পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిe প্রবাঙ্গী-বৈশাখ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড শিল্প আমাদের আত্মার সমস্ত ব্যবধান চর্ণ করিয়া BB BBB BBB BBB BBBBS BBB BB BB BBB অতু প্রবিষ্ট শুষ্টতে সাহায্য করে । সেই মে মহান পরিপূর্ণ প্রাণস্রোত, ঘাঙ্গ আমাদের খণ্ড জীবনকে সম্পূর্ণ করে— সেই শোভ হইতে নন্তন প্রাণশক্তি আহরণ করিতে শিল্প শিক্ষা দেয় । নীতি আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে অপরের জন্য অল্প বিস্তর ) উংসর্গ করিতে শিক্ষা দেয় ; ঈঠা এ জীবনে স্থায়ী মূল্য নিদ্ধারণের ক্রমটি দেখায় এবং ক্ষণিক ত্ব হইতে অমরত্নে লইয়া যায় । বিজ্ঞান মাতুষী ও অমাতুৰ্মী সত্ত্বাদের ভিতরকার নিয়মগুলির অন্বেষণ করিতে শিপায় ; এই দিব্য জীবননাট্যে-স্থায়ী অস্থায়ী মন্ত জিনিষ মত অভিনেতা আছে--- সব পঝিতে এবং পঝিয় তাহীদের উপর কর্তৃত্ব করিতে শিক্ষা দেয় । ভূম সে নিয়মের অধীন ত্ৰ গুণ নয় ; কিন্তু তার লক্ষ লক্ষ পদবী ও সষ্টিবৈচিত্র্যের মধ্যে কতকগুলি নিয়ম থাক আনিবাৰ্য্য যাতা লোপ পাঠলে কষ্টি ও লোপ %|झु । (গ) প্রাকৃতিক নিয়ম পঝিয়া পালন করা, এবং তাঙ্গাদের উপর উঠিবার প্রয়োজন। আমার প্রিয় বন্ধ স—লিখিতেছেন -“ আত্মার সঙ্গে প্রকল্লির চমৎকার সংগ্রাম চলিয়াছে " কিন্তু এযুদ্ধে আত্মা নেন চিরদিনই পরাজিত ! এই পরাজয় বেশী নিষ্ঠুর, গৌরবের লেশ নাই । আত্মার মধ্যে ৪ এষ্ট সংগ্রামের ভীষণ নিদর্শন পাই । মহাত্মা হইয়া ও র্যাঙ্গর প্রকুহিকে অস্বীকার করিতে চান “প্রকৃতির প্রতিশোপট প্রচণ্ডভাবে তাঙ্গদের উপরই পড়ে—বিশেযভাবে তাদের শরীরে । “ভীষণ দেহ-নিৰ্য্যাতন চলিতেছে ; ধীরে ধীরে দেন নিজেকে হারাইতেছি•••••• আত্ম শরীরকে ঘৃণা করিয়াছিল এখন সে শরীরেরই ক্রীতদাস ! "আমার স্বপ্নের মধ্যে পাগলামী কতট ছিল এখন বুঝিতেছি ; আমি এখন যেন বলির পশু." সত্য বটে বন্ধ ! কারণ ইষ্ঠার মধ্যে কোনই সহ ক্ৰম স্বভাবকে অপমান করিয়া খেদাইলে সে দ্বিগুণ নিষ্টরতার সঙ্গে তাহার হুকুম তামিল করাইয় লয়। “নিষ্পাপ হইবার উংকট আগ্রহ শেষে আমার বিষম অনিষ্ট করিল—তাহা হইতেই আমার সমস্ত অবনতি..." অত্যধিক আত্মশাসন, সঙ্গে সঙ্গে দুৰ্ব্বলতার বৃদ্ধি, শেষে আত্মার মৰ্ম্মস্থলে কাল সন্দেহের প্রবেশ । ভাগ হইতেই নাস্তি-বাদ ও তৎপ্রস্ত পঙ্গু ভগবৎ-আক্রোশ । প্রক্লতি আমাদের হাতের মন্ত্র, মাকুম আমরা তাহার উপর আছি, কিন্তু তাহার সাহায্য ব্যতীত অমর কোন কাজ করিতে পারি না । কৰ্ম্মের জন্য প্রণের জন্য আয়ার বিকাশের জন্য কত শক্তিপূর্ণ উপকরণ প্রকৃতি আমাদের দেয় ; যদি সেগুলি আমরা প্রত্যাখ্যান করি প্রকৃতি আমাদের বিপক্ষে দাড়ায় । সুতরা তাহাকে দলে টানিয়া লইতে শুইবে । অসম্ভবের ব্যর্থ সাধনা ছাড়িয়। সম্ভবকে সাপিতে হইবে ; ঐ অসম্ভবকে মত বড় করিয়াই দেখান হউক না কেন, স্বাস্থ্য বাণ সঙ্গত আত্মার কাছে তাই অস্বাভাবিক এবং উংকট, সে তরী: অসুন্দর । সম্ভব ও যে সীমাৰ্চীন, তাহার মধ্যে যে সব আছে, শুধু দৈবী নিয়মের ছন্দ রক্ষা করিয়া আছে । গ্যয়টের মতে সভ্য মন্তস্য ত্ব এই মহান ছন্দজ্ঞান ও আত্মসঙ্গতিরই নাম হর । সত্য মানুষ হইতে চেষ্টা কর । দেলহ্লাভের প্রক্লষ্টত। উপায় ঐখানেই । মৃত্যু এপন পবিতে চেষ্টা করা যাক মরণ কি ? মরণ ! তোমার জনাই মে প্রাণ ধারণ করিতেছি, তামার জন্যই ত লিখিতেছি রচনা করিতেছি ; তুমি থে আমার সকল কৰ্ম্মের প্রণালী, সকল চিন্তার উৎস। আমার এই স্থল অসুন্দর ভাষার আবরণ ভেদ করিয়া দেখাইতেছ যে, তুমি সৰ্ব্বত্র পরিব্যাপ্ত ; তুমি যে আমার সকল স্তষ্টি সার হৃদয় পূর্ণ করিয়া আছ, তুমি যে নিখিলের আত্মা । হে মরণ ! তুমি যে পূর্ণ মর্বশক্তিমান প্রাণরূপ ; তুমি আমার আসল সত্তাকে আনিয়া দিয়াছ ; একমাত্র তুমিই ত মায়ার বন্ধন ছিন্ন করিতে পার ; মায়াকে জয়