙ্গা হওয়া দরকার। স্বাস্থ্য সাধারণ ভারে যতটা ভাল রাখা যায় তাহার চেষ্টা করা দরকার, অর্থাৎ ' ব্যায়াম দ্বারা শরীরের ভিতর বাহির পরিষ্কার রাখা ইত্যাদি অবশ্ব প্রয়োজনীয়। র্যাহাদিগের রোগ হইয়াছে তাহাদিগের পক্ষে অবিলম্বে ভাত খাওয়া বন্ধ করা প্রয়োজন। কোনপ্রকার গুরু পরিশ্রমের কার্য্য না করিয়৷ বিশ্রাম কর। এৰং চিকিৎসকের সাহায্য গ্রহণ অবশ্য কৰ্ত্তব্য ।